প্রকৃতি কখনো বিরূপ আকৃতি ধারণ করে। যেটাকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলি। যেমন- ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, ভারী বর্ষণ, বন্যা, খরা, দাবানল, শৈত্যপ্রবাহ, দুর্ভিক্ষ, ভূমিকম্প ও সুনামি প্রভৃতি। প্রকৃতির যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা আল্লাহর অধীনে। এসব কিছু কেবল তার হুকুমেই হয়। তার হুকুম ও আদেশের বাইরে গাছের একটি পাতাও নড়ে না।
পবিত্র কোরআনে দুর্যোগের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা, নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে, “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা,আয়াত : ১৫৫-১৫৭)
সম্প্রতি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার নাম ‘মোখা’। যার জন্য উপকূলীয় অঞ্চল বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয়বাসী আতঙ্কগ্রস্থ। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইলে রাসূল (সা.) মসজিদে যেতেন এবং নামাজে মশগুল হতেন। (মিশকাত)
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সাহাবিদের জীবনে আমরা দেখি, বিপদে-মুসিবতে তারা নামাজে দাঁড়াতেন ও ধৈর্য ধারণ করতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ)
ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় রাসূল (সা.) তার উম্মতকে বিচলিত না হয়ে দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ও বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পবিত্র কুরআনের বিশেষ দোয়া-
‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১২)
প্রবল ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টিতে যদি মানুষের জন জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে কিংবা ফসলাদি নষ্ট হয় বা চলাচলের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়, তবে সে অবস্থায় প্রিয় রাসূল (সা.) এ দোয়া পড়তেন-
‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে (ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি) ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না।’ (বুখারি)
জোরে বাতাস প্রবাহিত হলে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া পড়তেন-
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা’
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।
ঝড় বা বাতাস থেকে বাঁচতে নবিজি (সা.) যে দোয়া পড়তেন-
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি এর কল্যাণ এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে (বুখারি)।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
পবিত্র কোরআনে দুর্যোগের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা, নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে, “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা,আয়াত : ১৫৫-১৫৭)
সম্প্রতি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার নাম ‘মোখা’। যার জন্য উপকূলীয় অঞ্চল বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয়বাসী আতঙ্কগ্রস্থ। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইলে রাসূল (সা.) মসজিদে যেতেন এবং নামাজে মশগুল হতেন। (মিশকাত)
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সাহাবিদের জীবনে আমরা দেখি, বিপদে-মুসিবতে তারা নামাজে দাঁড়াতেন ও ধৈর্য ধারণ করতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ)
ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় রাসূল (সা.) তার উম্মতকে বিচলিত না হয়ে দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ও বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পবিত্র কুরআনের বিশেষ দোয়া-
‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১২)
প্রবল ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টিতে যদি মানুষের জন জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে কিংবা ফসলাদি নষ্ট হয় বা চলাচলের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়, তবে সে অবস্থায় প্রিয় রাসূল (সা.) এ দোয়া পড়তেন-
‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে (ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি) ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না।’ (বুখারি)
জোরে বাতাস প্রবাহিত হলে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া পড়তেন-
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা’
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।
ঝড় বা বাতাস থেকে বাঁচতে নবিজি (সা.) যে দোয়া পড়তেন-
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি এর কল্যাণ এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে (বুখারি)।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।