বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পরে সুনীল সমদ্দার (৫২) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বাবার মৃত্যুর এ খবর শুনে সুনীলের ছেলেকে দিতে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। নিহত সুনীল সমাদ্দার উপজেলার গৈলা গ্রামের মৃত রাম প্রসাদ সমদ্দারের ছেলে। এ ঘটনায় সৈয়দ সরোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক সুপারি ব্যবসায়ী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এর আগে, বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার পয়সারহাটগামী একটি লোকাল বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন ওই দুই ব্যবসায়ী। সুনীল সমদ্দার উপজেলার গৈলা গ্রামের মৃত রাম সমদ্দারের ছেলে। তিনি স্থানীয় গৈলা বাজারে মাছের ব্যবসা করেন। আহত সৈয়দ সরোয়ার হোসেন পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে। তিনি গৈলা বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বরিশালের মাছের আড়ত থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ইলিশ মাছ কিনে পয়সারহাটগামী লোকাল বাসে বাড়ি ফিরছিলেন সুনীল সমদ্দার। অন্যদিকে মাহিলাড়া হাট থেকে সুপারি কিনে একই বাসে ওঠেন সৈয়দ সরোয়ার হোসেন। এ সময় লোকাল বাসে তাদের দুজনকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয় অজ্ঞান পার্টির লোকজন।
পরবর্তীতে লোকাল বাসটি গৈলা রথখোলা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দার গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা ওই দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দারের শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং জ্ঞান ফিরে না আসায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বখতিয়ার আল মামুন তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া দুই রোগীর একজনকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর রোগীরও জ্ঞান ফিরে না আসায় ওই রাতেই তাঁকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।স্থানীয় ইউপি সদস্য তালুকদার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দারের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ থেকে আনা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর নিজ বাড়ি গৈলা গ্রামে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’ ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর পরও তাঁর ছোট ছেলে উজ্জ্বল সমদ্দার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।’
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি সৈয়দ সরোয়ার হোসেনের ভাই আতিয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই এখনো চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার জ্ঞান ফেরেনি।’
এর আগে, বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার পয়সারহাটগামী একটি লোকাল বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন ওই দুই ব্যবসায়ী। সুনীল সমদ্দার উপজেলার গৈলা গ্রামের মৃত রাম সমদ্দারের ছেলে। তিনি স্থানীয় গৈলা বাজারে মাছের ব্যবসা করেন। আহত সৈয়দ সরোয়ার হোসেন পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে। তিনি গৈলা বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বরিশালের মাছের আড়ত থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ইলিশ মাছ কিনে পয়সারহাটগামী লোকাল বাসে বাড়ি ফিরছিলেন সুনীল সমদ্দার। অন্যদিকে মাহিলাড়া হাট থেকে সুপারি কিনে একই বাসে ওঠেন সৈয়দ সরোয়ার হোসেন। এ সময় লোকাল বাসে তাদের দুজনকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয় অজ্ঞান পার্টির লোকজন।
পরবর্তীতে লোকাল বাসটি গৈলা রথখোলা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দার গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা ওই দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দারের শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং জ্ঞান ফিরে না আসায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বখতিয়ার আল মামুন তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া দুই রোগীর একজনকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর রোগীরও জ্ঞান ফিরে না আসায় ওই রাতেই তাঁকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।স্থানীয় ইউপি সদস্য তালুকদার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মাছ ব্যবসায়ী সুনীল সমদ্দারের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ থেকে আনা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর নিজ বাড়ি গৈলা গ্রামে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’ ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর পরও তাঁর ছোট ছেলে উজ্জ্বল সমদ্দার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।’
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি সৈয়দ সরোয়ার হোসেনের ভাই আতিয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই এখনো চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার জ্ঞান ফেরেনি।’