মাহমুদা আক্তার ,তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি: ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও সংগ্রামী এক নাম তিতুমীর। আজ তার ১৯২তম মৃত্যুবার্ষিকী। রবিবার (১৯ নভেম্বর) তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন ওশিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ কাজী ফয়জুর রহমান। সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাইমুন হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন নিশাদ, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য আজাদ হোসেন, সাব্বির হোসেন সহ সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ ।
এ সময় শহীদ তিতুমীরের স্মৃতিচারণ নিয়ে আলোচনা করেন অথিতিবৃন্দ। বক্তারা বলেন, শহিদ তিতুমীর ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।যেখানে তিনি সব সময় বাঙালী জাতির পক্ষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে শহীদ তিতুমীরের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
১৭৮২ সালে ২৭ জানুয়ারি (১১৮৮ বঙ্গাব্দ, ১৪ মাঘ) আজকের এ দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশপরগনা জেলার হায়দারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর তিতুমীর।
তিতুমীরের প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী ও মাতার নাম আবিদা রোকেয়া খাতুন। তিনি ছিলেন কুরআনে হাফেজ, বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় দক্ষ এবং আরবি ও ফার্সি সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগী।
তিতুমীর ১৮২২ সালে হজব্রত পালনের জন্য মক্কা শরীফ যান এবং সেখানে তিনি বিখ্যাত ইসলামি ধর্মসংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ বেরেলীর সান্নিধ্য লাভ করেন। সাইয়িদ আহমদ তাকে বাংলার মুসলমানদের অনৈসলামিক রীতিনীতির অনুশীলন এবং বিদেশি শক্তির পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে তার আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার। মুসলিম সমাজে শিরক ও বিদআতের অনুশীলন নির্মূল করা। মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের অনুশাসন অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল তার আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য।
১৮২৭ সালে তিতুমীর নিজ গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের নিয়ে জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ৮৩ হাজার বাঙালি বিপ্লবী সাড়া জাগিয়েছিলেন তাদের মধ্যে শহীদ তিতুমীরের অবস্থান সামনের কাতারে।
বারাসতের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে ১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি বাঁশের কেল্লা তৈরি করে চব্বিশপরগনা, নদীয়া ও ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।১৮৩১ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রিটিশ সৈন্যরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯ নভেম্বরে বহুসংখ্যক অনুসারিসহ তিতুমীর শহীদ হন। অধিনায়ক গোলাম মাসুমসহ ৩৫০ জন বিপ্লবী সৈনিক ইংরেজদের হাতে বন্দি হন। গোলাম মাসুম মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত হন।
তিতুমীর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করেছে। ১৯৭১ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ কলেজ কে তার নাম অনুসারে সরকারি তিতুমীর কলেজ নামকরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন ওশিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ কাজী ফয়জুর রহমান। সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাইমুন হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন নিশাদ, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য আজাদ হোসেন, সাব্বির হোসেন সহ সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ ।
এ সময় শহীদ তিতুমীরের স্মৃতিচারণ নিয়ে আলোচনা করেন অথিতিবৃন্দ। বক্তারা বলেন, শহিদ তিতুমীর ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।যেখানে তিনি সব সময় বাঙালী জাতির পক্ষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে শহীদ তিতুমীরের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
১৭৮২ সালে ২৭ জানুয়ারি (১১৮৮ বঙ্গাব্দ, ১৪ মাঘ) আজকের এ দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশপরগনা জেলার হায়দারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর তিতুমীর।
তিতুমীরের প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী ও মাতার নাম আবিদা রোকেয়া খাতুন। তিনি ছিলেন কুরআনে হাফেজ, বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় দক্ষ এবং আরবি ও ফার্সি সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগী।
তিতুমীর ১৮২২ সালে হজব্রত পালনের জন্য মক্কা শরীফ যান এবং সেখানে তিনি বিখ্যাত ইসলামি ধর্মসংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ বেরেলীর সান্নিধ্য লাভ করেন। সাইয়িদ আহমদ তাকে বাংলার মুসলমানদের অনৈসলামিক রীতিনীতির অনুশীলন এবং বিদেশি শক্তির পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে তার আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার। মুসলিম সমাজে শিরক ও বিদআতের অনুশীলন নির্মূল করা। মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের অনুশাসন অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল তার আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য।
১৮২৭ সালে তিতুমীর নিজ গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের নিয়ে জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ৮৩ হাজার বাঙালি বিপ্লবী সাড়া জাগিয়েছিলেন তাদের মধ্যে শহীদ তিতুমীরের অবস্থান সামনের কাতারে।
বারাসতের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে ১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি বাঁশের কেল্লা তৈরি করে চব্বিশপরগনা, নদীয়া ও ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।১৮৩১ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রিটিশ সৈন্যরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯ নভেম্বরে বহুসংখ্যক অনুসারিসহ তিতুমীর শহীদ হন। অধিনায়ক গোলাম মাসুমসহ ৩৫০ জন বিপ্লবী সৈনিক ইংরেজদের হাতে বন্দি হন। গোলাম মাসুম মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত হন।
তিতুমীর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করেছে। ১৯৭১ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ কলেজ কে তার নাম অনুসারে সরকারি তিতুমীর কলেজ নামকরণ করা হয়।