এস এম আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই উপজেলা প্রতিনিধি: দু’বছর আগেও তোফাজ্জলকে এলাকার সবাই পাগল হিসাবেই চিনতেন।আজ তিনি বনে গেছেন কবিরাজ তোফাজ্জল।প্রায় ২ বছর ধরে সর্বরোগের চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন এই কবিরাজ। তার বাড়িতে প্রতিদিন গড়ে ৮’শ থেকে এক হাজার লোকের সমাগম হয়।আর শুক্রবার দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার লোক আসে। রোগীরা ফিরে যাওয়ার সময় এ্যালুমনিয়ামের একটি পাতিলে টাকা দিয়ে যান।শুধু ‘ফুঁ’ দিয়েই জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন। কোনো ফি না নিলেও পীরের আস্তানায় ওরসের কথা বলে টাকা নিচ্ছেন।তিনি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে কিচক-মোসলেমগঞ্জ সড়কে নুনুজ বাজারের পশ্চিম পাশে শ্রীপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় নুনুজ বাজার থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত মানুষের ভিড়। সবাই কবিরাজের সামনে দাঁড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।কবিরাজ তোফাজ্জল সাদা পাঞ্জাবি, লুঙ্গি ও মাথায় টুপি পড়ে চেয়ারে বসে আছেন।আর তিন পাশে বসে আছেন তার কয়েকজন লোক।সামনে রোগীরা দাঁড়িয়ে আছেন,ফুঁ দিচ্ছেন কবিরাজ।রোগীরা পীরের আস্তানায় ওরসের জন্য একটি পাতিলে টাকা ফেলে দিচ্ছেন এবং তোফাজ্জলের পা ধরে সালাম করে চলে যাচ্ছেন।
কবিরাজের ছেলে ও রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তোফাজ্জল পাগলা একই জেলার পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর সরাইল গ্রামের পীর হেলাল ও বেলাল বাবার মুরিদ।তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সেখানে যাতায়াত করেন।দু’বছর আগেও তিনি পাগল ছিলেন।পরে পীর বাবার দোয়ায় ভাল হয়ে গত দু’বছর ধরে তিনি পীর বাবার আশীর্বাদে বাড়িতে বসে এমন চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।ফুঁ দিয়েই তিনি ডায়াবেটিস,কিডনি, ব্যাথাসহ জটিল ও কঠিন রোগ ভাল করছেন।
সাইফুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।তা না হলে প্রশাসন কেন এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না!
চুমকি আক্তার নামে এক তরুণী রোগী জানান, অন্যের কাছে শুনে সে একটি সমস্যা নিয়ে কবিরাজের কাছে এসেছে।তিনি তাকে ফুঁ দিয়ে বলেছেন ভাল হয়ে যাবি!তাই চলে যাচ্ছে।দরবারে ওরসের জন্য এক’শ টাকা পাতিলে দিয়েছে।তাকে আরও দুইবার আসতে হবে বলে কবিরাজ বলেছে।
কবিরাজ তোফাজ্জল বলেন,পীর বাবার উছিলায় আজ তিনি পাগল থেকে কবিরাজ হয়েছেন। জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন।সবাই তার চিকিৎসায় ভাল হচ্ছেন।যে যা দেন তা হাত দিয়েও ধরেননা। সবাই পাতিলে ফেলে যান,সেই টাকা পীরের দরবারে পাঠিয়ে দেন তিনি।
মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার কারণে উত্তর সরাইলের পীর হেলালউদ্দীনের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি বলেন,আসলে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ওই কবিরাজের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে কিচক-মোসলেমগঞ্জ সড়কে নুনুজ বাজারের পশ্চিম পাশে শ্রীপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় নুনুজ বাজার থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত মানুষের ভিড়। সবাই কবিরাজের সামনে দাঁড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।কবিরাজ তোফাজ্জল সাদা পাঞ্জাবি, লুঙ্গি ও মাথায় টুপি পড়ে চেয়ারে বসে আছেন।আর তিন পাশে বসে আছেন তার কয়েকজন লোক।সামনে রোগীরা দাঁড়িয়ে আছেন,ফুঁ দিচ্ছেন কবিরাজ।রোগীরা পীরের আস্তানায় ওরসের জন্য একটি পাতিলে টাকা ফেলে দিচ্ছেন এবং তোফাজ্জলের পা ধরে সালাম করে চলে যাচ্ছেন।
কবিরাজের ছেলে ও রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তোফাজ্জল পাগলা একই জেলার পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর সরাইল গ্রামের পীর হেলাল ও বেলাল বাবার মুরিদ।তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সেখানে যাতায়াত করেন।দু’বছর আগেও তিনি পাগল ছিলেন।পরে পীর বাবার দোয়ায় ভাল হয়ে গত দু’বছর ধরে তিনি পীর বাবার আশীর্বাদে বাড়িতে বসে এমন চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।ফুঁ দিয়েই তিনি ডায়াবেটিস,কিডনি, ব্যাথাসহ জটিল ও কঠিন রোগ ভাল করছেন।
সাইফুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।তা না হলে প্রশাসন কেন এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না!
চুমকি আক্তার নামে এক তরুণী রোগী জানান, অন্যের কাছে শুনে সে একটি সমস্যা নিয়ে কবিরাজের কাছে এসেছে।তিনি তাকে ফুঁ দিয়ে বলেছেন ভাল হয়ে যাবি!তাই চলে যাচ্ছে।দরবারে ওরসের জন্য এক’শ টাকা পাতিলে দিয়েছে।তাকে আরও দুইবার আসতে হবে বলে কবিরাজ বলেছে।
কবিরাজ তোফাজ্জল বলেন,পীর বাবার উছিলায় আজ তিনি পাগল থেকে কবিরাজ হয়েছেন। জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন।সবাই তার চিকিৎসায় ভাল হচ্ছেন।যে যা দেন তা হাত দিয়েও ধরেননা। সবাই পাতিলে ফেলে যান,সেই টাকা পীরের দরবারে পাঠিয়ে দেন তিনি।
মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার কারণে উত্তর সরাইলের পীর হেলালউদ্দীনের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি বলেন,আসলে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ওই কবিরাজের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।