চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে: তিস্তা থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী রমনা রেল স্টেশন পর্যন্ত রেলপথে পাথরশুণ্য থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা থেকে চিলমারী রেলপথে উলিপুর-চিলমারী রেললাইনে পুরাতন স্লিপার, স্লিপারের পিন ও লাইনের দু’ধারে প্রয়োজনীয় পাথর নেই। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ হওয়ায় সর্বনিম্ন গতিতে চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি রংপুরের উদ্দেশ্যে চলছে। লাইনের ওপর দিয়ে ট্রেন চলার সময় তিন থেকে চার ইঞ্চি দেবে যাচ্ছে স্লিপার।
জানা-গেছে, ১৯৬৭ সালে তিস্তা-চিলমারী রেলপথে রেল চলাচল শুরু হয়। এ অঞ্চলের প্রায় ৫৪ কিলোমিটার রেলপথ দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ছিল। রেলের উন্নয়নে সম্প্রতি কুড়িগ্রাম থেকে উলিপুর পর্যন্ত রেলপথে কাজ শুরু হলেও উলিপুর থেকে চিলমারী রমনা স্টেশন পর্যন্ত বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অথচ মাত্র ১০ কি.মি বরাদ্দ দিলেই নদীবন্দর এলাকা পর্যন্ত রেলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হত। এতে রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী অঞ্চলের মানুষজন ট্রেন যোগে যাতায়াত সহ স্বল্পমূল্যে মালামাল পরিবহনের সুবিধা পেত।
স্কুল শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন, জাহিদ মিয়া সহ অনেকে বলেন, আমাদেরকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। যখন হেলে-দুলে ট্রেন আসে তখন মনে হয় যেন গায়ের ওপরে পড়ছে। অনেক ভয়ে থাকতে হয়।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, ট্রেনের গতি কমিয়ে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েই দায় সারছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন যে গতিতে চলে তাতে অনেকেই চলন্ত অবস্থায় যাত্রীরা নামছে এবং উঠছে। এতে যে কোন মহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ পথটুকু দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ-কমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, চিলমারী বন্দরের ওপর নির্ভরশীল বুড়িমারী ও সোনাহাট স্থলবন্দর। সেখান পর্যন্ত রেল লাইন সংস্কার ও আন্ত:নগর না আসা হলে চিলমারীর প্রতি অবিচার করা হবে।
লালমনিরহাট ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মামুন উর রশিদ জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য অতি শীঘ্রই চিলমারী অংশের কাজ হবে।
জানা-গেছে, ১৯৬৭ সালে তিস্তা-চিলমারী রেলপথে রেল চলাচল শুরু হয়। এ অঞ্চলের প্রায় ৫৪ কিলোমিটার রেলপথ দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ছিল। রেলের উন্নয়নে সম্প্রতি কুড়িগ্রাম থেকে উলিপুর পর্যন্ত রেলপথে কাজ শুরু হলেও উলিপুর থেকে চিলমারী রমনা স্টেশন পর্যন্ত বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অথচ মাত্র ১০ কি.মি বরাদ্দ দিলেই নদীবন্দর এলাকা পর্যন্ত রেলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হত। এতে রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী অঞ্চলের মানুষজন ট্রেন যোগে যাতায়াত সহ স্বল্পমূল্যে মালামাল পরিবহনের সুবিধা পেত।
স্কুল শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন, জাহিদ মিয়া সহ অনেকে বলেন, আমাদেরকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। যখন হেলে-দুলে ট্রেন আসে তখন মনে হয় যেন গায়ের ওপরে পড়ছে। অনেক ভয়ে থাকতে হয়।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, ট্রেনের গতি কমিয়ে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েই দায় সারছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন যে গতিতে চলে তাতে অনেকেই চলন্ত অবস্থায় যাত্রীরা নামছে এবং উঠছে। এতে যে কোন মহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ পথটুকু দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ-কমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, চিলমারী বন্দরের ওপর নির্ভরশীল বুড়িমারী ও সোনাহাট স্থলবন্দর। সেখান পর্যন্ত রেল লাইন সংস্কার ও আন্ত:নগর না আসা হলে চিলমারীর প্রতি অবিচার করা হবে।
লালমনিরহাট ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মামুন উর রশিদ জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য অতি শীঘ্রই চিলমারী অংশের কাজ হবে।