গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। বসতবাড়ি, হাসপাতাল তো বটেই, ইসরায়েলি হামলা থেকে মসজিদ-গির্জাও রেহাই পাচ্ছে না। এদিকে গাজায় খাবার নেই, ওষুধ নেই। এমনকি পানিও মিলছে না। তবু ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। নানা ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করে ত্রাণ পৌঁছানো বিঘ্নিত করছে তেল আবিব। দেশটির হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শত শত বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
এ অবস্থায় সারাবিশ্বের শান্তিকামী মানুষ অস্ত্রবিরতির জোর দাবি জানাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য আজ শনিবার মিসরে বৈঠকে বসছেন আটটি দেশের নেতারা। ইসরায়েলের বিরামহীন বর্বর হামলায় গাজায় গত ১৪ দিনে ১ হাজার ৬৬১ শিশুসহ ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজার ২৬০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। তবে প্রতি মুহূর্তেই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর গাজা উপত্যকায় ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার গ্রিক অর্থোডক্স চার্চে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি খ্রিষ্টান নিহত হয়েছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি দম্ভ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় এবারের বিমান বাহিনীর হামলার হার এর আগে কয়েক দশকে দেখা যায়নি। তারা গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার রাতভর বিমান হামলায় ১০০ টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ বেশ কিছু বিশ্ব নেতা ও কর্মকর্তা আগামীকাল মিসরের কায়রোতে শান্তি সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। তারা গাজার পরিস্থিতি এবং সংঘাত কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে স্বাগতিক মিসর ছাড়াও জার্মানি, বাহরাইন, ইতালি, জাপান, কুয়েত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সাইপ্রাস অংশ নিচ্ছে।
বিবিসি জানায়, গাজায় বন্দি আনুমানিক ২০৩ জিম্মির অনেকের মুক্তির জন্য আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে ২০ শিশুও রয়েছে। হামাস তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে সম্মত হয়নি। ইসরায়েলের সব জিম্মি হামাসের হাতে বন্দি নয়। অন্য কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে আটক রয়েছে বাকিরা।
গাজায় তাদের বন্দিত্ব ইসরায়েলি কমান্ডারদের জন্য স্থল অভিযানের পরিকল্পনাকে জটিল করে তুলেছে। আলোচনার মাধ্যমে জিম্মিদের জীবিত বেরিয়ে আসার আরও ভালো সুযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় ত্রাণ বিতরণে তাদের ‘নিষেধাজ্ঞা’ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
ইসরায়েলের বিধিনিষেধ নিয়ে তারা সবপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছেন যাতে মিসরের রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষমাণ ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষ ভীষণভাবে কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে পানি নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই।
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলো গাজাবাসীর জন্য লাইফলাইন। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় বলেছে, গাজায় ত্রাণ তৎপরতা শিগগির শুরু নিশ্চিত করতে তারা সংঘাতের সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। প্রথম ত্রাণবাহী ট্রাক শনিবার বা তারপর শুরু হতে পারে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখানকার সাতটি প্রধান হাসপাতাল এবং ২১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। মেডিকেল টিমের ৪৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন এবং ২৩টি অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে, মাটিতে অপারেশন করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় সারাবিশ্বের শান্তিকামী মানুষ অস্ত্রবিরতির জোর দাবি জানাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য আজ শনিবার মিসরে বৈঠকে বসছেন আটটি দেশের নেতারা। ইসরায়েলের বিরামহীন বর্বর হামলায় গাজায় গত ১৪ দিনে ১ হাজার ৬৬১ শিশুসহ ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজার ২৬০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। তবে প্রতি মুহূর্তেই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর গাজা উপত্যকায় ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার গ্রিক অর্থোডক্স চার্চে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি খ্রিষ্টান নিহত হয়েছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি দম্ভ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় এবারের বিমান বাহিনীর হামলার হার এর আগে কয়েক দশকে দেখা যায়নি। তারা গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার রাতভর বিমান হামলায় ১০০ টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ বেশ কিছু বিশ্ব নেতা ও কর্মকর্তা আগামীকাল মিসরের কায়রোতে শান্তি সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। তারা গাজার পরিস্থিতি এবং সংঘাত কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে স্বাগতিক মিসর ছাড়াও জার্মানি, বাহরাইন, ইতালি, জাপান, কুয়েত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সাইপ্রাস অংশ নিচ্ছে।
বিবিসি জানায়, গাজায় বন্দি আনুমানিক ২০৩ জিম্মির অনেকের মুক্তির জন্য আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে ২০ শিশুও রয়েছে। হামাস তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে সম্মত হয়নি। ইসরায়েলের সব জিম্মি হামাসের হাতে বন্দি নয়। অন্য কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে আটক রয়েছে বাকিরা।
গাজায় তাদের বন্দিত্ব ইসরায়েলি কমান্ডারদের জন্য স্থল অভিযানের পরিকল্পনাকে জটিল করে তুলেছে। আলোচনার মাধ্যমে জিম্মিদের জীবিত বেরিয়ে আসার আরও ভালো সুযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় ত্রাণ বিতরণে তাদের ‘নিষেধাজ্ঞা’ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
ইসরায়েলের বিধিনিষেধ নিয়ে তারা সবপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছেন যাতে মিসরের রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষমাণ ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষ ভীষণভাবে কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে পানি নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই।
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলো গাজাবাসীর জন্য লাইফলাইন। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় বলেছে, গাজায় ত্রাণ তৎপরতা শিগগির শুরু নিশ্চিত করতে তারা সংঘাতের সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। প্রথম ত্রাণবাহী ট্রাক শনিবার বা তারপর শুরু হতে পারে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখানকার সাতটি প্রধান হাসপাতাল এবং ২১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। মেডিকেল টিমের ৪৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন এবং ২৩টি অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে, মাটিতে অপারেশন করা হচ্ছে।