প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবর সহিংসতার মাধ্যমে বিএনপি আবারও নিজেদের সন্ত্রাসী দল প্রমাণ করলো।
সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফর নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট— এরা যে সন্ত্রাসী এবং বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী দল এটাই তারা আবার প্রমাণ করলো। কানাডার কোর্ট-ও কিন্তু এই বিষয়টা কয়েকবার বলেছে। এখানে যারা এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সেখানে আশ্রয় চাইতে গিয়েছিল, তারা কিন্তু পায়নি, সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। মাঝখানে তারা কিছুটা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছিল এবং আপনারা বিশেষভাবে লক্ষ্য করছিলেন আমাদের সরকার তাদের তেমন কোনও বাধা দেয়নি, কিছুই দেয়নি।
তাদের ওপর সবসময় একটাই শর্ত ছিল যে, তারা কোনও রকম অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করবে না। তারা যখন সুস্থভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল, তখন কিন্তু তারা মানুষের আস্থা-বিশ্বাস ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু গত ২৮ তারিখ (অক্টোবর) তাদের যে ঘটনা, বিএনপি যেসমস্ত ঘটনা ঘটালো, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপালো, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলো, পেটালো এবং এই ঘটনার পরে জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছুই জুটবে না।
তিনি আরও বলেন, পুলিশকে তো মেরেছেই তারপর হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানেও পুলিশের ওপর আক্রমণ। আজকে ইসরায়েল প্যালেস্টাইনে যেভাবে হামলা করেছে, সেখানেও হাসপাতালে বোমা হামলা করলো। নারী-শিশুদের হত্যা করেছে এবং সেখানে তাদের সবকিছু বন্ধ করে রেখেছে। আমি এখানে তফাত কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। নিজেরাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নিজেরাই আবার পালালো। এখন আবার অবরোধের ডাক। কীসের অবরোধ, কার জন্য অবরোধ? যখন বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করছে তখন তাদের কাজটাই হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা, বাংলাদেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা দেখাবে যে কিছু হয়নি।
২৮ অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নদীর তলদেশ দিয়ে এত বড় টানেল উপমহাদেশে আর কোনও দেশ করেনি। আমরা প্রথম এই টানেলটা করলাম। চট্টগ্রামে একটা বাণিজ্যের জায়গা, পোর্ট রয়েছে। সেখানে টানেল তৈরি করে যখন আমরা উদ্বোধন করছি, তখন এখানে তারা মানুষের ওপর হামলা করছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে, মানুষ খুন করছে।
তাদের হামলায় লক্ষণীয় হলো, পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গুলি কারা কারা করেছে, তাদের নামধাম… (বের করা হবে)— তারা তা প্রকাশ্যেই করেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে। কালকেও লালমনিরহাটে যুবলীগের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এভাবে হত্যা করা আর মানুষের সম্পদ নষ্ট করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
সাংবাদিকদের ওপর তারা যেভাবে চড়াও হলো— বুঝতে পারলাম না কেন হঠাৎ… কারণ সাংবাদিকরা তো তাদের পক্ষে ভালো ভালো নিউজ দেয়। টক শো’তে… বরং সবকিছুতেই সরকারের দোষটাই বেশি দেখে। তাহলে তাদের এত রাগটা কেন সাংবাদিকদের ওপর। সবজায়গায় তাদের নিউজ সবার আগে। আমার নিউজ সবার পরে। কোথাও কোথাও ৪ নম্বর/৫ নম্বরেও থাকে। কিন্তু তারাও যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছিল। তারপরও কেন তাদের রাগটা। সাংবাদিকদের চিকিৎসার বিষয়টি সরকার দেখবে বলেও জানান তিনি।
যাদের বাস পুড়েছে তাদেরটা সরকার দেখবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেসব গাড়ি পুড়িয়েছে। ২০১৩ সালে তারা একই রকম অগ্নিসন্ত্রাস করে। পরে ২০১৪ ও ১৫ সালে একই রকম অবস্থা। তিনটি বছর ধরে তাদের অগ্নিসন্ত্রাস আর আক্রমণ। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাসমালিকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। যাতে তারা ব্যবসাটা চালাতে পারে। আহত নিহতদের আমরা সহায়তা দিয়েছি।
সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে যেখানেই গেছি, সবাই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। একমাত্র দুঃখে মরে যায় এই বিএনপি আর জামায়াত জোট। কাজেই বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসীদের কীভাবে শিক্ষা দিতে হবে, সেই শিক্ষাই এখন আমাদের দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সেটাই আমরা দেবো। এদের জন্য দেশটা ধ্বংস হোক, এটা সহ্য করা যাবে না। যাদের বাস-টাস পুড়েছে, তাদের সহযোগিতা করবো।
সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফর নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট— এরা যে সন্ত্রাসী এবং বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী দল এটাই তারা আবার প্রমাণ করলো। কানাডার কোর্ট-ও কিন্তু এই বিষয়টা কয়েকবার বলেছে। এখানে যারা এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সেখানে আশ্রয় চাইতে গিয়েছিল, তারা কিন্তু পায়নি, সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। মাঝখানে তারা কিছুটা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছিল এবং আপনারা বিশেষভাবে লক্ষ্য করছিলেন আমাদের সরকার তাদের তেমন কোনও বাধা দেয়নি, কিছুই দেয়নি।
তাদের ওপর সবসময় একটাই শর্ত ছিল যে, তারা কোনও রকম অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করবে না। তারা যখন সুস্থভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল, তখন কিন্তু তারা মানুষের আস্থা-বিশ্বাস ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু গত ২৮ তারিখ (অক্টোবর) তাদের যে ঘটনা, বিএনপি যেসমস্ত ঘটনা ঘটালো, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপালো, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলো, পেটালো এবং এই ঘটনার পরে জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছুই জুটবে না।
তিনি আরও বলেন, পুলিশকে তো মেরেছেই তারপর হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানেও পুলিশের ওপর আক্রমণ। আজকে ইসরায়েল প্যালেস্টাইনে যেভাবে হামলা করেছে, সেখানেও হাসপাতালে বোমা হামলা করলো। নারী-শিশুদের হত্যা করেছে এবং সেখানে তাদের সবকিছু বন্ধ করে রেখেছে। আমি এখানে তফাত কিছু দেখতে পাচ্ছি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। নিজেরাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নিজেরাই আবার পালালো। এখন আবার অবরোধের ডাক। কীসের অবরোধ, কার জন্য অবরোধ? যখন বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করছে তখন তাদের কাজটাই হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা, বাংলাদেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা দেখাবে যে কিছু হয়নি।
২৮ অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নদীর তলদেশ দিয়ে এত বড় টানেল উপমহাদেশে আর কোনও দেশ করেনি। আমরা প্রথম এই টানেলটা করলাম। চট্টগ্রামে একটা বাণিজ্যের জায়গা, পোর্ট রয়েছে। সেখানে টানেল তৈরি করে যখন আমরা উদ্বোধন করছি, তখন এখানে তারা মানুষের ওপর হামলা করছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে, মানুষ খুন করছে।
তাদের হামলায় লক্ষণীয় হলো, পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গুলি কারা কারা করেছে, তাদের নামধাম… (বের করা হবে)— তারা তা প্রকাশ্যেই করেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে। কালকেও লালমনিরহাটে যুবলীগের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এভাবে হত্যা করা আর মানুষের সম্পদ নষ্ট করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
সাংবাদিকদের ওপর তারা যেভাবে চড়াও হলো— বুঝতে পারলাম না কেন হঠাৎ… কারণ সাংবাদিকরা তো তাদের পক্ষে ভালো ভালো নিউজ দেয়। টক শো’তে… বরং সবকিছুতেই সরকারের দোষটাই বেশি দেখে। তাহলে তাদের এত রাগটা কেন সাংবাদিকদের ওপর। সবজায়গায় তাদের নিউজ সবার আগে। আমার নিউজ সবার পরে। কোথাও কোথাও ৪ নম্বর/৫ নম্বরেও থাকে। কিন্তু তারাও যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছিল। তারপরও কেন তাদের রাগটা। সাংবাদিকদের চিকিৎসার বিষয়টি সরকার দেখবে বলেও জানান তিনি।
যাদের বাস পুড়েছে তাদেরটা সরকার দেখবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেসব গাড়ি পুড়িয়েছে। ২০১৩ সালে তারা একই রকম অগ্নিসন্ত্রাস করে। পরে ২০১৪ ও ১৫ সালে একই রকম অবস্থা। তিনটি বছর ধরে তাদের অগ্নিসন্ত্রাস আর আক্রমণ। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাসমালিকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। যাতে তারা ব্যবসাটা চালাতে পারে। আহত নিহতদের আমরা সহায়তা দিয়েছি।
সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে যেখানেই গেছি, সবাই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। একমাত্র দুঃখে মরে যায় এই বিএনপি আর জামায়াত জোট। কাজেই বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসীদের কীভাবে শিক্ষা দিতে হবে, সেই শিক্ষাই এখন আমাদের দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সেটাই আমরা দেবো। এদের জন্য দেশটা ধ্বংস হোক, এটা সহ্য করা যাবে না। যাদের বাস-টাস পুড়েছে, তাদের সহযোগিতা করবো।