এখন থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নমনীয় ও সহনীয় অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার ১৫ মে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াশিংটনের এমন অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের নেয়া এমন পদক্ষেপে কোন রকমের তীব্র ক্ষোভ বা প্রতিবাদ জানাননি এই মূখপত্র। তবে পররাষ্ট্রনীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মার্কিন এই কর্মকর্তা জানান, কূটনীতিকদের সুরক্ষা ইস্যুতে ভিয়েনা কনভেনশনে উল্লেখিত শর্তাবলী মেনে চলার পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা সরিয়ে নেয় সরকার। মূলত যেসব রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাইরে চলাচলের সময় অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন, তাদের জন্য পুলিশের পরিবর্তে এখন থেকে আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য গণমাধ্যমকে জানানোর পর এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসময় কূটনীতিকদের সুরক্ষা ইস্যুতে ভিয়েনা কনভেনশন মনে রাখার পাশাপাশি মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা এর কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশদ বিবরণে কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমি উল্লেখ করতে চাই, কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, যে কোনও দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ ও এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলতে হবে এবং কর্মীদের ওপর কোনও আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর সব পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের কূটনৈতিক কর্মী এবং স্থাপনার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে যেসব রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাইরে চলাচলের সময় অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন, তাদের জন্য পুলিশের পরিবর্তে আনসার সদস্যদের নিয়োজিত করা হবে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
অন্যদিকে কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা বন্ধের সিদ্ধান্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো আবশ্যকতা নেই। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের গাড়িতে পতাকা উড়ানো বন্ধের বিষয়েও ভাবছে সরকার। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত চলাচলের সময় পুলিশের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন।
একই ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। সেখানে তিনি বলেন, ‘এবং আমরা (অতীতে) যেমন বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং সেখানে আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রীকভাবে আমি যা বলব তা হলো- অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এমন সব বিষয়ে আমাদের বন্ধুদের এবং অংশীদারদের থাকা উদ্বেগ সম্পর্কে সৎ কথোপকথন করাকে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ বলে মনে করে না। কারণ বিদ্যমান উদ্বেগ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে বা (নাও পারে)। একইসঙ্গে এটি আঞ্চলিক উদ্বেগ এবং আঞ্চলিক অগ্রাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে বা (নাও) করতে পারে।’ সূত্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের নেয়া এমন পদক্ষেপে কোন রকমের তীব্র ক্ষোভ বা প্রতিবাদ জানাননি এই মূখপত্র। তবে পররাষ্ট্রনীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মার্কিন এই কর্মকর্তা জানান, কূটনীতিকদের সুরক্ষা ইস্যুতে ভিয়েনা কনভেনশনে উল্লেখিত শর্তাবলী মেনে চলার পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা সরিয়ে নেয় সরকার। মূলত যেসব রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাইরে চলাচলের সময় অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন, তাদের জন্য পুলিশের পরিবর্তে এখন থেকে আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য গণমাধ্যমকে জানানোর পর এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসময় কূটনীতিকদের সুরক্ষা ইস্যুতে ভিয়েনা কনভেনশন মনে রাখার পাশাপাশি মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা এর কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশদ বিবরণে কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমি উল্লেখ করতে চাই, কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, যে কোনও দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ ও এর কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলতে হবে এবং কর্মীদের ওপর কোনও আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর সব পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের কূটনৈতিক কর্মী এবং স্থাপনার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে যেসব রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাইরে চলাচলের সময় অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন, তাদের জন্য পুলিশের পরিবর্তে আনসার সদস্যদের নিয়োজিত করা হবে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
অন্যদিকে কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা বন্ধের সিদ্ধান্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো আবশ্যকতা নেই। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের গাড়িতে পতাকা উড়ানো বন্ধের বিষয়েও ভাবছে সরকার। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত চলাচলের সময় পুলিশের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন।
একই ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। সেখানে তিনি বলেন, ‘এবং আমরা (অতীতে) যেমন বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং সেখানে আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রীকভাবে আমি যা বলব তা হলো- অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এমন সব বিষয়ে আমাদের বন্ধুদের এবং অংশীদারদের থাকা উদ্বেগ সম্পর্কে সৎ কথোপকথন করাকে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ বলে মনে করে না। কারণ বিদ্যমান উদ্বেগ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে বা (নাও পারে)। একইসঙ্গে এটি আঞ্চলিক উদ্বেগ এবং আঞ্চলিক অগ্রাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে বা (নাও) করতে পারে।’ সূত্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর