সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। আজ সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বরেণ্য এই অভিনেতার প্রয়াণে শোকে মুহ্যমান পুরো ঢালিউড। চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঢালিউড শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। জানান, একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছেন তিনি।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন শাকিব। সেখানে তিনি লেখেন, ‘চলে গেলেন আমাদের প্রিয় মিয়া ভাই (আকবর পাঠান ফারুক)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। যত দিন তিনি সুস্থ-সবল ছিলেন, তত দিন আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন।’
‘আমার যেকোনো ভালো কাজ এবং ছবির পোস্টার কিংবা ট্রেলার রিলিজ দেখে তিনি নিজ থেকে অ্যাপ্রিশিয়েট করে গর্বিত হতেন। আমার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন।’ এছাড়াও শাকিব লেখেন, ‘কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই মহান মানুষটির সঙ্গে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে প্রিয় অভিনেতা হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। ওপারে অনেক শান্তিতে থাকবেন।’
এর আগে ২০২১ সালের ৪ মার্চ সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। চেকআপের পর তখন তার ইনফেকশন ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফারুক। প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
১৯৭৫ সালে তার অভিনীত 'সুজন সখী' ও 'লাঠিয়াল' সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর 'লাঠিয়াল'র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে 'সূর্যগ্রহণ' ও 'নয়নমণি', ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের 'সারেং বৌ', আমজাদ হোসেনের 'গোলাপী এখন ট্রেনে'সহ বেশকিছু সিনেমায় 'মিয়া ভাই'খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন শাকিব। সেখানে তিনি লেখেন, ‘চলে গেলেন আমাদের প্রিয় মিয়া ভাই (আকবর পাঠান ফারুক)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। যত দিন তিনি সুস্থ-সবল ছিলেন, তত দিন আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন।’
‘আমার যেকোনো ভালো কাজ এবং ছবির পোস্টার কিংবা ট্রেলার রিলিজ দেখে তিনি নিজ থেকে অ্যাপ্রিশিয়েট করে গর্বিত হতেন। আমার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন।’ এছাড়াও শাকিব লেখেন, ‘কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই মহান মানুষটির সঙ্গে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে প্রিয় অভিনেতা হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। ওপারে অনেক শান্তিতে থাকবেন।’
এর আগে ২০২১ সালের ৪ মার্চ সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। চেকআপের পর তখন তার ইনফেকশন ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফারুক। প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
১৯৭৫ সালে তার অভিনীত 'সুজন সখী' ও 'লাঠিয়াল' সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর 'লাঠিয়াল'র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে 'সূর্যগ্রহণ' ও 'নয়নমণি', ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের 'সারেং বৌ', আমজাদ হোসেনের 'গোলাপী এখন ট্রেনে'সহ বেশকিছু সিনেমায় 'মিয়া ভাই'খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।