একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষে আজ তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতির জীবন তুলে ধরে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি চাইব বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনোভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়। এখানে বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত ও মেধাপুষ্ট দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে। তবেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এ বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালোবাসায় আলোকিত হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি কথা অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোনো বিষয়ে ভালোভাবে না জেনে যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন।
সভ্য জগতে ভব্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে। বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাকস্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এ বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে, তার ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার জন্য যথেচ্ছ সমালোচনার পরিবর্তে জেনে-শুনে ওয়েল ইনফরমড হয়ে সমালোচনার প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তা সংবাদমাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার প্রশাসনকে রাখতে হবে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন ও সোশ্যাল জাস্টিস তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশ ও জাতির জন্য গর্বের। দায়িত্ব পালনকালে আমার সতীর্থ বিচারকরা ও আইনজীবীদের সুচিন্তিত পথ ধরে একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। আমি আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে ও সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে একটি দীর্ঘ মেয়াদি জুডিসিয়াল প্ল্যান তৈরি করতে চাই। আমার উত্তরসূরিরা যেন এ প্ল্যান বা পরিকল্পনা ধরে আগামীতে এগিয়ে যেতে পারেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। অবকাশ, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি শেষে দীর্ঘ ৩৫ দিন পর আজ সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন এটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট বার। সংবর্ধনায় বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষে আজ তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতির জীবন তুলে ধরে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি চাইব বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনোভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়। এখানে বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত ও মেধাপুষ্ট দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে। তবেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এ বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালোবাসায় আলোকিত হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি কথা অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোনো বিষয়ে ভালোভাবে না জেনে যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন।
সভ্য জগতে ভব্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে। বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাকস্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এ বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে, তার ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার জন্য যথেচ্ছ সমালোচনার পরিবর্তে জেনে-শুনে ওয়েল ইনফরমড হয়ে সমালোচনার প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তা সংবাদমাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার প্রশাসনকে রাখতে হবে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন ও সোশ্যাল জাস্টিস তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা দেশ ও জাতির জন্য গর্বের। দায়িত্ব পালনকালে আমার সতীর্থ বিচারকরা ও আইনজীবীদের সুচিন্তিত পথ ধরে একটি দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। আমি আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে ও সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে একটি দীর্ঘ মেয়াদি জুডিসিয়াল প্ল্যান তৈরি করতে চাই। আমার উত্তরসূরিরা যেন এ প্ল্যান বা পরিকল্পনা ধরে আগামীতে এগিয়ে যেতে পারেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। অবকাশ, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি শেষে দীর্ঘ ৩৫ দিন পর আজ সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম দিনে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন এটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট বার। সংবর্ধনায় বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।