'আমাকে নিয়েন না ভাই আমার ছেলে অসুস্থ, আমার মা অসুস্থ। আমাকে একটু পোশাক পরার সুযোগ দেন'। গত বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর রাতে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিফতাহ উদ্দিন শিকদারকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের সময় এভাবে পুলিশকে অনুনয়-বিনয় করেন তিনি। গতকাল শুক্রবার বিএনপির বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের এই ভিডিও গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহদাৎ হোসেন বলেন, মানুষতো কত কিছুই বলে। এসব অভিযোগের ভিত্তি নেই। মিফতাহ উদ্দীনকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।' বিএনপির মিডিয়া সেলের সরবরাহ করা ভিডিওতে দেখা যায়, মিফতাহ উদ্দীনকে খালি গায়ে সাদাপোশাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
তখন মিফতাহ উদ্দীন পুলিশকে বলছেন, 'আমাকে নিয়েন না ভাই। আমার ছেলে অসুস্থ আমার মা অসুস্থ। আমাকে একটু পোশাক পরার সুযোগ দেন'। মিফতাহের মাসহ পরিবারের স্বজনেরা গাড়িটি ঘিরে ধরেন। এ সময় মায়ের উদ্দেশ্যে মিফতাহ উদ্দীন বলেন, 'মা তুমি টেনশন করো না। আমি আবার ফিরে আসব'। এসময় এক পুলিশ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, এই চুপ থাক, তোর শরীরে একটু আঘাতও কেউ দিবে না।
এদিকে যুবদল নেতার স্বজনেরা জানিয়েছেন, মিফতাহ দীর্ঘদিন যাবত ঘরছাড়া ছিলেন। অসুস্থ মা ও শিশু সন্তানকে দেখতে কিছু সময়ের জন্য তিনি বাড়ি গিয়েছিল। সেই সুযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপির ছয় নেতাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অপর নেতারা হলেন, যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও ওয়ার্ড যুবদলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান।
এছাড়া মনিরামপুরের গোপালপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসান মেম্বারের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলে পিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'আজ রাজপথে বিএনপির কোনো কর্মসূচি না থাকলেও নেতাকর্মীদের পুলিশি অভিযান থেমে নেই। বিএনপির চলমান এক দফার আন্দোলনে পুলিশের দমন পীড়নের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। যা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে হতে পারে না'।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহদাৎ হোসেন বলেন, মানুষতো কত কিছুই বলে। এসব অভিযোগের ভিত্তি নেই। মিফতাহ উদ্দীনকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।' বিএনপির মিডিয়া সেলের সরবরাহ করা ভিডিওতে দেখা যায়, মিফতাহ উদ্দীনকে খালি গায়ে সাদাপোশাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
তখন মিফতাহ উদ্দীন পুলিশকে বলছেন, 'আমাকে নিয়েন না ভাই। আমার ছেলে অসুস্থ আমার মা অসুস্থ। আমাকে একটু পোশাক পরার সুযোগ দেন'। মিফতাহের মাসহ পরিবারের স্বজনেরা গাড়িটি ঘিরে ধরেন। এ সময় মায়ের উদ্দেশ্যে মিফতাহ উদ্দীন বলেন, 'মা তুমি টেনশন করো না। আমি আবার ফিরে আসব'। এসময় এক পুলিশ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, এই চুপ থাক, তোর শরীরে একটু আঘাতও কেউ দিবে না।
এদিকে যুবদল নেতার স্বজনেরা জানিয়েছেন, মিফতাহ দীর্ঘদিন যাবত ঘরছাড়া ছিলেন। অসুস্থ মা ও শিশু সন্তানকে দেখতে কিছু সময়ের জন্য তিনি বাড়ি গিয়েছিল। সেই সুযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপির ছয় নেতাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অপর নেতারা হলেন, যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও ওয়ার্ড যুবদলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান।
এছাড়া মনিরামপুরের গোপালপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসান মেম্বারের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলে পিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'আজ রাজপথে বিএনপির কোনো কর্মসূচি না থাকলেও নেতাকর্মীদের পুলিশি অভিযান থেমে নেই। বিএনপির চলমান এক দফার আন্দোলনে পুলিশের দমন পীড়নের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। যা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে হতে পারে না'।