দীর্ঘ ১৯ বছর পর আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) নরসিংদী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। প্রকল্পসমূহ উদ্বোধনের পর জেলার মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা নরসিংদী। এসএসএফ, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নরসিংদীতে অবস্থান করছেন। এছাড়া নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়াম ও আশপাশ এলাকা এবং পলাশের ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারখারখানা এলকায় নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, জনসভা হবে মানুষের জনসমুদ্র। প্রবেশ পথগুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে উৎসবের আমেজ চলছে পুরো জেলা জুড়ে।
প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১১টায় পলাশে এশিয়ার বৃহত্তম গ্রীন ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। শেষে বেলা আড়াইটায় নরসিংদী সারকিট হাউজে এসে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিবেন বলে আশা করছে জেলা প্রশাসন। মধ্যাহ্নভোজ শেষে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে বসে অনলাইনে ৪৭ কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ১২৬ টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাকি ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী নরসিংদী আগমনের চিঠি পাওয়ার পরই সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সঙ্গে মিটিং করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে পলাশে আসবেন। সারকারখানা উদ্বোধন করে একটি সংক্ষিপ্ত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
পরে তিনি নরসিংদী সার্কিট হাউজে আসবেন। সার্কিট হাউজ থেকে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে জনসভায় যোগ দিবেন। উল্লেখযোগ্য এ তিনটিস্থানেই এসএসএফ এর অগ্রগতি দল রেকি করেছে। এসএসএফএর দুটি দল সার্বক্ষণিক পলাশে ও নরসিংদীতে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে মঞ্চ ও হ্যালিপেড তৈরি, রাস্তাঘাটের সংস্কার কাজসহ পূর্ণ প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এই প্রোগ্রামটির সমন্বয় করছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নরসিংদী ব্র্যান্ডিং প্রডাক্ট জিআই পণ্য যেমন কলা, লটকন, তাঁতের শাড়ি, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, শহীদ আসাদসহ নরসিংদীর উল্লেখযোগ্য ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য নরসিংদীর বিভিন্ন যায়গায় ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম তালেব হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে সকল আয়োজন সম্পন্ন। সকল মতভেদ ও মান অভিমান ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নরসিংদীর সর্বস্তরের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে।
জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নরসিংদীর আরও উন্নয়নে কোন দাবি আছে কি না, জানতে চাইলে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বলেন, নরসিংদীবাসীর পক্ষ থেকে একটি পাবলিক লাইব্রেরি, মেডিকেল কলেজ ও কয়েকটি হিমাগার নির্মাণের জন্য দাবি করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী বলেন, জনসভা সফল করার জন্য দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর সহযোগিতা পাচ্ছি। এই জনসভায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পাশের তিনটি জেলা থেকেও নেকাকর্মীরা আসবেন।
মহাসমাবেশস্থল মোসলেহ উদ্দিন মাঠে এসএসএফসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন সর্বোচ্চ সতর্কতায়। মাঠের উত্তর পশ্চিম কোণায় নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে সভামঞ্চ। পাশেই মিডিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও অতিথি কর্নার। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা নরসিংদী। এসএসএফ, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নরসিংদীতে অবস্থান করছেন। এছাড়া নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়াম ও আশপাশ এলাকা এবং পলাশের ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারখারখানা এলকায় নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, জনসভা হবে মানুষের জনসমুদ্র। প্রবেশ পথগুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে উৎসবের আমেজ চলছে পুরো জেলা জুড়ে।
প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১১টায় পলাশে এশিয়ার বৃহত্তম গ্রীন ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। শেষে বেলা আড়াইটায় নরসিংদী সারকিট হাউজে এসে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিবেন বলে আশা করছে জেলা প্রশাসন। মধ্যাহ্নভোজ শেষে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে বসে অনলাইনে ৪৭ কোটি ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ১২৬ টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাকি ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী নরসিংদী আগমনের চিঠি পাওয়ার পরই সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সঙ্গে মিটিং করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে পলাশে আসবেন। সারকারখানা উদ্বোধন করে একটি সংক্ষিপ্ত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
পরে তিনি নরসিংদী সার্কিট হাউজে আসবেন। সার্কিট হাউজ থেকে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে জনসভায় যোগ দিবেন। উল্লেখযোগ্য এ তিনটিস্থানেই এসএসএফ এর অগ্রগতি দল রেকি করেছে। এসএসএফএর দুটি দল সার্বক্ষণিক পলাশে ও নরসিংদীতে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে মঞ্চ ও হ্যালিপেড তৈরি, রাস্তাঘাটের সংস্কার কাজসহ পূর্ণ প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এই প্রোগ্রামটির সমন্বয় করছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নরসিংদী ব্র্যান্ডিং প্রডাক্ট জিআই পণ্য যেমন কলা, লটকন, তাঁতের শাড়ি, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, শহীদ আসাদসহ নরসিংদীর উল্লেখযোগ্য ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য নরসিংদীর বিভিন্ন যায়গায় ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম তালেব হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে সকল আয়োজন সম্পন্ন। সকল মতভেদ ও মান অভিমান ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নরসিংদীর সর্বস্তরের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে।
জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নরসিংদীর আরও উন্নয়নে কোন দাবি আছে কি না, জানতে চাইলে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বলেন, নরসিংদীবাসীর পক্ষ থেকে একটি পাবলিক লাইব্রেরি, মেডিকেল কলেজ ও কয়েকটি হিমাগার নির্মাণের জন্য দাবি করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী বলেন, জনসভা সফল করার জন্য দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর সহযোগিতা পাচ্ছি। এই জনসভায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পাশের তিনটি জেলা থেকেও নেকাকর্মীরা আসবেন।
মহাসমাবেশস্থল মোসলেহ উদ্দিন মাঠে এসএসএফসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন সর্বোচ্চ সতর্কতায়। মাঠের উত্তর পশ্চিম কোণায় নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে সভামঞ্চ। পাশেই মিডিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও অতিথি কর্নার। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা