নগদ অর্থ কিংবা গহনা নয়, মানুষের পরম উপকারী বন্ধু গাছ দেনমোহর হিসেবে নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন নাটোরের কনে সুকৃতি আদিত্য। দেনমোহর হিসেবে বরের কাছ থেকে পাঁচটি ফলদ ও বনজ গাছ নেন কনে সুকৃতি। এমন ব্যতিক্রম বিয়েতে প্রশংসায় ভাসছেন সুকৃতি-নাবিন দম্পতি। ঐ দম্পতি বিয়ের দিনই সেই গাছ রোপণ করেন।
তারা বলেন, দেনমোহর নিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে তা দূর করে ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিতেই আমাদের এমন আয়োজন।
গত শুক্রবার নাটোরের ঐতিহাসিক উত্তরা গণভবনের পাশে গিয়ে দেখা যায়, একটি বিয়ে বাড়িতে আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হৈ-হুল্লোড় চলছিল। এরই মাঝেই কনে সুকৃতি আদিত্য ও বর নাবিন আদনান গাছের চারা রোপণ করে তা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পূর্বপরিচয় থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতে ঘরোয়া পরিবেশেই বিয়ে সম্পন্ন হয় সুকৃতি-নাবিনের।
জানা গেছে, কনে সুকৃতি ও তার বাবা মায়ের গাছ এবং পরিবেশের প্রতি রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা থেকে তিনজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী সুকৃতি তার বিয়ের মোহরানা হিসেবে বেছে নেন গাছ। পারিবারিকভাবে ধুমধাম করেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আসরেই মোহরানা হিসেবে পাঁচটি ফলদ ও বনজ গাছ হস্তান্তর করে বরপক্ষ। টাকার অংকের হিসেবে না মিলিয়ে সুকৃতির এমন চিন্তা চেতনায় আনন্দিত সবাই।
কনে সুকৃতি আদিত্য বলেন, বর্তমানে অনেক বিয়েতে দেনমোহর নিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতাটা চলছে। আমার মনে হয় তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কারণ বিয়ে মানেই আর্থিক লেনদেন। কিন্তু এটি উচিত নয়। দুটি মানুষের মনের মিল হওয়াটাই বড় ব্যাপার। সেখান থেকে মনে হলো যদি এমন কিছু করা যায় যা আমাদের প্রকৃতিকেও সুস্থ রাখবে। সেইসঙ্গে আমাদের সম্পর্কটাও সুস্থ রাখবে। তাই নতুন জীবন শুরু করার আগে আমার মনে হয়েছে গাছ একটা দারুণ উপকরণ হতে পারে, যেটার মাধ্যমে পরিবেশও সুস্থ থাকল, আমরাও খুশি থাকলাম।
বর নাবিন আদনান বলেন, দেনমোহরের বিষয়টি হচ্ছে নিরাপত্তা। আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের নিরাপত্তার চেয়ে পরিবেশের নিরাপত্তা বেশি জরুরি। এটা একটা প্রতীকী ব্যাপার। এর বাইরে বিশেষ কিছু নয়। প্রতীকী ব্যাপার হিসেবেই আমরা চর্চা করলাম, যাতে পরিবেশ, প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারি। সুকৃতির ভিন্ন চিন্তাকে স্যালুট জানাই।
কনের বাবা এম. আসলাম লিটন জানান, তার মেয়ে সুকৃতি আদিত্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিয়েতে সে মোহরানা নেবে না। অভিভাবক হিসেবে তারা সুকৃতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় প্রথমে বরযাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী রীতিমতো অবাক হয়ে গেলেও পরে সবাই প্রসংশায় ভাসিয়েছেন নব দম্পতিকে। জীবনের প্রথম এমন বিয়ে দেখে রীতিমতো হতবাক তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা গুলজান বেগম জানান, তিনি তার জীবনে এমন ব্যতিক্রম বিয়ে দেখেননি। বিয়ে বাড়িতে এসে বর-কনের গাছ লাগানো দেখে তার খুবই ভালো লেগেছে। নতুন দম্পতি সুখে শান্তিতে থাকুক এমন শুভকামনা জানান তিনি।
সৈয়দ মাসুম রেজা নামে এক সাংস্কৃতিকর্মী বলেন, দেনমোহরে সবসময় কনেদের বা কনেপক্ষকে টাকার অংক বাড়াতে দেখেছি। কিন্তু সুকৃতির বিয়েতে ব্যতিক্রম দেখলাম। তার চিন্তা চেনতা অবশ্যই সাধুবাদ প্রাপ্য।
বিয়ে পড়ানো কাজি মওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইসলামে ধর্মে বিয়েতে গাছ দেনমোহর দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞার কিছু নেই। দেনমোহর হচ্ছে কনের হক, কনের সন্তুষ্টি। কনের দাবি আর বরের সামর্থ্য মিলে গেলে সেটাই আসল দেনমোহর।
তারা বলেন, দেনমোহর নিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে তা দূর করে ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিতেই আমাদের এমন আয়োজন।
গত শুক্রবার নাটোরের ঐতিহাসিক উত্তরা গণভবনের পাশে গিয়ে দেখা যায়, একটি বিয়ে বাড়িতে আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হৈ-হুল্লোড় চলছিল। এরই মাঝেই কনে সুকৃতি আদিত্য ও বর নাবিন আদনান গাছের চারা রোপণ করে তা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পূর্বপরিচয় থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতে ঘরোয়া পরিবেশেই বিয়ে সম্পন্ন হয় সুকৃতি-নাবিনের।
জানা গেছে, কনে সুকৃতি ও তার বাবা মায়ের গাছ এবং পরিবেশের প্রতি রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা থেকে তিনজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী সুকৃতি তার বিয়ের মোহরানা হিসেবে বেছে নেন গাছ। পারিবারিকভাবে ধুমধাম করেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আসরেই মোহরানা হিসেবে পাঁচটি ফলদ ও বনজ গাছ হস্তান্তর করে বরপক্ষ। টাকার অংকের হিসেবে না মিলিয়ে সুকৃতির এমন চিন্তা চেতনায় আনন্দিত সবাই।
কনে সুকৃতি আদিত্য বলেন, বর্তমানে অনেক বিয়েতে দেনমোহর নিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতাটা চলছে। আমার মনে হয় তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কারণ বিয়ে মানেই আর্থিক লেনদেন। কিন্তু এটি উচিত নয়। দুটি মানুষের মনের মিল হওয়াটাই বড় ব্যাপার। সেখান থেকে মনে হলো যদি এমন কিছু করা যায় যা আমাদের প্রকৃতিকেও সুস্থ রাখবে। সেইসঙ্গে আমাদের সম্পর্কটাও সুস্থ রাখবে। তাই নতুন জীবন শুরু করার আগে আমার মনে হয়েছে গাছ একটা দারুণ উপকরণ হতে পারে, যেটার মাধ্যমে পরিবেশও সুস্থ থাকল, আমরাও খুশি থাকলাম।
বর নাবিন আদনান বলেন, দেনমোহরের বিষয়টি হচ্ছে নিরাপত্তা। আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের নিরাপত্তার চেয়ে পরিবেশের নিরাপত্তা বেশি জরুরি। এটা একটা প্রতীকী ব্যাপার। এর বাইরে বিশেষ কিছু নয়। প্রতীকী ব্যাপার হিসেবেই আমরা চর্চা করলাম, যাতে পরিবেশ, প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারি। সুকৃতির ভিন্ন চিন্তাকে স্যালুট জানাই।
কনের বাবা এম. আসলাম লিটন জানান, তার মেয়ে সুকৃতি আদিত্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিয়েতে সে মোহরানা নেবে না। অভিভাবক হিসেবে তারা সুকৃতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় প্রথমে বরযাত্রী, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী রীতিমতো অবাক হয়ে গেলেও পরে সবাই প্রসংশায় ভাসিয়েছেন নব দম্পতিকে। জীবনের প্রথম এমন বিয়ে দেখে রীতিমতো হতবাক তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা গুলজান বেগম জানান, তিনি তার জীবনে এমন ব্যতিক্রম বিয়ে দেখেননি। বিয়ে বাড়িতে এসে বর-কনের গাছ লাগানো দেখে তার খুবই ভালো লেগেছে। নতুন দম্পতি সুখে শান্তিতে থাকুক এমন শুভকামনা জানান তিনি।
সৈয়দ মাসুম রেজা নামে এক সাংস্কৃতিকর্মী বলেন, দেনমোহরে সবসময় কনেদের বা কনেপক্ষকে টাকার অংক বাড়াতে দেখেছি। কিন্তু সুকৃতির বিয়েতে ব্যতিক্রম দেখলাম। তার চিন্তা চেনতা অবশ্যই সাধুবাদ প্রাপ্য।
বিয়ে পড়ানো কাজি মওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইসলামে ধর্মে বিয়েতে গাছ দেনমোহর দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞার কিছু নেই। দেনমোহর হচ্ছে কনের হক, কনের সন্তুষ্টি। কনের দাবি আর বরের সামর্থ্য মিলে গেলে সেটাই আসল দেনমোহর।