আল-আমিন হোসেন: খাঁটি বাংলা শব্দের যে কয়টি শব্দ আছে তারমধ্যে ঢেঁকি একটি, এতে বুঝা যায় বাংলা ভাষার ব্যবহারের অনেক আগেই ঢেঁকির অস্তিত্ব ছিল। সে ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকে ঢেঁকির ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’অনুরোধে ঢেঁকি গেলা, সুন্দর সুন্দর বাক্য বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই ঢেঁকিকে নিয়ে কবিতা, ছড়া, গান ও প্রবাদ বাক্য প্রচলিত থাকলেও ঐতিহ্যবাহী সেই ঢেঁকি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে এক সময় ঢেঁকিতে ধান ভানা, আটা কুটার দৃশ্য সবসময়ই চোখে পড়তো। গ্রাম বাংলার বহুল ব্যবহৃত এই উপকরণটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
সভ্যতার প্রয়োজনে ঢেঁকির আবির্ভাব ঘটেছিল। আবার গতিময় সভ্যতার যান্ত্রিক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে ঢেঁকি বিলুপ্তি হচ্ছে।বর্তমানে দেশের গ্রাম গুলোতে ঘুরলে একটি ঢেঁকিরও দেখা মেলে না। আধুনিকতা ছোঁয়ায় সেই ঢেঁকির জায়গায় দখল করে নিয়েছে বিদ্যুৎ চালিত মেশিন। গ্রামগঞ্জে গড়ে উঠেছে মিনি রাইস মিল। ফলে ঢেঁকির অস্তিত্ব আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। ঢেঁকি ছাটা চাল ও চিড়া আজ আর নেই। এখন আর আগের মতো ঢেঁকিতে ধান ভানার দৃশ্য চোখে পড়ে না। ভোরের স্তব্ধতা ভেঙে শোনা যায় না ঢেঁকি ঢেঁকুর ঢেঁকুর শব্দ। চোখে পড়ে না বিয়ে-শাদি উৎসবে ঢেঁকিছাটা চালের ক্ষীর, পায়েস রান্না অথচ আগে ঢেঁকি ছাড়া গ্রাম কল্পনা করা কঠিন ছিল।
এক সময় গ্রামের প্রায় সব সভ্রান্ত পরিবারেই ঢেঁকি ছিল। একে অন্যের বাড়িতে যেয়ে গ্রামের মহিলারা ঢেঁকিতে পাড়দিত আর গান গাইতো। সম্পর্ক ছিল তখন প্রতিবেশীদের সাথে সুমধুর একে অন্যের কাজে আপদে-বিপদে সব সময় পাশে থাকতো। ঢেঁকিতে পাড় দিয়া চুলে বিনি দিয়া সব যেন আজ রূপকথা গল্পের মত। ধানভাঙ্গার কল আমদানির পর গ্রামঅঞ্চল থেকে ঢেঁকির বিলীন হওয়া শুরু হয়। ফলে গ্রামের মানুষ ভুলে গেছেন ঢেঁকিছাটা চালের স্বাদ। বর্তমান যুগের অনেকেই ঢেঁকি চেনে না। কালের পাতায় স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি।
বর্তমান সময়ে কোন বাড়িতে ঢেঁকি থাকলেও তা সংখ্যায় খুবই কম । ঢেঁকি শিল্প এখন রুপকথার গল্পের মতো। আজকাল গ্রামের ছেলে মেয়েরাও ঢেঁকি শব্দটির কথা জানলেও বাস্তবে দেখেনি। অনেকের কৌতুহল কেমন করে মেশিন ছাড়া ধান থেকে চাল বের করা হতো। কেমন করেই বা ঢেঁকিতে চিড়া এবং আটা কুটা হতো। হয়তো এমন একটি দিন আসবে এই ঢেঁকি জাদুঘরে স্থান পাবে সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়।
সভ্যতার প্রয়োজনে ঢেঁকির আবির্ভাব ঘটেছিল। আবার গতিময় সভ্যতার যান্ত্রিক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে ঢেঁকি বিলুপ্তি হচ্ছে।বর্তমানে দেশের গ্রাম গুলোতে ঘুরলে একটি ঢেঁকিরও দেখা মেলে না। আধুনিকতা ছোঁয়ায় সেই ঢেঁকির জায়গায় দখল করে নিয়েছে বিদ্যুৎ চালিত মেশিন। গ্রামগঞ্জে গড়ে উঠেছে মিনি রাইস মিল। ফলে ঢেঁকির অস্তিত্ব আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। ঢেঁকি ছাটা চাল ও চিড়া আজ আর নেই। এখন আর আগের মতো ঢেঁকিতে ধান ভানার দৃশ্য চোখে পড়ে না। ভোরের স্তব্ধতা ভেঙে শোনা যায় না ঢেঁকি ঢেঁকুর ঢেঁকুর শব্দ। চোখে পড়ে না বিয়ে-শাদি উৎসবে ঢেঁকিছাটা চালের ক্ষীর, পায়েস রান্না অথচ আগে ঢেঁকি ছাড়া গ্রাম কল্পনা করা কঠিন ছিল।
এক সময় গ্রামের প্রায় সব সভ্রান্ত পরিবারেই ঢেঁকি ছিল। একে অন্যের বাড়িতে যেয়ে গ্রামের মহিলারা ঢেঁকিতে পাড়দিত আর গান গাইতো। সম্পর্ক ছিল তখন প্রতিবেশীদের সাথে সুমধুর একে অন্যের কাজে আপদে-বিপদে সব সময় পাশে থাকতো। ঢেঁকিতে পাড় দিয়া চুলে বিনি দিয়া সব যেন আজ রূপকথা গল্পের মত। ধানভাঙ্গার কল আমদানির পর গ্রামঅঞ্চল থেকে ঢেঁকির বিলীন হওয়া শুরু হয়। ফলে গ্রামের মানুষ ভুলে গেছেন ঢেঁকিছাটা চালের স্বাদ। বর্তমান যুগের অনেকেই ঢেঁকি চেনে না। কালের পাতায় স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি।
বর্তমান সময়ে কোন বাড়িতে ঢেঁকি থাকলেও তা সংখ্যায় খুবই কম । ঢেঁকি শিল্প এখন রুপকথার গল্পের মতো। আজকাল গ্রামের ছেলে মেয়েরাও ঢেঁকি শব্দটির কথা জানলেও বাস্তবে দেখেনি। অনেকের কৌতুহল কেমন করে মেশিন ছাড়া ধান থেকে চাল বের করা হতো। কেমন করেই বা ঢেঁকিতে চিড়া এবং আটা কুটা হতো। হয়তো এমন একটি দিন আসবে এই ঢেঁকি জাদুঘরে স্থান পাবে সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়।