ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি এই হামলাকে ‘ভয়াবহ এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের চালানো ভয়াবহ ওই হামলায় ৫০০ জন নিহত হন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার খবর ‘ভয়াবহ এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। হাসপাতালের মতো স্থানে ইসরায়েলের হামলা চালানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন ট্রুডো।
কানাডা জোর দিয়ে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সময় ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে।
ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজা থেকে যে খবর আসছে তা ভয়ঙ্কর এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য... আন্তর্জাতিক আইনকে এ ক্ষেত্রে এবং সব ক্ষেত্রেই সম্মান করা দরকার। যুদ্ধের কিছু নিয়ম রয়েছে এবং যুদ্ধের নামে হাসপাতালে হামলা করা গ্রহণযোগ্য নয়।’
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অবশ্য প্রথমে জানিয়েছিল, তাদের কাছে হাসপাতালে বোমা হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য নেই। পরে ইসরায়েল দাবি করে, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের নিক্ষেপ করা রকেট ওই হাসপাতালে আঘাত হেনেছে।
তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
এদিকে নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কানাডা। মঙ্গলবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতার মাঝে বাণিজ্যিক ফ্লাইট সহজলভ্য থাকাকালীন কানাডার নাগরিকদের এই মুহূর্তে লেবানন ত্যাগ করা উচিত।
এছাড়া গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে কানাডা।
অন্যদিকে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় ‘ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে দুঃখিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ঘটনায় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওই হাসপাতালে মঙ্গলবার ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আল-আহলি আরব নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের ওপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল হামাস। এরমধ্যেই হাসপাতালে চালানো হলো ভয়াবহ হামলা।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই হাসপাতালটির একটি হলরুমে কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। মূলত বিমান হামলা থেকে বাঁচতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারা। তবে সেখানেও চালানো হয় ইসরায়েলি নৃশংসতা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার খবর ‘ভয়াবহ এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। হাসপাতালের মতো স্থানে ইসরায়েলের হামলা চালানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন ট্রুডো।
কানাডা জোর দিয়ে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সময় ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে।
ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজা থেকে যে খবর আসছে তা ভয়ঙ্কর এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য... আন্তর্জাতিক আইনকে এ ক্ষেত্রে এবং সব ক্ষেত্রেই সম্মান করা দরকার। যুদ্ধের কিছু নিয়ম রয়েছে এবং যুদ্ধের নামে হাসপাতালে হামলা করা গ্রহণযোগ্য নয়।’
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অবশ্য প্রথমে জানিয়েছিল, তাদের কাছে হাসপাতালে বোমা হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য নেই। পরে ইসরায়েল দাবি করে, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের নিক্ষেপ করা রকেট ওই হাসপাতালে আঘাত হেনেছে।
তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।
এদিকে নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কানাডা। মঙ্গলবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতার মাঝে বাণিজ্যিক ফ্লাইট সহজলভ্য থাকাকালীন কানাডার নাগরিকদের এই মুহূর্তে লেবানন ত্যাগ করা উচিত।
এছাড়া গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে কানাডা।
অন্যদিকে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় ‘ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে দুঃখিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ঘটনায় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওই হাসপাতালে মঙ্গলবার ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আল-আহলি আরব নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের ওপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল হামাস। এরমধ্যেই হাসপাতালে চালানো হলো ভয়াবহ হামলা।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই হাসপাতালটির একটি হলরুমে কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। মূলত বিমান হামলা থেকে বাঁচতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারা। তবে সেখানেও চালানো হয় ইসরায়েলি নৃশংসতা।