এবার বন্ধুত্বের টানে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসেছেন সৌদি নাগরিক মুহাম্মদ আলী শাহারানি। গত ২৬ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশে আসেন। এসে উঠেছেন প্রবাসজীবনে তারই কারখানায় কাজ করা জামাল হোসেন ও আজহার উদ্দিন নামে দুই শ্রমিকের বাড়িতে। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের রামদেবপুর গ্রামে।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, জামাল হোসেন ও আজহার উদ্দিন দুজনে সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। দুই দশক আগে তারা পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে সৌদি আরব পাড়ি জমান। প্রবাসজীবনে তারা সৌদি আরবের আভা জেলার যে কারখানায় কাজ করতেন তার মালিক ছিলেন মুহাম্মদ আলী শাহারানি। তার কারখানায়ই চাচা-ভাতিজা দুজনেই টানা ২০ বছর কাজ করেন।
পাঁচ বছর আগে পরিবারের টানে চলে আসেন দেশে। বিশ্বাস আর কাজের মাধ্যমেই তারা কারখানার সৌদিয়ান মালিক মুহাম্মদ আলী শাহারানির মন জয় করতে সক্ষম হন। মালিক শ্রমিক সম্পর্ক একসময় বন্ধুত্বে রূপ নেয়, তৈরি হয় আত্মিক সম্পর্ক। সেই বন্ধুত্বের টানেই গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশে এসেছেন সৌদি নাগরিক আলী শাহারানি।
এদিকে প্রেমের টানে বিদেশি নাগরিক দেশে আসার ঘটনা অহরহ ঘটলেও মালিক-শ্রমিকের বন্ধুত্বের কারণে বাংলাদেশে আসার ঘটনা এলাকার মানুষের কাছে ভিন্ন আবহ সৃষ্টি করেছে।
আজহার ও জামাল হোসেন জানান, ভালোবাসা, বিশ্বাস, সততা আর কর্মের কারণেই মালিক-শ্রমিকের মধ্যে বন্ধুত্ব ও আত্মিক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ ২০ বছরের সেই সম্পর্ক কোনোভাবেই ভুলতে পারেননি সৌদি নাগরিক শাহারানি। বন্ধুত্বের কারণেই দেশে ফেরত আসার পরও নিয়মিত ফোনে কথা হতো জামাল হোসেনের সঙ্গে। প্রায়ই কথা হতো আজহারের সঙ্গেও।
এদিকে উপজেলার রামদেবপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আজহার ও জামালের বাড়িতে থেকে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখছেন সৌদি নাগরিক শাহার আলী। এলাকার মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে এ দেশের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছেন। আড্ডা দিচ্ছেন চায়ের দোকানে। যাচ্ছেন এলাকার সৌদিপ্রবাসী অন্যদের বাড়িতেও।
স্থানীয় মালীরচালা গ্রামের লিটন ভূইয়া বলেন, হাজার মাইল দূর থেকে আমাদের এলাকায় আসা সৌদি নাগরিক একজন মানুষ। তিনি আসার পর থেকেই আমাদের সঙ্গে ঘুরছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, একসঙ্গে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করেছি। খুবই ভালো লাগছে। শ্রমিকের জন্য বিদেশি কম্পানির কোনো মালিক আমাদের দেশে আসা সত্যিই গর্বের বিষয়।
এদিকে মুহাম্মদ আলী শাহারানির বরাত দিয়ে আজহার বলেন, আধো আধো বাংলাও বলতে পারেন তিনি। বাংলার রূপ আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ এই সৌদি নাগরিক। খাচ্ছেন ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, সবজিসহ বিভিন্ন রকমের বাংলাদেশি সুস্বাধু খাবার। তাকে কাছে পেয়ে খুশি এলাকাবসীও। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে মালিক এবং শ্রমিকের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাদের সম্পর্কটা ছিল আত্মিক। যত দিন বেঁচে থাকবেন এ বন্ধন অটুট থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, জামাল হোসেন ও আজহার উদ্দিন দুজনে সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। দুই দশক আগে তারা পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে সৌদি আরব পাড়ি জমান। প্রবাসজীবনে তারা সৌদি আরবের আভা জেলার যে কারখানায় কাজ করতেন তার মালিক ছিলেন মুহাম্মদ আলী শাহারানি। তার কারখানায়ই চাচা-ভাতিজা দুজনেই টানা ২০ বছর কাজ করেন।
পাঁচ বছর আগে পরিবারের টানে চলে আসেন দেশে। বিশ্বাস আর কাজের মাধ্যমেই তারা কারখানার সৌদিয়ান মালিক মুহাম্মদ আলী শাহারানির মন জয় করতে সক্ষম হন। মালিক শ্রমিক সম্পর্ক একসময় বন্ধুত্বে রূপ নেয়, তৈরি হয় আত্মিক সম্পর্ক। সেই বন্ধুত্বের টানেই গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশে এসেছেন সৌদি নাগরিক আলী শাহারানি।
এদিকে প্রেমের টানে বিদেশি নাগরিক দেশে আসার ঘটনা অহরহ ঘটলেও মালিক-শ্রমিকের বন্ধুত্বের কারণে বাংলাদেশে আসার ঘটনা এলাকার মানুষের কাছে ভিন্ন আবহ সৃষ্টি করেছে।
আজহার ও জামাল হোসেন জানান, ভালোবাসা, বিশ্বাস, সততা আর কর্মের কারণেই মালিক-শ্রমিকের মধ্যে বন্ধুত্ব ও আত্মিক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ ২০ বছরের সেই সম্পর্ক কোনোভাবেই ভুলতে পারেননি সৌদি নাগরিক শাহারানি। বন্ধুত্বের কারণেই দেশে ফেরত আসার পরও নিয়মিত ফোনে কথা হতো জামাল হোসেনের সঙ্গে। প্রায়ই কথা হতো আজহারের সঙ্গেও।
এদিকে উপজেলার রামদেবপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আজহার ও জামালের বাড়িতে থেকে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখছেন সৌদি নাগরিক শাহার আলী। এলাকার মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে এ দেশের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছেন। আড্ডা দিচ্ছেন চায়ের দোকানে। যাচ্ছেন এলাকার সৌদিপ্রবাসী অন্যদের বাড়িতেও।
স্থানীয় মালীরচালা গ্রামের লিটন ভূইয়া বলেন, হাজার মাইল দূর থেকে আমাদের এলাকায় আসা সৌদি নাগরিক একজন মানুষ। তিনি আসার পর থেকেই আমাদের সঙ্গে ঘুরছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, একসঙ্গে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করেছি। খুবই ভালো লাগছে। শ্রমিকের জন্য বিদেশি কম্পানির কোনো মালিক আমাদের দেশে আসা সত্যিই গর্বের বিষয়।
এদিকে মুহাম্মদ আলী শাহারানির বরাত দিয়ে আজহার বলেন, আধো আধো বাংলাও বলতে পারেন তিনি। বাংলার রূপ আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ এই সৌদি নাগরিক। খাচ্ছেন ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, সবজিসহ বিভিন্ন রকমের বাংলাদেশি সুস্বাধু খাবার। তাকে কাছে পেয়ে খুশি এলাকাবসীও। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে মালিক এবং শ্রমিকের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাদের সম্পর্কটা ছিল আত্মিক। যত দিন বেঁচে থাকবেন এ বন্ধন অটুট থাকবে বলে জানান তিনি।