এবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে আঘাত হানলে সেন্টমার্টিন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্রমেই পরাক্রমশালী হয়ে উপকূল পার হওয়ার সময় ঝড়ের কেন্দ্র থাকতে পারে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপের কাছে। আর এ কারণেই দ্বীপটিতে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, সেন্টমার্টিনের কাছ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র পার হবে। তাই এখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব সিডরের চেয়েও বেশি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি এলে এর কেন্দ্রে বাতাসের ঘূর্ণন গতি হবে ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। এই গতি দমকা, ঝড়সহ ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া অ্যাকু ওয়েদার বলছে, সর্বোচ্চ আড়াইশ কিলোমিটার ঘূর্ণন গতি নিয়ে রোববার দুপুরের পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আছড়ে পড়তে পারে মোখা।
দমকা, ঝড়সহ বাতাসের তীব্র গতির সঙ্গে থাকবে বজ্রপাত। অতি প্রবল ঝড়ের তোড়ে সাগরে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হবে। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এত গতিতে বাংলাদেশে এর আগে যেসব ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে তাতে কমবেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে ফসল, মৎস্য খামার, গবাদিপশু, পাখি ও গাছপালার প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার দুপুরের পর ট্রলার, স্পিডবোটে কয়েকশ মানুষ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে এসেছেন। সেখানে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িয়ে উঠেছেন তারা।
নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত আট বর্গকিলোমিটারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের গড় উচ্চতা তিন দশমিক ছয় মিটার। চার মিটার উচু জলোচ্ছ্বাসে পুরো দ্বীপটিই ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষের বসবাস। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেয়া আছে তাদের।
মোখা আট থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। আর এই গতিতেই ধাবমান থাকলে রোববার দুপুর নাগাদ উপকূলে পৌঁছে যেতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই। আজিজুর রহমান বলেন, টেকনাফের নীচ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির। পুরো কক্সবাজার জেলা থাকবে এই ঝড়ের আওতায়। প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম অঞ্চল জুড়ে।
গতকাল উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও গত রাতে ঘূর্ণিঝড়টি দিক পাল্টে উত্তর দিক অর্থাৎ বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আগাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটার প্যাটার্ন ছিল সিডিও (সেন্ট্রাল ডেন্স ওভারকাস্ট)। এখন হয়েছে বেন্ড প্যাটার্নের। অর্থাৎ এটি উচ্চ ক্ষমতার প্যাটার্নের দিকে যাচ্ছে।’
বেন্ড প্যাটার্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এই ধরণের ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ও বৃষ্টি ঝড়ানোর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। সঙ্গে থাকে প্রচুর বজ্রপাত এবং দমকা ও ঝড়ো হাওয়া।উপকূলে আঘাত হানার আগে আবার ধরন পাল্টে যদি ‘আই ফরমেশন’-এ যায় তাহলে এর তীব্রতা আরও ভয়াবহ হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, সেন্টমার্টিনের কাছ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র পার হবে। তাই এখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব সিডরের চেয়েও বেশি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি এলে এর কেন্দ্রে বাতাসের ঘূর্ণন গতি হবে ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। এই গতি দমকা, ঝড়সহ ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া অ্যাকু ওয়েদার বলছে, সর্বোচ্চ আড়াইশ কিলোমিটার ঘূর্ণন গতি নিয়ে রোববার দুপুরের পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আছড়ে পড়তে পারে মোখা।
দমকা, ঝড়সহ বাতাসের তীব্র গতির সঙ্গে থাকবে বজ্রপাত। অতি প্রবল ঝড়ের তোড়ে সাগরে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হবে। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এত গতিতে বাংলাদেশে এর আগে যেসব ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে তাতে কমবেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে ফসল, মৎস্য খামার, গবাদিপশু, পাখি ও গাছপালার প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার দুপুরের পর ট্রলার, স্পিডবোটে কয়েকশ মানুষ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে এসেছেন। সেখানে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িয়ে উঠেছেন তারা।
নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত আট বর্গকিলোমিটারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের গড় উচ্চতা তিন দশমিক ছয় মিটার। চার মিটার উচু জলোচ্ছ্বাসে পুরো দ্বীপটিই ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষের বসবাস। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেয়া আছে তাদের।
মোখা আট থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। আর এই গতিতেই ধাবমান থাকলে রোববার দুপুর নাগাদ উপকূলে পৌঁছে যেতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই। আজিজুর রহমান বলেন, টেকনাফের নীচ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির। পুরো কক্সবাজার জেলা থাকবে এই ঝড়ের আওতায়। প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম অঞ্চল জুড়ে।
গতকাল উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও গত রাতে ঘূর্ণিঝড়টি দিক পাল্টে উত্তর দিক অর্থাৎ বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আগাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটার প্যাটার্ন ছিল সিডিও (সেন্ট্রাল ডেন্স ওভারকাস্ট)। এখন হয়েছে বেন্ড প্যাটার্নের। অর্থাৎ এটি উচ্চ ক্ষমতার প্যাটার্নের দিকে যাচ্ছে।’
বেন্ড প্যাটার্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এই ধরণের ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ও বৃষ্টি ঝড়ানোর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। সঙ্গে থাকে প্রচুর বজ্রপাত এবং দমকা ও ঝড়ো হাওয়া।উপকূলে আঘাত হানার আগে আবার ধরন পাল্টে যদি ‘আই ফরমেশন’-এ যায় তাহলে এর তীব্রতা আরও ভয়াবহ হবে।