আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেছেন ষাটোর্ধ্ব বয়সী আবুল মুনসুর। পেশায় ভিক্ষুক হলেও গত ইউপি নির্বাচনে ত্রিশাল উপজেলার বইলর থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। গত বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এদিকে জুয়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশি যেকোনো ব্যক্তি মনোনয়নপত্র কিনতে চাইলে আমি দিতে বাধ্য। তেমনি জমা দিতে চাইলেও আমি নিতে বাধ্য। কারণ, এটি তার গণতান্ত্রিক অধিকার। জানা গেছে, বইলর ইউনিয়নের বড়পুকুরপাড় গ্রামের বাসিন্দা আবুল মুনসুর। অল্প বয়সেই দিনমজুরের কাজে নামেন তিনি।
বিয়ের পর অন্যের রিকশা ভাড়ায় চালিয়ে রোজগারের পথ বেছে নেন। তার ১০-১২ বছর পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। তার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে কর্মজীবী। এরপরও ১৪ বছর ধরে ভিক্ষা করেই চলছে তার সংসার। কিন্তু সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা জোটেনি তার কপালে।
এই ক্ষোভ থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন জাগে তার মনে। স্বপ্নপূরণে গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বইলর থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন ভিক্ষুক আবুল মুনসুর। তখন পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চশমা প্রতীক নিয়ে ৩৭৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে থেকে আলোচনায় আসেন তিনি।
এদিকে স্থানীয়রা বলেন, প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেন নির্বাচনে। অথচ কোনো খরচ ছাড়াই গত ইউপি নির্বাচনে মুনসুর পেয়েছিলেন ৩৭৭ ভোট। গতবারের মতো এবারও ভোর থেকে রাত অব্দি পাড়া মহল্লা, হাটবাজারে একাই জনগণের কাছে ভোট চাইছেন তিনি। অনেকেই এটাকে পাগলামি বললেও, কেউ কেউ নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ বলে মনে করছেন এবং তাকে উৎসাহ দিচ্ছেন।
এদিকে আবুল মুনসুর ফকির গণমাধ্যমকে জানান, ইউপি নির্বাচনে অনেক ভোটার সমর্থন করেছিলেন, সাড়া দিয়ে পাশে ছিলেন। নিরীহ প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
এদিকে জুয়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশি যেকোনো ব্যক্তি মনোনয়নপত্র কিনতে চাইলে আমি দিতে বাধ্য। তেমনি জমা দিতে চাইলেও আমি নিতে বাধ্য। কারণ, এটি তার গণতান্ত্রিক অধিকার। জানা গেছে, বইলর ইউনিয়নের বড়পুকুরপাড় গ্রামের বাসিন্দা আবুল মুনসুর। অল্প বয়সেই দিনমজুরের কাজে নামেন তিনি।
বিয়ের পর অন্যের রিকশা ভাড়ায় চালিয়ে রোজগারের পথ বেছে নেন। তার ১০-১২ বছর পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। তার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে কর্মজীবী। এরপরও ১৪ বছর ধরে ভিক্ষা করেই চলছে তার সংসার। কিন্তু সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা জোটেনি তার কপালে।
এই ক্ষোভ থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন জাগে তার মনে। স্বপ্নপূরণে গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বইলর থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন ভিক্ষুক আবুল মুনসুর। তখন পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চশমা প্রতীক নিয়ে ৩৭৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে থেকে আলোচনায় আসেন তিনি।
এদিকে স্থানীয়রা বলেন, প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেন নির্বাচনে। অথচ কোনো খরচ ছাড়াই গত ইউপি নির্বাচনে মুনসুর পেয়েছিলেন ৩৭৭ ভোট। গতবারের মতো এবারও ভোর থেকে রাত অব্দি পাড়া মহল্লা, হাটবাজারে একাই জনগণের কাছে ভোট চাইছেন তিনি। অনেকেই এটাকে পাগলামি বললেও, কেউ কেউ নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ বলে মনে করছেন এবং তাকে উৎসাহ দিচ্ছেন।
এদিকে আবুল মুনসুর ফকির গণমাধ্যমকে জানান, ইউপি নির্বাচনে অনেক ভোটার সমর্থন করেছিলেন, সাড়া দিয়ে পাশে ছিলেন। নিরীহ প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।