সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: দুই এমপির দ্বন্দ্বের জেরে বদলি হলেন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনাটি এখন উপজেলাবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। কর্মস্থলে যোগদানের পাঁচ মাস নয় দিনের মাথায় বদলি হলেন এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানাকে জামালগঞ্জ থেকে বদলি করে সিলেটের কুলাউড়া উপজেলায় যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও মধ্যনগর)আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যাড. শামীমা আক্তার খানমের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। দুজনই সেখানে সভা সমাবেশ করে নিজের প্রার্থিতা জানান দেবার চেষ্টা করছেন। আধিপত্যের লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ উপজেলার সকল ভাতা-ভোগীদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেন সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। উক্ত সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য শামীমা আক্তার খানম ইউএনও কে ফোন দেন। কিন্তু এমপি রতন তাতে আপত্তি জানান।
পরে উক্ত সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকায় ক্ষুব্ধ হন এমপি রতন।এ ঘটনায় ইউএনওকে নিয়ে দুই এমপি’র মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ইউএনও’র বদলির আদেশ হলে এমপি রতনের সমর্থকরা আনন্দ উল্লাস করেন। অপরদিকে শামীমা আক্তার খানমের সমর্থকরা এলাকায় প্রচার দেন, ইউএনও জামালগঞ্জেই থাকবেন, হতাশার কিছু নেই।
মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সমর্থিত জামালগঞ্জের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা যোগদানের পর অল্পদিনের মধ্যেই কয়েকটি ঘটনায় এলাকাতে বেশ বিতর্কিত হয়েছেন। তিনি এলাকার মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে উপজেলার বেহেলীতে কৃষকদের ধান শুকানোর খলায় মাটি ভরাট করে বাজার করতে চাচ্ছেন।এরকম বিতর্কিত অনেক কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে সকল ভাতা ভোগীদের নিয়ে সমাবেশ ডেকেছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। কিন্তু তিনি সেই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। এছাড়াও সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি ময়মনসিংহ চলে যান এবং আসেন সোমবারে। এভাবে চলতে পারে না। এজন্যই হয়তো কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করেছেন।
এমপি শামীমা সমর্থিত জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দি বলেন, ইউএনও সাহেব লোক ভালো, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে যারা লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছানোর ধান্দায় লিপ্ত তারাই ইউএনওকে বদলি করার পায়তারা করছে । এলাকাবাসীর সুবিধার্থেই সেখানে বাজার নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন ইউএনও। এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ত্যাগী রাজনীতিবিদ বরুণ রায়ের নামে একটি বাজার স্থাপন করার প্রস্তাব আমরাই উনাকে দিয়েছিলাম। এখানে ইউএনও’র ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শামীমা আক্তার খানম জানান, জামালগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। অনেকেই এটিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। উপকার ভোগীদের যে প্রোগ্রামের জন্য ইউএনওকে দোষারোপ করা হচ্ছে। সেই প্রোগ্রামে আমি অতিথি হিসেবে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। ইউএনও সাহেব আমাকে জানান, রতন সাহেব সেটি মানছেন না। পরে আমি ইউএনওকে বলেছিলাম, সরকারের পক্ষে তিনি সেখানে গেলে, আমিও সেখানে যাব। শুনেছি এই প্রোগ্রাম নিয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। তিনিও বেহেলীতে বরুণ রায়’র নামে বাজার করার পক্ষে মন্তব্য করেছেন।
সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন জানান, জামালগঞ্জের ইউএনও’র বদলি সরকারের রুটিন মাফিক কাজ। এখানে আমার কোন হাত নেই।
জামালগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সরকারি কর্মকর্তা। আমার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটিই আমাকে মানতে হবে।
ভাতা-ভোগীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাতা-ভোগীদের প্রোগ্রামটি ছিল একটি সরকারি প্রোগ্রাম। সেখানে দুইজন এমপি উপস্থিত থাকতে চাইলে আমি আটকাবো কীভাবে? একজন যদি বলেন, আরেকজন আসতে পারবে না, সেটিও তো একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমি একমত থাকতে পারি না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও মধ্যনগর)আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যাড. শামীমা আক্তার খানমের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। দুজনই সেখানে সভা সমাবেশ করে নিজের প্রার্থিতা জানান দেবার চেষ্টা করছেন। আধিপত্যের লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ উপজেলার সকল ভাতা-ভোগীদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেন সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। উক্ত সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য শামীমা আক্তার খানম ইউএনও কে ফোন দেন। কিন্তু এমপি রতন তাতে আপত্তি জানান।
পরে উক্ত সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকায় ক্ষুব্ধ হন এমপি রতন।এ ঘটনায় ইউএনওকে নিয়ে দুই এমপি’র মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ইউএনও’র বদলির আদেশ হলে এমপি রতনের সমর্থকরা আনন্দ উল্লাস করেন। অপরদিকে শামীমা আক্তার খানমের সমর্থকরা এলাকায় প্রচার দেন, ইউএনও জামালগঞ্জেই থাকবেন, হতাশার কিছু নেই।
মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সমর্থিত জামালগঞ্জের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা যোগদানের পর অল্পদিনের মধ্যেই কয়েকটি ঘটনায় এলাকাতে বেশ বিতর্কিত হয়েছেন। তিনি এলাকার মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে উপজেলার বেহেলীতে কৃষকদের ধান শুকানোর খলায় মাটি ভরাট করে বাজার করতে চাচ্ছেন।এরকম বিতর্কিত অনেক কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে সকল ভাতা ভোগীদের নিয়ে সমাবেশ ডেকেছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। কিন্তু তিনি সেই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। এছাড়াও সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি ময়মনসিংহ চলে যান এবং আসেন সোমবারে। এভাবে চলতে পারে না। এজন্যই হয়তো কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করেছেন।
এমপি শামীমা সমর্থিত জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দি বলেন, ইউএনও সাহেব লোক ভালো, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে যারা লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছানোর ধান্দায় লিপ্ত তারাই ইউএনওকে বদলি করার পায়তারা করছে । এলাকাবাসীর সুবিধার্থেই সেখানে বাজার নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন ইউএনও। এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ত্যাগী রাজনীতিবিদ বরুণ রায়ের নামে একটি বাজার স্থাপন করার প্রস্তাব আমরাই উনাকে দিয়েছিলাম। এখানে ইউএনও’র ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শামীমা আক্তার খানম জানান, জামালগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। অনেকেই এটিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। উপকার ভোগীদের যে প্রোগ্রামের জন্য ইউএনওকে দোষারোপ করা হচ্ছে। সেই প্রোগ্রামে আমি অতিথি হিসেবে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। ইউএনও সাহেব আমাকে জানান, রতন সাহেব সেটি মানছেন না। পরে আমি ইউএনওকে বলেছিলাম, সরকারের পক্ষে তিনি সেখানে গেলে, আমিও সেখানে যাব। শুনেছি এই প্রোগ্রাম নিয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। তিনিও বেহেলীতে বরুণ রায়’র নামে বাজার করার পক্ষে মন্তব্য করেছেন।
সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন জানান, জামালগঞ্জের ইউএনও’র বদলি সরকারের রুটিন মাফিক কাজ। এখানে আমার কোন হাত নেই।
জামালগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সরকারি কর্মকর্তা। আমার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটিই আমাকে মানতে হবে।
ভাতা-ভোগীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাতা-ভোগীদের প্রোগ্রামটি ছিল একটি সরকারি প্রোগ্রাম। সেখানে দুইজন এমপি উপস্থিত থাকতে চাইলে আমি আটকাবো কীভাবে? একজন যদি বলেন, আরেকজন আসতে পারবে না, সেটিও তো একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমি একমত থাকতে পারি না।