প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বস্ত করেছেন। ২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ ছিল শূন্য দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার, এখন রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার আছে।
সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সফর শেষে সোমবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, সাধারণত কোনো দেশের তিন মাসের বৈদেশিক মুদ্রার দায় মেটানোর মতো মজুত থাকতে হয়- বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এরচেয়ে আরও বেশি রিজার্ভ আছে। কাজেই এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
‘আমাদের সেইটুকু থাকা দরকার, যদি কোনো আপৎকালীন সময় হয়, যেমন এই ঝড় ঝঞ্ঝা- এরকম ক্ষেত্রে, আমাদের খাদ কিনতে যদি ঘাটতি দেখা দেয়, সেই খাদ্য কেনার মতো, অর্থাৎ তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো ডলারটা যেন আমাদের হাতে থাকে। ওইটা নিয়েই রিজার্ভের জন্য চিন্তা। এছাড়া রিজার্ভের এত চিন্তা না।’
তিনি বলেন, ডলার সঙ্কট এখন পুরো বিশ্বব্যাপী, এটা শুধু বাংলাদেশে না। প্রথম গেল করোনা অতিমারী, আর তারপর ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ, আর সেই যুদ্ধের সঙ্গে স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন। যার ফলে আজকে সারা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়ে গেছে…। দ্বিতীয় হচ্ছে পরিবহণ, পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেছে, যার কারণে ডলার সঙ্কটটা এখন সমগ্র বিশ্বেই রয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা অতিমারির মধ্যে যেটা হয়েছিল যে আমদানি রপ্তানি বন্ধ, বিদেশে যাতায়াত বন্ধ, সবকিছু বন্ধ থাকাতে খরচও আমাদের কম ছিল, ভ্যাকসিন কিনতেই যা ডলার লেগেছিল, বাকি আমরা খুল ভালোভাবে একটা রিজার্ভ রাখতে পেরেছিলাম। কিন্তু এরপর যখন আবার অর্থনীতি উন্মুক্ত হলো, স্বাভাবিকভাবেই সেই সুযোগটা থাকেনি, ডলার খরচ হচ্ছে এবং হবে। তার থেকেও বড় কথা, মানুষকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি, গ্যাস দিয়ে এখানে ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে, বিনিয়োগ হচ্ছে, উৎপাদন বাড়ছে।
তিনি বলেন, কাজেই ডলারের ওপর চাপ পড়বে, তবে সেই চাপটা… আমরা একটা কথা বলি, আমরা তো আগেও সরকারে এসেছি, যখন ৯৬ সালে এসেছিলাম, তখন কতটুকু ছিল আমাদের রিজার্ভ? জাতির পিতা যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়তে শুরু করেন, তখন তো এক পয়সাও রিজার্ভ ছিল না। আমরা কি চলি নাই, আমরা কি এগোতে পারিনি?
ডলার আর রিজার্ভ নিয়ে বেশি বেশি কথা বলতে বলতেই সবার মাথায় ওই রিজার্ভই ঢুকে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ এখনো যা আছে, তাতে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের এখনো কোনো সঙ্কট এভাবে নেই। তবে হ্যাঁ, আমরা সব সময় চেষ্টা করি, যে রিজার্ভটা যেন আমাদের ধরে থাকে, সেদিকে।’
সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সফর শেষে সোমবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, সাধারণত কোনো দেশের তিন মাসের বৈদেশিক মুদ্রার দায় মেটানোর মতো মজুত থাকতে হয়- বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এরচেয়ে আরও বেশি রিজার্ভ আছে। কাজেই এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
‘আমাদের সেইটুকু থাকা দরকার, যদি কোনো আপৎকালীন সময় হয়, যেমন এই ঝড় ঝঞ্ঝা- এরকম ক্ষেত্রে, আমাদের খাদ কিনতে যদি ঘাটতি দেখা দেয়, সেই খাদ্য কেনার মতো, অর্থাৎ তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো ডলারটা যেন আমাদের হাতে থাকে। ওইটা নিয়েই রিজার্ভের জন্য চিন্তা। এছাড়া রিজার্ভের এত চিন্তা না।’
তিনি বলেন, ডলার সঙ্কট এখন পুরো বিশ্বব্যাপী, এটা শুধু বাংলাদেশে না। প্রথম গেল করোনা অতিমারী, আর তারপর ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ, আর সেই যুদ্ধের সঙ্গে স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন। যার ফলে আজকে সারা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়ে গেছে…। দ্বিতীয় হচ্ছে পরিবহণ, পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেছে, যার কারণে ডলার সঙ্কটটা এখন সমগ্র বিশ্বেই রয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা অতিমারির মধ্যে যেটা হয়েছিল যে আমদানি রপ্তানি বন্ধ, বিদেশে যাতায়াত বন্ধ, সবকিছু বন্ধ থাকাতে খরচও আমাদের কম ছিল, ভ্যাকসিন কিনতেই যা ডলার লেগেছিল, বাকি আমরা খুল ভালোভাবে একটা রিজার্ভ রাখতে পেরেছিলাম। কিন্তু এরপর যখন আবার অর্থনীতি উন্মুক্ত হলো, স্বাভাবিকভাবেই সেই সুযোগটা থাকেনি, ডলার খরচ হচ্ছে এবং হবে। তার থেকেও বড় কথা, মানুষকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি, গ্যাস দিয়ে এখানে ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে, বিনিয়োগ হচ্ছে, উৎপাদন বাড়ছে।
তিনি বলেন, কাজেই ডলারের ওপর চাপ পড়বে, তবে সেই চাপটা… আমরা একটা কথা বলি, আমরা তো আগেও সরকারে এসেছি, যখন ৯৬ সালে এসেছিলাম, তখন কতটুকু ছিল আমাদের রিজার্ভ? জাতির পিতা যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়তে শুরু করেন, তখন তো এক পয়সাও রিজার্ভ ছিল না। আমরা কি চলি নাই, আমরা কি এগোতে পারিনি?
ডলার আর রিজার্ভ নিয়ে বেশি বেশি কথা বলতে বলতেই সবার মাথায় ওই রিজার্ভই ঢুকে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ এখনো যা আছে, তাতে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের এখনো কোনো সঙ্কট এভাবে নেই। তবে হ্যাঁ, আমরা সব সময় চেষ্টা করি, যে রিজার্ভটা যেন আমাদের ধরে থাকে, সেদিকে।’