নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি: প্রায় দুই মাস ধরে পানিবন্দি রয়েছে ফরিদপুর পৌরসভার ব্রাহ্মণকান্দা এলাকার শতাধিক বাসিন্দা। এর সাথে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদ প্রাঙ্গণ ও সড়কের কিছু অংশ পানিতে নিমজ্জিত থাকায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিগুলো বালু দিয়ে ভরাট করায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়. ফরিদপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে নিমজ্জিত। দূর থেকে দেখে মনে হবে কোনো ফসলি মাঠ। গত দুই মাস ধরেই নাকি এই অবস্থা জানান স্থানীয়রা।
এদিকে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে ওই এলাকার অন্তত ৩০ পরিবার। কোনো বাড়ির ভেতরে পানি রয়েছে তো কোনো বাড়ির উঠানে। কোনো বাড়ির রান্নাঘর পানিতে ডুবে আছে।
ঘর থেকে বের হলেই পানিতে পা ভেজাতে হয়। জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে পানি মাড়িয়ে সড়কের শুকনা অংশে উঠতে হয় তাদের।
একটি মসজিদের প্রাঙ্গণও পানিতে নিমজ্জিত বহুদিন ধরেই। নামাজ পড়তে মসজিদে পানি মাড়িয়ে যেতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মুসল্লিদের। পাশাপাশি দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কের ৫০০ মিটার অংশ পানিতে ডুবে আছে। সড়কে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ব্রাহ্মণকান্দা এলাকার বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রায় দুই মাস যাবত এলাকার ৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। ঘর থেকে বের হতে গেলে স্যান্ডেল হাতে নিয়ে পানি পার হয়ে শুকনা অংশে উঠতে হয়। এরপর সেন্ডেল পরে রওনা দিতে হয়।
আরেক বাসিন্দা আসলাম হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর এই জলাবদ্ধতার সমস্যা। বাইপাস সড়ক হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতার নিরসন হচ্ছে না। বৃষ্টির সময় বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
আরেক বাসিন্দা রওশন আহমেদ বলেন, এই এলাকায় একটি স্কুল ও একটি মসজিদের সামনের মাঠ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়া একটি সড়কের ৫০০ মিটার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। স্কুলে শিক্ষার্থীরা আসতে পারছে না। এলেও রিকশায় আসা লাগে। এ কারণে গরিব মানুষের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না।
জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান তিনি।
ব্রাহ্মণকান্দা মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ মাহফুজ বলেন, দুই মাস ধরে মসজিদের সামনের অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আরশাদ জানায়, স্কুলে আসতে হয় পানি পার হয়ে। এ কারণে অনেকেই স্কুলে আসছে না। খেলাধুলা করতে পারি না আমরা।
ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুন্নাহার বলেন, স্কুলের মাঠে প্রায় তিন মাস যাবত পানি রয়েছে। এ কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা-কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান তুহিন জানান, স্কুলের মাঠে বৃষ্টির পানি আটকে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। পানির কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীরা আসছে না। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষাক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, স্কুলে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে একশ শিক্ষার্থী স্কুলে আসে। বিশেষ করে পানি মাড়িয়ে আসায় অনেক শিক্ষার্থীর পায়ে চর্মরোগ হয়েছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না। এছাড়া খেলাধুলাও করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। পানি নিরসনে দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা না হলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হবে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরাফাত রহমান রাজিব জানিয়েছেন, ওই এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিগুলো বালু দিয়ে ভরাট করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জমি কেটে পাইপ দিয়ে পানি অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুতই জলাবদ্ধতার নিরসন হবে।
ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিগুলো বালু দিয়ে ভরাট করায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়. ফরিদপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে নিমজ্জিত। দূর থেকে দেখে মনে হবে কোনো ফসলি মাঠ। গত দুই মাস ধরেই নাকি এই অবস্থা জানান স্থানীয়রা।
এদিকে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে ওই এলাকার অন্তত ৩০ পরিবার। কোনো বাড়ির ভেতরে পানি রয়েছে তো কোনো বাড়ির উঠানে। কোনো বাড়ির রান্নাঘর পানিতে ডুবে আছে।
ঘর থেকে বের হলেই পানিতে পা ভেজাতে হয়। জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে পানি মাড়িয়ে সড়কের শুকনা অংশে উঠতে হয় তাদের।
একটি মসজিদের প্রাঙ্গণও পানিতে নিমজ্জিত বহুদিন ধরেই। নামাজ পড়তে মসজিদে পানি মাড়িয়ে যেতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মুসল্লিদের। পাশাপাশি দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কের ৫০০ মিটার অংশ পানিতে ডুবে আছে। সড়কে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ব্রাহ্মণকান্দা এলাকার বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রায় দুই মাস যাবত এলাকার ৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। ঘর থেকে বের হতে গেলে স্যান্ডেল হাতে নিয়ে পানি পার হয়ে শুকনা অংশে উঠতে হয়। এরপর সেন্ডেল পরে রওনা দিতে হয়।
আরেক বাসিন্দা আসলাম হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর এই জলাবদ্ধতার সমস্যা। বাইপাস সড়ক হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতার নিরসন হচ্ছে না। বৃষ্টির সময় বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
আরেক বাসিন্দা রওশন আহমেদ বলেন, এই এলাকায় একটি স্কুল ও একটি মসজিদের সামনের মাঠ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়া একটি সড়কের ৫০০ মিটার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। স্কুলে শিক্ষার্থীরা আসতে পারছে না। এলেও রিকশায় আসা লাগে। এ কারণে গরিব মানুষের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না।
জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান তিনি।
ব্রাহ্মণকান্দা মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ মাহফুজ বলেন, দুই মাস ধরে মসজিদের সামনের অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আরশাদ জানায়, স্কুলে আসতে হয় পানি পার হয়ে। এ কারণে অনেকেই স্কুলে আসছে না। খেলাধুলা করতে পারি না আমরা।
ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুন্নাহার বলেন, স্কুলের মাঠে প্রায় তিন মাস যাবত পানি রয়েছে। এ কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা-কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান তুহিন জানান, স্কুলের মাঠে বৃষ্টির পানি আটকে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। পানির কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীরা আসছে না। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষাক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, স্কুলে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে একশ শিক্ষার্থী স্কুলে আসে। বিশেষ করে পানি মাড়িয়ে আসায় অনেক শিক্ষার্থীর পায়ে চর্মরোগ হয়েছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না। এছাড়া খেলাধুলাও করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। পানি নিরসনে দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা না হলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হবে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরাফাত রহমান রাজিব জানিয়েছেন, ওই এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিগুলো বালু দিয়ে ভরাট করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জমি কেটে পাইপ দিয়ে পানি অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুতই জলাবদ্ধতার নিরসন হবে।