প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে সর্বাত্ম অবরোধের মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। তিনদিকে দখলদার ইসরায়েল এবং একদিকে রয়েছে মিশর। ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় সেখানকার লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বিপর্যস্ত। খাবার, পানিও মিলছে না। এমন অবস্থার মধ্যে গাজায় ভারী বর্ষণ হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে ভিজে ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করেছেন অনেক ফিলিস্তিনি।
এক শিশু হাসিমুখে বলছে, আল্লাহ আমাদের জন্য পানি পাঠিয়েছেন। অবরুদ্ধ গাজায় সাধারণত ইসরায়েল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। রয়েছে পানির লাইনও। এছাড়া বিদ্যুতের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে গাজাবাসী নিজেদের খাবার পানির ব্যবস্থা করেন। তবে এক মাসের বেশি সময় ধরে পানি সংকটে ভুগছে তারা। এমন অবস্থায় বৃষ্টি যেন তাদের কিছুটা আনন্দ এনে দিয়েছে। খবর টিআরটির
এদিকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের অধীনে থাকা গাজায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফিলিস্তিনি শিশু তার আনন্দ প্রকাশ করে বলছে, ‘আল্লাহ আমাদের পানি পান করার জন্য বৃষ্টি পাঠিয়েছেন।’ বৃষ্টির পানিতে ভরা বালতি দেখিয়ে ফিলিস্তিনি শিশু বলছে, ‘আল্লাহ জানেন যে আমরা কষ্টে আছি। সেজন্য তিনি আমাদের পানি পাঠিয়েছেন। এটি বিশুদ্ধ পানি। আপনি দেখতেই পাচ্ছেন।’
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ছিটমহলটিতে যে গুটিকয়েক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে তার প্রায় সবই বন্ধ হয়ে গেছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১১ হাজার ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু ও নারী বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অবরুদ্ধ ছিটমহলের সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১৫৩টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনটি গির্জা। গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার কৃষি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১৮০ মিলিয়ন ডলার। গাজার যে অল্প পরিমাণ কৃষি এলাকা রয়েছে তার ২৫ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে গাজার মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরাসরি ৯২টি সরকারি অফিস, ২৪১টি স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। গত ৩৭ দিনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে আক্রমণ করছে। আবাসিক এলাকাগুলো পুরোপরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গাজায় নিহতদের প্রায় সবাই বেসামরিক নাগরিক।
গত রোবববার জাতিসংঘ জানিয়েছে অক্সিজেন প্রস্তুতকারী যন্ত্র, পানির ট্যাংক, ম্যাটার্নিটি ওয়ার্ড ও হৃদরোগ বিভাগ-সহ হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বোমা হামলায় ধ্বংস হয়েছে। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ১০১ জন জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
এক শিশু হাসিমুখে বলছে, আল্লাহ আমাদের জন্য পানি পাঠিয়েছেন। অবরুদ্ধ গাজায় সাধারণত ইসরায়েল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। রয়েছে পানির লাইনও। এছাড়া বিদ্যুতের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে গাজাবাসী নিজেদের খাবার পানির ব্যবস্থা করেন। তবে এক মাসের বেশি সময় ধরে পানি সংকটে ভুগছে তারা। এমন অবস্থায় বৃষ্টি যেন তাদের কিছুটা আনন্দ এনে দিয়েছে। খবর টিআরটির
এদিকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের অধীনে থাকা গাজায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফিলিস্তিনি শিশু তার আনন্দ প্রকাশ করে বলছে, ‘আল্লাহ আমাদের পানি পান করার জন্য বৃষ্টি পাঠিয়েছেন।’ বৃষ্টির পানিতে ভরা বালতি দেখিয়ে ফিলিস্তিনি শিশু বলছে, ‘আল্লাহ জানেন যে আমরা কষ্টে আছি। সেজন্য তিনি আমাদের পানি পাঠিয়েছেন। এটি বিশুদ্ধ পানি। আপনি দেখতেই পাচ্ছেন।’
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ছিটমহলটিতে যে গুটিকয়েক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে তার প্রায় সবই বন্ধ হয়ে গেছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১১ হাজার ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু ও নারী বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অবরুদ্ধ ছিটমহলের সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১৫৩টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনটি গির্জা। গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার কৃষি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১৮০ মিলিয়ন ডলার। গাজার যে অল্প পরিমাণ কৃষি এলাকা রয়েছে তার ২৫ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে গাজার মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরাসরি ৯২টি সরকারি অফিস, ২৪১টি স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। গত ৩৭ দিনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে আক্রমণ করছে। আবাসিক এলাকাগুলো পুরোপরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গাজায় নিহতদের প্রায় সবাই বেসামরিক নাগরিক।
গত রোবববার জাতিসংঘ জানিয়েছে অক্সিজেন প্রস্তুতকারী যন্ত্র, পানির ট্যাংক, ম্যাটার্নিটি ওয়ার্ড ও হৃদরোগ বিভাগ-সহ হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বোমা হামলায় ধ্বংস হয়েছে। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ১০১ জন জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’