চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো খেলতে পারেনি। সুতরাং, আজ সোমবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার সাথে জিততে পারবে তো সাকিব আল হাসানের দল? ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং কোন বিভাগই জ্বলে ওঠেনি। পুরো দল ফ্লপ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া ব্যর্থতার ঘানি টেনেছেন প্রায় সবাই। শুধু দলই খারাপ খেলেনি। ব্যক্তিগতভাবে রিয়াদ রান করলেও তা দলকে টেনে নেয়ার মতো যথেষ্ঠ ছিল না।
অন্যদের ন্যুনতম সাপোর্টও তিনি পাননি। যে ম্যাচটিতে সেঞ্চুরি করেছেন, সেটাতে বলতে গেলে একাই খেলেছেন। তাই টিম বাংলাদেশ তলানিতেই পড়ে আছে। এমন এক ছন্নছাড়া ও অনুজ্জ্বল দল নিয়ে কি আজ শ্রীলঙ্কাকে হারানো সম্ভব? এ প্রশ্ন অনেক বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকের মুখেই শোনা যাচ্ছে।
এদিকে তাদের জন্য বলা, যে দল পুরো আসরে আগের ৭ ম্যাচে একবারের জন্যও ৩০০’র ঘরে পৌঁছাতে পারেনি, যে দলের ওপেনার ও প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের প্রায় সবাই রান খরায় ভুগছেন, ৬ নম্বর ব্যাটার একমাত্র সেঞ্চুরি করেছেন, সেই দলের ব্যাটিং রাতারাতি ভালো হয়ে যাবে, ব্যাটারররা ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে রান পাহাড় গড়ে বসবেন- এমন ভাবাও যে আকাশ-কুসুম কল্পনা!
তাহলে কি বাংলাদেশের কোনই আশা নেই? আছে। বেশি কিছু করার দরকার নেই। বিশ্বকাপের আগে গা গরমের ম্যাচের পারফরমেন্সটাই হতে পারে আজ দিল্লিতে লঙ্কানদেরকে হারানোর কার্যকর দাওয়াই বা রসদ। গত ২৯ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটিতে হওয়া বিশ্বকাপের সেই প্রস্ততি ম্যাচে লঙ্কানদের হেসে খেলে, অতি সহজে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ দল।
সবচেয়ে বড় কথা নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ওই ম্যাচ খেলেননি। সহ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও সে ম্যাচে ছিলেন না। অধিনায়কত্ব করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। বল ও ব্যাট হাতে দারুন চৌকশ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরাও হন তিনি। আহামরি কোনো পারফরমেন্স না হলেও ওই গা গরমের ম্যাচে বোলিং ও ব্যাটিংয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো হয়েছিল।
প্রথম সেশনে বোলাররা প্রায় সবাই ভালো ও মাপা বোলিং করে লঙ্কানদের ২৬৩ রানে বেঁধে ফেলেন। এরপর লিটন দাস ও তানজিদ তামিম ওপেনিং জুটিতে আস্থা ও দৃঢ়তার সাথে খেলে শুরুটা ভাল করে দেন। তাতেই গড়ে ওঠে সহজ জয়ের ভিত। প্রথমে দুই অফস্পিনার শেখ মাহদি এবং মেহেদি হাসান মিরাজ দারুন বোলিং করে লঙ্কানদের ২৬০-এর ঘরে বেঁধে ফেলেন।
শেখ মাহদি ৩ উইকেট দখল করেন ৩৬ রানে। অফস্পিনার মিরাজের ঝুলিতে একটি মাত্র উইকেট জমা পড়লেও তার দারুন মাপা ও সমীহ জাগানো বোলিংয়ের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি লঙ্কানরা। ২৬৪ রানের মাঝারি লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে দারুন আস্থা, আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস।
এদিকে তিন লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা, দিলশান মধুশাঙ্কা আর লাহিরু কুমারা এবং স্পিনার মহেশ থিকসানা, দুসান হেমন্ত এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে একদম স্বচ্ছন্দে খেলে প্রথম উইকেটে ১৩১ রান তুলে দেন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। দুই ওপেনারই ফিফটি হাঁকান। তানজিদ তামিম উপহার দেন ৮৮ বলে ৮৪ রানের সাহসী ইনিংস। লিটন দাস করেন ৫৬ বলে ৬১। শুরুতে ২ ওপেনার ভাল খেলে রান করলে পরের দিককার ব্যাটারদের স্বচ্ছন্দে ও স্বাভাবিক ছন্দে খেলা সহজ হয়।
তার প্রমাণ, ওয়ান ডাউনে নেমে সে ম্যাচের ক্যাপ্টেন মিরাজের (৬৪ বলে ৬৭) দারুন খেলে হার না মানা ফিফটি করা। সাথে মিডল অর্ডার মুশফিকুর রহিমও (৪৩ বলে ৩৫) বেশ আস্থার সাথে খেলে দল জিতিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪৮ বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তেমন না হলেও পুরো বিশ্বকাপে শুধু ভারতের বিপক্ষে লিটন ও তনজিদ তামিম প্রথম উইকেটে ৯৩ রান তুলে দিয়েছিলেন।
তাই স্কোর গিয়ে ঠেকেছিল ২৫৬-তে। আর অন্য কোন খেলায় শুরুটা ভাল হয়নি। শূন্য রানে ওপেনিং জুটি ভেঙ্গেছে ২ ম্যাচে। আর কোনো ম্যাচে প্রথম উইকেটে ৩০ রানও ওঠেনি। তাই টপ ও মিডল অর্ডারে রিয়াদ ছাড়া কেউ মাথা তুলেও দাঁড়াতে পারেননি। এখন দেখার বিষয় আজ সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনাররা ভাল খেলে পরের দিককার ব্যাটারদের স্বচ্ছন্দে খেলার পথ তৈরি করে দিতে পারেন কি না?
অন্যদের ন্যুনতম সাপোর্টও তিনি পাননি। যে ম্যাচটিতে সেঞ্চুরি করেছেন, সেটাতে বলতে গেলে একাই খেলেছেন। তাই টিম বাংলাদেশ তলানিতেই পড়ে আছে। এমন এক ছন্নছাড়া ও অনুজ্জ্বল দল নিয়ে কি আজ শ্রীলঙ্কাকে হারানো সম্ভব? এ প্রশ্ন অনেক বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকের মুখেই শোনা যাচ্ছে।
এদিকে তাদের জন্য বলা, যে দল পুরো আসরে আগের ৭ ম্যাচে একবারের জন্যও ৩০০’র ঘরে পৌঁছাতে পারেনি, যে দলের ওপেনার ও প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের প্রায় সবাই রান খরায় ভুগছেন, ৬ নম্বর ব্যাটার একমাত্র সেঞ্চুরি করেছেন, সেই দলের ব্যাটিং রাতারাতি ভালো হয়ে যাবে, ব্যাটারররা ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে রান পাহাড় গড়ে বসবেন- এমন ভাবাও যে আকাশ-কুসুম কল্পনা!
তাহলে কি বাংলাদেশের কোনই আশা নেই? আছে। বেশি কিছু করার দরকার নেই। বিশ্বকাপের আগে গা গরমের ম্যাচের পারফরমেন্সটাই হতে পারে আজ দিল্লিতে লঙ্কানদেরকে হারানোর কার্যকর দাওয়াই বা রসদ। গত ২৯ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটিতে হওয়া বিশ্বকাপের সেই প্রস্ততি ম্যাচে লঙ্কানদের হেসে খেলে, অতি সহজে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ দল।
সবচেয়ে বড় কথা নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ওই ম্যাচ খেলেননি। সহ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও সে ম্যাচে ছিলেন না। অধিনায়কত্ব করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। বল ও ব্যাট হাতে দারুন চৌকশ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরাও হন তিনি। আহামরি কোনো পারফরমেন্স না হলেও ওই গা গরমের ম্যাচে বোলিং ও ব্যাটিংয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো হয়েছিল।
প্রথম সেশনে বোলাররা প্রায় সবাই ভালো ও মাপা বোলিং করে লঙ্কানদের ২৬৩ রানে বেঁধে ফেলেন। এরপর লিটন দাস ও তানজিদ তামিম ওপেনিং জুটিতে আস্থা ও দৃঢ়তার সাথে খেলে শুরুটা ভাল করে দেন। তাতেই গড়ে ওঠে সহজ জয়ের ভিত। প্রথমে দুই অফস্পিনার শেখ মাহদি এবং মেহেদি হাসান মিরাজ দারুন বোলিং করে লঙ্কানদের ২৬০-এর ঘরে বেঁধে ফেলেন।
শেখ মাহদি ৩ উইকেট দখল করেন ৩৬ রানে। অফস্পিনার মিরাজের ঝুলিতে একটি মাত্র উইকেট জমা পড়লেও তার দারুন মাপা ও সমীহ জাগানো বোলিংয়ের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি লঙ্কানরা। ২৬৪ রানের মাঝারি লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে দারুন আস্থা, আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস।
এদিকে তিন লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা, দিলশান মধুশাঙ্কা আর লাহিরু কুমারা এবং স্পিনার মহেশ থিকসানা, দুসান হেমন্ত এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে একদম স্বচ্ছন্দে খেলে প্রথম উইকেটে ১৩১ রান তুলে দেন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। দুই ওপেনারই ফিফটি হাঁকান। তানজিদ তামিম উপহার দেন ৮৮ বলে ৮৪ রানের সাহসী ইনিংস। লিটন দাস করেন ৫৬ বলে ৬১। শুরুতে ২ ওপেনার ভাল খেলে রান করলে পরের দিককার ব্যাটারদের স্বচ্ছন্দে ও স্বাভাবিক ছন্দে খেলা সহজ হয়।
তার প্রমাণ, ওয়ান ডাউনে নেমে সে ম্যাচের ক্যাপ্টেন মিরাজের (৬৪ বলে ৬৭) দারুন খেলে হার না মানা ফিফটি করা। সাথে মিডল অর্ডার মুশফিকুর রহিমও (৪৩ বলে ৩৫) বেশ আস্থার সাথে খেলে দল জিতিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪৮ বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তেমন না হলেও পুরো বিশ্বকাপে শুধু ভারতের বিপক্ষে লিটন ও তনজিদ তামিম প্রথম উইকেটে ৯৩ রান তুলে দিয়েছিলেন।
তাই স্কোর গিয়ে ঠেকেছিল ২৫৬-তে। আর অন্য কোন খেলায় শুরুটা ভাল হয়নি। শূন্য রানে ওপেনিং জুটি ভেঙ্গেছে ২ ম্যাচে। আর কোনো ম্যাচে প্রথম উইকেটে ৩০ রানও ওঠেনি। তাই টপ ও মিডল অর্ডারে রিয়াদ ছাড়া কেউ মাথা তুলেও দাঁড়াতে পারেননি। এখন দেখার বিষয় আজ সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনাররা ভাল খেলে পরের দিককার ব্যাটারদের স্বচ্ছন্দে খেলার পথ তৈরি করে দিতে পারেন কি না?