এবার অবরুদ্ধ গাজার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাসের সম্মুখসারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইসরায়েলি সৈন্যরা উপত্যকার গভীরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। হামাসের স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে সৈন্যরা সেখানে সাঁজোয়া যান-ট্যাংকসহ প্রবেশের চেষ্টা করছে। এই অভিযানে গাজায় হামাসের প্রবল প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছেন ইসরায়েলের সৈন্যরা।
স্থল অভিযানে গাজায় হামাসের সাথে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি অন্তত ১৭ সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে। আইডিএফ বলেছে, গাজায় স্থল হামলায় অংশ নেওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর ১৭তম সৈন্য নিহত হয়েছেন বুধবার সকালে। এর আগে, বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছিলেন, হামাসের সাথে সংঘর্ষে ইসরায়েলের ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন।
এর পরদিনই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসের সাথে লড়াইয়ে আরও এক সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে। এদিকে, টানা ২৪তম দিনের মতো গাজা উপত্যকায় স্থল-আকাশ ও সমুদ্রপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সৈন্যরা হামলা চালিয়ে গাজায় হামাসের ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র শাখার প্রধানকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়্যার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, ‘‘পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য এবং স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে যৌথ হামলা চালিয়ে আমাদের সৈন্যরা গাজা উপত্যকার উত্তরে হামাসের সম্মুখ সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’’ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ১৬২তম ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইতজিক কোহেন বলেছেন, গাজার গভীরে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বর্তমানে তারা গাজা নগরীর প্রবেশদ্বারের কাছে রয়েছে।
এদিকে উপত্যকার কাছে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কোহেন বলেছেন, ‘‘আমরা গত ৫ দিনে হামাসের সক্ষমতা অনেকাংশে ধ্বংস করে দিয়েছি। হামাসের কৌশলগত স্থাপনায় আক্রমণ, বিস্ফোরক সংগ্রহশালা, ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ এবং অন্যান্য স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছি। তবে উপত্যকা থেকে হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়াটা দীর্ঘমেয়াদী কাজ এবং যার বেশিরভাগই এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে।’’
গাজা উপত্যকায় ঢুকে স্থল অভিযানে অংশ নেওয়া সৈন্যদের সহায়তা করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। স্থল ও সমুদ্রপথে হামলার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত উপত্যকাজুড়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। বুধবার ইসরায়েলি সৈন্যরা হামলা চালিয়ে হামাসের ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র শাখার কমান্ডার মুহাম্মদ আ’সারকে হত্যার দাবি করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় আ’সারকে হত্যায় বিমান হামলা ভিডিও প্রকাশ করেছে।
আইডিএফ বলছে, আ’সারের নেতৃত্বে হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্যদের লক্ষ্য করে একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার গাজায় হামাসের এই ধরনের এক হামলায় ১১ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নামার সাঁজোয়া যানের বহরে হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করায় ওই সৈন্যরা নিহত হন। একই দিনে একটি ভবনে হামাসের ছোড়া রকেট-চালিত গ্রেনেড হামলায় আরও দুই ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের একটি ট্যাংক রাস্তায় পুঁতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আরও ইসরায়েলি দুই সৈন্য নিহত হন। এ ছাড়া গাজা সীমান্তে হামাসের মর্টারের গোলাবর্ষণে আরেক ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এর ফলে কেবল মঙ্গলবার সকালে থেকে বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে পৌঁছেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে আইডিএফের জেরুজালেম ব্রিগেডের ৭০০৭তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার রামাত গান আরও এক ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জেরুজালেম ব্রিগেডের ৭০০৭তম ব্যাটালিয়নের রিজার্ভ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ইউভাল জিলবার হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন। বুধবার হামাসের বন্দুকধারীদের সাথে সংঘর্ষের সময় তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা শুরুর পর থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ২৪ দিন ধরে চলমান হামাস-ইসরায়েলের এই যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ হাজার ৫৪৩ জন। হতাহত এই ফিলিস্তিনিদের অধিকাংশই নারী-শিশু ও বেসামরিক লোকজন। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট।
স্থল অভিযানে গাজায় হামাসের সাথে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি অন্তত ১৭ সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে। আইডিএফ বলেছে, গাজায় স্থল হামলায় অংশ নেওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর ১৭তম সৈন্য নিহত হয়েছেন বুধবার সকালে। এর আগে, বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছিলেন, হামাসের সাথে সংঘর্ষে ইসরায়েলের ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন।
এর পরদিনই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসের সাথে লড়াইয়ে আরও এক সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে। এদিকে, টানা ২৪তম দিনের মতো গাজা উপত্যকায় স্থল-আকাশ ও সমুদ্রপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সৈন্যরা হামলা চালিয়ে গাজায় হামাসের ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র শাখার প্রধানকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়্যার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, ‘‘পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য এবং স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে যৌথ হামলা চালিয়ে আমাদের সৈন্যরা গাজা উপত্যকার উত্তরে হামাসের সম্মুখ সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’’ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ১৬২তম ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইতজিক কোহেন বলেছেন, গাজার গভীরে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বর্তমানে তারা গাজা নগরীর প্রবেশদ্বারের কাছে রয়েছে।
এদিকে উপত্যকার কাছে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কোহেন বলেছেন, ‘‘আমরা গত ৫ দিনে হামাসের সক্ষমতা অনেকাংশে ধ্বংস করে দিয়েছি। হামাসের কৌশলগত স্থাপনায় আক্রমণ, বিস্ফোরক সংগ্রহশালা, ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ এবং অন্যান্য স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছি। তবে উপত্যকা থেকে হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়াটা দীর্ঘমেয়াদী কাজ এবং যার বেশিরভাগই এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে।’’
গাজা উপত্যকায় ঢুকে স্থল অভিযানে অংশ নেওয়া সৈন্যদের সহায়তা করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। স্থল ও সমুদ্রপথে হামলার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত উপত্যকাজুড়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। বুধবার ইসরায়েলি সৈন্যরা হামলা চালিয়ে হামাসের ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র শাখার কমান্ডার মুহাম্মদ আ’সারকে হত্যার দাবি করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় আ’সারকে হত্যায় বিমান হামলা ভিডিও প্রকাশ করেছে।
আইডিএফ বলছে, আ’সারের নেতৃত্বে হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্যদের লক্ষ্য করে একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার গাজায় হামাসের এই ধরনের এক হামলায় ১১ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নামার সাঁজোয়া যানের বহরে হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করায় ওই সৈন্যরা নিহত হন। একই দিনে একটি ভবনে হামাসের ছোড়া রকেট-চালিত গ্রেনেড হামলায় আরও দুই ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের একটি ট্যাংক রাস্তায় পুঁতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আরও ইসরায়েলি দুই সৈন্য নিহত হন। এ ছাড়া গাজা সীমান্তে হামাসের মর্টারের গোলাবর্ষণে আরেক ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এর ফলে কেবল মঙ্গলবার সকালে থেকে বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে পৌঁছেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে আইডিএফের জেরুজালেম ব্রিগেডের ৭০০৭তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার রামাত গান আরও এক ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জেরুজালেম ব্রিগেডের ৭০০৭তম ব্যাটালিয়নের রিজার্ভ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ইউভাল জিলবার হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন। বুধবার হামাসের বন্দুকধারীদের সাথে সংঘর্ষের সময় তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা শুরুর পর থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ২৪ দিন ধরে চলমান হামাস-ইসরায়েলের এই যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ হাজার ৫৪৩ জন। হতাহত এই ফিলিস্তিনিদের অধিকাংশই নারী-শিশু ও বেসামরিক লোকজন। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট।