আরিফুল ইসলাম জিমন, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর মুক্তি বাহিনীসহ মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর (সোমবার) আজকের এইদিনে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিল। মুক্তি বাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর অব্যাহত গেরিলা হামলার মুখে ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঘোড়াঘাট সীমান্তবর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অ লের ভিতর দিয়ে হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক-হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থান থেকে নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে ঘোড়াঘাট উপজেলার ডাক বাংলা, পার্শ্ববর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও লালদহ বিলের পাড়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যানুযায়ী, এ উপজেলা থেকে প্রায় ৪১ জন যোয়ান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে ১৩ জন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শহিদ হন। খবর নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চলাকালীন সময়ে ঘোড়াঘাটে ১৩ জন প্রাণ হারানোর কথা বলা হলেও কুলানন্দ গ্রামের আইয়ুব আলী, আফসারাবাদ কলোনীর সোহরাব আলী ও মোশারফ হোসেন, খাইরুল গ্রামের মহেন্দ্রনাথ সরকার, পালশা গ্রামের তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী আব্দুর রশিদ ও সাইফুল ইসলাম, ডুগডুগি গ্রামের বগা মন্ডল ও তার ছেলে, কশিগাড়ী গ্রামের সিরাজ উদ্দিন, হিজলগাড়ী গ্রামের ওসমান আলী, জোড়গাড়ী গ্রামের সায়েদ আলী, ভেপসি গ্রামের আব্দুস সাত্তার, ঘোড়াঘাট পৌরসভা এলাকার বদর উদ্দিন, আব্দুর রশিদ খোকা ও আমিরুল ইসলাম শহিদ হন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
শহীদ মেজর বদর উদ্দিনের সন্তান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ১৩ ডিসেম্বর ঘোড়াঘাট হানাদার মুক্ত দিবস। এ সংগ্রামে আমার বাবা মেজর বদর উদ্দিন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আগে মুক্তিযোদ্ধারা এ দিবসটি পালন করলেও বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন কিংবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি আর পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু কেন - প্রশ্ন রেখে যান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক-হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থান থেকে নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে ঘোড়াঘাট উপজেলার ডাক বাংলা, পার্শ্ববর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও লালদহ বিলের পাড়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যানুযায়ী, এ উপজেলা থেকে প্রায় ৪১ জন যোয়ান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে ১৩ জন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শহিদ হন। খবর নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চলাকালীন সময়ে ঘোড়াঘাটে ১৩ জন প্রাণ হারানোর কথা বলা হলেও কুলানন্দ গ্রামের আইয়ুব আলী, আফসারাবাদ কলোনীর সোহরাব আলী ও মোশারফ হোসেন, খাইরুল গ্রামের মহেন্দ্রনাথ সরকার, পালশা গ্রামের তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী আব্দুর রশিদ ও সাইফুল ইসলাম, ডুগডুগি গ্রামের বগা মন্ডল ও তার ছেলে, কশিগাড়ী গ্রামের সিরাজ উদ্দিন, হিজলগাড়ী গ্রামের ওসমান আলী, জোড়গাড়ী গ্রামের সায়েদ আলী, ভেপসি গ্রামের আব্দুস সাত্তার, ঘোড়াঘাট পৌরসভা এলাকার বদর উদ্দিন, আব্দুর রশিদ খোকা ও আমিরুল ইসলাম শহিদ হন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
শহীদ মেজর বদর উদ্দিনের সন্তান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ১৩ ডিসেম্বর ঘোড়াঘাট হানাদার মুক্ত দিবস। এ সংগ্রামে আমার বাবা মেজর বদর উদ্দিন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আগে মুক্তিযোদ্ধারা এ দিবসটি পালন করলেও বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন কিংবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি আর পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু কেন - প্রশ্ন রেখে যান তিনি।