কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিধি বহির্ভূতভাবে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিক ছাঁটাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি প্লাস) প্রকল্পে মাধ্যমে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে ৩৯৯ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এরমধ্যে দুই নম্বর ওয়ার্ডে ৩৭ জন। প্রথম পর্যায়ে শ্রমিকরা মাটিকাটার কাজ করলেও তারা পুরো টাকা পাননি। প্রত্যেক শ্রমিকের এখনও বকেয়া প্রায় ১৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় সপ্তাহ-খানেক কাজ করার পর হঠাৎ কয়েকজন শ্রমিক জানতে পারেন তাদের নাম নেই। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তারা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হামিদুর রহমানকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
দুই নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক আব্দুল কাইয়ুম জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬ দিন কাজ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়ি। বিষয়টি মেম্বার হামিদুর রহমান ও সর্দার জিয়াউরকে জানানো হয়েছে। প্রায় ১৫দিন অসুস্থতার কারনে কাজে যেতে পারিনি। পরে গিয়ে শুনি আমার নাম নেই। একই অবস্থা শ্রমিক মফিজা বেগমেরও।
আরেক শ্রমিক মনোয়ারা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করেন পাশের তিন নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল গফুরকে। তারা উভয়ে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক।
আব্দুল গফুর বলেন, আমার স্ত্রী নেই বহু বছর ধরে, মনোয়ারও স্বামী নেই। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর কাজে গিয়ে শুনি আমাদের নাম নেই। আমরা গরীব মানুষ হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব চিন্তায় পড়ে গেছি।
এছাড়াও দুই নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের মেনেকার বয়স ৬০ বছর অতিক্রম হওয়ায় তাদের নাম কাটা হয়েছে। তবে নিয়মানুযায়ী তাদের পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার কথা থাকলেও তা না করে ইউপি চেয়ারম্যান তার মনেনিত ব্যক্তিদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
ইউপি সদস্য হামিদুর রহমান বলেন, আমার ওয়ার্ডে যে শ্রমিকগুলোর নাম কর্তন করা হয়েছে বিষয়ে আমি অবগত নই। এছাড়া এসব নাম কর্তন করার সময় সরকারি বিধি মানা হয়নি। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি শুধু তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কিছু জানি না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সিরাজুদ্দৌল্লা বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তা কাজ করতেছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউর রহমান বলেন, নাম কর্তনে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে
অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি প্লাস) প্রকল্পে মাধ্যমে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে ৩৯৯ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এরমধ্যে দুই নম্বর ওয়ার্ডে ৩৭ জন। প্রথম পর্যায়ে শ্রমিকরা মাটিকাটার কাজ করলেও তারা পুরো টাকা পাননি। প্রত্যেক শ্রমিকের এখনও বকেয়া প্রায় ১৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় সপ্তাহ-খানেক কাজ করার পর হঠাৎ কয়েকজন শ্রমিক জানতে পারেন তাদের নাম নেই। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তারা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হামিদুর রহমানকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
দুই নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক আব্দুল কাইয়ুম জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬ দিন কাজ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়ি। বিষয়টি মেম্বার হামিদুর রহমান ও সর্দার জিয়াউরকে জানানো হয়েছে। প্রায় ১৫দিন অসুস্থতার কারনে কাজে যেতে পারিনি। পরে গিয়ে শুনি আমার নাম নেই। একই অবস্থা শ্রমিক মফিজা বেগমেরও।
আরেক শ্রমিক মনোয়ারা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করেন পাশের তিন নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল গফুরকে। তারা উভয়ে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক।
আব্দুল গফুর বলেন, আমার স্ত্রী নেই বহু বছর ধরে, মনোয়ারও স্বামী নেই। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর কাজে গিয়ে শুনি আমাদের নাম নেই। আমরা গরীব মানুষ হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব চিন্তায় পড়ে গেছি।
এছাড়াও দুই নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের মেনেকার বয়স ৬০ বছর অতিক্রম হওয়ায় তাদের নাম কাটা হয়েছে। তবে নিয়মানুযায়ী তাদের পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার কথা থাকলেও তা না করে ইউপি চেয়ারম্যান তার মনেনিত ব্যক্তিদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
ইউপি সদস্য হামিদুর রহমান বলেন, আমার ওয়ার্ডে যে শ্রমিকগুলোর নাম কর্তন করা হয়েছে বিষয়ে আমি অবগত নই। এছাড়া এসব নাম কর্তন করার সময় সরকারি বিধি মানা হয়নি। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি শুধু তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কিছু জানি না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সিরাজুদ্দৌল্লা বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তা কাজ করতেছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউর রহমান বলেন, নাম কর্তনে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে