পবিত্র বিয়ে মহান আল্লাহপ্রদত্ত বিশেষ এক নেয়ামত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ঈমানের পূর্ণতার সহায়ক। চারিত্রিক আত্মরক্ষার অনন্য হাতিয়ার। আদর্শ পরিবার গঠন, জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানসিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। প্রাপ্ত বয়স্ক ও সামর্থ্যবান হলে— কালবিলম্ব না করে বিয়ে করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব।
বিয়ে শুধু জৈবিক চাহিদাই নয়, বরং একটি মহান ইবাদতও বটে। বিয়ের মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন কল্যাণ সাধিত হয়। বিয়ে মানুষের জীবন পরিশীলিত, মার্জিত ও পবিত্র করে তোলে। এছাড়া বিয়ে করলে স্বচ্ছলতাও বাড়ে। বিয়ের উদ্দেশ্য যদি হয়, নিজের চরিত্রের হেফাজত করা; তবে এ বিয়ে সম্পাদনের পর মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে সচ্ছলতা দান করবেন।
তাছাড়া আল্লাহ তাআলা অনেককেই দ্রুত সাহায্য করে থাকেন। এর মধ্যে প্রথম হলো- যারা পবিত্র থাকার উদ্দেশ্যে বিয়ে করেন। হাদিসে পাকে এসেছে- ‘তিন ব্যক্তি এমন আছে, যাদেরকে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য করে থাকেন। তারা হলো-
১. বিবাহকারী; যে পবিত্র থাকার ইচ্ছা করে।
২. লিখিত চুক্তিবদ্ধ দাস; যে চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধ করার নিয়ত রাখে এবং
৩. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী।
সুতরাং কেউ যদি চারিত্রিক পবিত্রতার জন্য বিয়ে করে আর যদি সে দরিদ্র বা অভাবী হয় তবে আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে ওই ব্যক্তিকে সচ্ছলতা দান করবেন। আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে এভাবে ঘোষণা দেন-
وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِهِمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবি হলে (চরিত্র রক্ষার জন্য যদি বিয়ে করে তবে) আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩২)
সুতরাং যদি কোনো পুরুষের চরিত্র পছন্দনীয় হয়। চারিত্রিকগুণে মুগ্ধ হয়ে কোনো নারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়; তবে অভিভাবকের উচিত ওই নারীকে বিয়েতে বাধা না দেওয়া। হাদিসে পাকে এসেছে-
হরজত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহুআনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যে ব্যক্তির দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্রে সন্তুষ্ট আছ; তোমাদের কাছে সে ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব করলে তবে তার সঙ্গে বিয়ে দাও। তা যদি না কর তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।’ (তিরমিজি)
অর্থের অভাব বা দরিদ্রতা যেন বিয়ের বাধা হওয়ার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। যারা নিজ চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য বিয়ে করতে চায়; তাদের বিয়ে ব্যাপারে সহযোগিতা করা জরুরি। কেননা চরিত্র পবিত্র রাখার মানসে যারা বিয়ে করবে; আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে সেসব বান্দাকে সচ্ছলতা দান করবেন।
চারিত্রিক পবিত্রতার নিয়তে অর্থের অভাব থাকা সত্ত্বেও যারা বিয়ে করবেন; আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাদের জন্য দাম্পত্য জীবন সহজ করে দেবেন। অভাব দূর করে দেবেন। হাদিসে তাদের জন্য বরকত ও কল্যানের দোয়া করার কথা বলা হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যখন কোনো লোক বিয়ে করতো, তখন তার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়া করতেন-
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
উচ্চারণ : বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা ও ঝামাআ বায়নাকুমা ফি খাইরিন।’ অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা তোমার জীবন বারকাতময় করুন আর তোমাদেরকে কল্যাণের মধ্যে একত্রিত করুন।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষকে চারিত্রিক পবিত্রতা অর্জনে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিয়ে শুধু জৈবিক চাহিদাই নয়, বরং একটি মহান ইবাদতও বটে। বিয়ের মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন কল্যাণ সাধিত হয়। বিয়ে মানুষের জীবন পরিশীলিত, মার্জিত ও পবিত্র করে তোলে। এছাড়া বিয়ে করলে স্বচ্ছলতাও বাড়ে। বিয়ের উদ্দেশ্য যদি হয়, নিজের চরিত্রের হেফাজত করা; তবে এ বিয়ে সম্পাদনের পর মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে সচ্ছলতা দান করবেন।
তাছাড়া আল্লাহ তাআলা অনেককেই দ্রুত সাহায্য করে থাকেন। এর মধ্যে প্রথম হলো- যারা পবিত্র থাকার উদ্দেশ্যে বিয়ে করেন। হাদিসে পাকে এসেছে- ‘তিন ব্যক্তি এমন আছে, যাদেরকে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য করে থাকেন। তারা হলো-
১. বিবাহকারী; যে পবিত্র থাকার ইচ্ছা করে।
২. লিখিত চুক্তিবদ্ধ দাস; যে চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধ করার নিয়ত রাখে এবং
৩. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী।
সুতরাং কেউ যদি চারিত্রিক পবিত্রতার জন্য বিয়ে করে আর যদি সে দরিদ্র বা অভাবী হয় তবে আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে ওই ব্যক্তিকে সচ্ছলতা দান করবেন। আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে এভাবে ঘোষণা দেন-
وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِهِمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবি হলে (চরিত্র রক্ষার জন্য যদি বিয়ে করে তবে) আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩২)
সুতরাং যদি কোনো পুরুষের চরিত্র পছন্দনীয় হয়। চারিত্রিকগুণে মুগ্ধ হয়ে কোনো নারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়; তবে অভিভাবকের উচিত ওই নারীকে বিয়েতে বাধা না দেওয়া। হাদিসে পাকে এসেছে-
হরজত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহুআনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যে ব্যক্তির দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্রে সন্তুষ্ট আছ; তোমাদের কাছে সে ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব করলে তবে তার সঙ্গে বিয়ে দাও। তা যদি না কর তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।’ (তিরমিজি)
অর্থের অভাব বা দরিদ্রতা যেন বিয়ের বাধা হওয়ার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। যারা নিজ চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য বিয়ে করতে চায়; তাদের বিয়ে ব্যাপারে সহযোগিতা করা জরুরি। কেননা চরিত্র পবিত্র রাখার মানসে যারা বিয়ে করবে; আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে সেসব বান্দাকে সচ্ছলতা দান করবেন।
চারিত্রিক পবিত্রতার নিয়তে অর্থের অভাব থাকা সত্ত্বেও যারা বিয়ে করবেন; আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাদের জন্য দাম্পত্য জীবন সহজ করে দেবেন। অভাব দূর করে দেবেন। হাদিসে তাদের জন্য বরকত ও কল্যানের দোয়া করার কথা বলা হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যখন কোনো লোক বিয়ে করতো, তখন তার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়া করতেন-
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
উচ্চারণ : বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা ও ঝামাআ বায়নাকুমা ফি খাইরিন।’ অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা তোমার জীবন বারকাতময় করুন আর তোমাদেরকে কল্যাণের মধ্যে একত্রিত করুন।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষকে চারিত্রিক পবিত্রতা অর্জনে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।