নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, বাঘে ধরলে ছাড়ে কিন্তু শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়েন না। ৭ তারিখের পর আর ছাড় নেই। যারা জনগণের বুকে-পেটে লাঠি মারে, আগুন সন্ত্রাস করে তাদের শেখ হাসিনা ছাড়বেন না। যদি আমি শামীম ওসমানও হই তবুও ছাড় নাই।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ইব্রাহীম টেক্সটাইল বালুর মাঠে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি-জামায়াতকে কোনো ফুলের টোকা দেই নাই উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ক্ষমতা থাকা অবস্থায় ওরা যে কাজটা করতে চেয়েছে আমরা তা চাই না। এটা জাতির পিতার কন্যার নির্দেশ। আমরা আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বিপুল ভোটে আবারও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। আমাদের ইচ্ছা ছিল মাঠে খেলার কিন্তু খেলার মাঠে কেউ নেই। এখন রাতের আধারে তারা মানুষকে পুড়িয়ে মারতে চেষ্টা করে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা তো খেলার উপযুক্ত নয়।
শামীম ওসমান বলেন, ২০১৩-১৫ সালে বিএনপি হরতালের নামে ৫'শ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোন রাজনীতি তা আমার জানা নেই। আমরা ভেবেছিলাম ওরা ভালো হয়ে গিয়েছে কিন্তু না তারা এখনো ভালো হয় নি। আমার জানা মতে, গত কয়েকদিন প্রায় ৩০০ গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে গতকাল ট্রেন লাইন কাটার চেষ্টা চালানো হয়। মানুষের জীবন নিয়ে, মানুষের মৃত্যুর মিছিল নিয়ে তাদের কি লাভ হচ্ছে?
তিনি বলেন, আমাদের উপর যে অত্যাচার-নিপীড়ন করা হয়েছে তা আমরা ভুলিনি। শুধুমাত্র সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাতেই আমাদের ১৭ জন মানুষকে মারা হয়েছে। আমাদের বহু ভাই, হাজার হাজার নেতাকর্মী বাড়িতে ঘরে থাকতে দেয় নাই। লন্ডনে বসে খুনি তারেক রহমান নির্দেশ দিচ্ছে আর বিএনপির লোকজন তা পালন করছে। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে তারা আগামীকাল ক্ষমতায় চলে আসবে। আমি আগে বলেছিলাম ক্ষমতার ৫২ হাজার কিলোমিটারের মধ্যেও তারা নাই। আর এখন বলছি তারা ক্ষমতার ৫২ লাখ কিলোমিটারের মধ্যেও নাই।
দ্রব্যমূল্য পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা মহল নির্বাচনের আগে পরিকল্পিত ভাবে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি করেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, 'একটা সময় এমন ছিল যে, মনে করা হত বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার এই দেশে হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে না। বিচার কিন্তু ঠিকই হয়েছে, দোষীরা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছে।
এইবার যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ও তার রাসুলের উসিলায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন তবে, যারা মজুদদার, যারা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুদ করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের পেটে লাথি দিয়েছেন, যারা পরিকল্পিতভাবে জিনিসপত্র মজুদ করে নিজের মুনাফা লুটার চেষ্টা করেছেন, এবং যারা আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন, তারা জেনে রাখুন, বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে কাউকে ছড়ে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মো. শহীদ বাদল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইঁয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন প্রমুখ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ইব্রাহীম টেক্সটাইল বালুর মাঠে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি-জামায়াতকে কোনো ফুলের টোকা দেই নাই উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ক্ষমতা থাকা অবস্থায় ওরা যে কাজটা করতে চেয়েছে আমরা তা চাই না। এটা জাতির পিতার কন্যার নির্দেশ। আমরা আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বিপুল ভোটে আবারও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। আমাদের ইচ্ছা ছিল মাঠে খেলার কিন্তু খেলার মাঠে কেউ নেই। এখন রাতের আধারে তারা মানুষকে পুড়িয়ে মারতে চেষ্টা করে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা তো খেলার উপযুক্ত নয়।
শামীম ওসমান বলেন, ২০১৩-১৫ সালে বিএনপি হরতালের নামে ৫'শ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোন রাজনীতি তা আমার জানা নেই। আমরা ভেবেছিলাম ওরা ভালো হয়ে গিয়েছে কিন্তু না তারা এখনো ভালো হয় নি। আমার জানা মতে, গত কয়েকদিন প্রায় ৩০০ গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে গতকাল ট্রেন লাইন কাটার চেষ্টা চালানো হয়। মানুষের জীবন নিয়ে, মানুষের মৃত্যুর মিছিল নিয়ে তাদের কি লাভ হচ্ছে?
তিনি বলেন, আমাদের উপর যে অত্যাচার-নিপীড়ন করা হয়েছে তা আমরা ভুলিনি। শুধুমাত্র সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাতেই আমাদের ১৭ জন মানুষকে মারা হয়েছে। আমাদের বহু ভাই, হাজার হাজার নেতাকর্মী বাড়িতে ঘরে থাকতে দেয় নাই। লন্ডনে বসে খুনি তারেক রহমান নির্দেশ দিচ্ছে আর বিএনপির লোকজন তা পালন করছে। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে তারা আগামীকাল ক্ষমতায় চলে আসবে। আমি আগে বলেছিলাম ক্ষমতার ৫২ হাজার কিলোমিটারের মধ্যেও তারা নাই। আর এখন বলছি তারা ক্ষমতার ৫২ লাখ কিলোমিটারের মধ্যেও নাই।
দ্রব্যমূল্য পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা মহল নির্বাচনের আগে পরিকল্পিত ভাবে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি করেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, 'একটা সময় এমন ছিল যে, মনে করা হত বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার এই দেশে হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে না। বিচার কিন্তু ঠিকই হয়েছে, দোষীরা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছে।
এইবার যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ও তার রাসুলের উসিলায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন তবে, যারা মজুদদার, যারা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুদ করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের পেটে লাথি দিয়েছেন, যারা পরিকল্পিতভাবে জিনিসপত্র মজুদ করে নিজের মুনাফা লুটার চেষ্টা করেছেন, এবং যারা আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন, তারা জেনে রাখুন, বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে কাউকে ছড়ে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মো. শহীদ বাদল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইঁয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন প্রমুখ।