আমিরুল ইসলাম , সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনটি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। স্টেশনটির একমাত্র বিশ্রামাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। ৩ জন টিকেট বুকিং সহকারির জায়গায় ১জন। সরু ফুট-ওভার ব্রীজে হাজার হাজার মানুষ পারাপার। আধুনিক যুগেও হাতে লিখে টিকেট বিক্রি।
সরেজমিনে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনটিতে যাত্রীদের দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগারটি তালাবন্ধ। এতে অপেক্ষমান যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মের নানা স্থানে দাঁড়িয়ে আবার কেউ বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। বিশেষ করে পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। তিনজন টিকেট বুকিং সহকারির জায়গায় রয়েছেন একজন। ব্রিটিশ আমলের স্টেশনটিতে এখনও হাতে লেখা টিকেটের প্রচলন এ স্টেশনে। এতে করে একই আসনে একাধিক যাত্রীর কাছে টিকিট বিক্রির ঘটনাও অহরহ ঘটছে। সরুফুট ওভারব্রিজ দিয়ে হাজার হাজার মানুষের পারাপার খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
ট্রেন যাত্রী ফজলুল করিম, আলিফ, আয়শা সিদ্দিকা, মোস্তাক আহমেদ বলেন, একই আসনের টিকিট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। ডিজিটাল টিকেটিং সিস্টেম চালু না থাকায় আধুনিক যুগে এসেও হাতে লেখা টিকেট কিনতে হচ্ছে। এতে একই টিকেট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রির মত ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার পর ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জামতৈল স্টেশনে ডিজিটাল টিকেটিং সিস্টেম চালু ও একই টিকেট একাধিক যাত্রীর কাছে যাতে বিক্রি না হয়, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করেন তারা।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি গত ৯ সেপ্টেম্বর এই স্টেশনে যোগদান করেছি। এ স্টেশনে তিনজন বুকিং সহকারি থাকার কথা থাকলেও সব দায়িত্ব আমাকে একাই করতে হচ্ছে। যার কারণে সম্প্রতি ভুলবশত একই আসন দুই যাত্রীর কাছে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু হান্নান জানান, সম্প্রতি জামতৈল স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ সহ নানা উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু স্টেশনের একমাত্র বিশ্রামাগারের বেহাল অবস্থা। যার কারণে সেটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্টেশনে এক বছরের বেশি সময় ধরে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই। যার কারণে স্টেশনের টয়লেট সহ প্ল্যাটফর্ম ও রেললাইনে আবর্জনায় ভরে থাকে। ট্রেনের যাত্রী সুবিধায় প্ল্যাটফর্মে ১০টি বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হয়। কিন্তু ১০টি পাখার একটি সুইচ হওয়ায় অনেক সময় একটি পাখার প্রয়োজন হলেও ১০টি পাখা একসঙ্গে ঘোরানো হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। স্টেশনে অনধিকার প্রবেশ কমানো দরকার। অনধিকার প্রবেশের কারণে ট্রেনের যাত্রীদের মালামাল চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এসব সমস্যা নিয়ে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান সরকার (পিপিএম) জানান, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চুরি ছিনতাই রোধে রাতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে আগের তুলনায় চুরি ছিনতাই অনেক কমেছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল জানান, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের বিশ্রামাগারের সমস্যাগুলো আমার জানা ছিলো না। যেহেতু নানা সমস্যার কারণে বিশ্রামাগারটি বন্ধ আছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান করে বিশ্রামাগারটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী রেলওয়ে বিভাগের সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন একটি জন-গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এই স্টেশনের ফুট-ওভার ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। ফুট-ওভার ব্রীজটি অনেক সরু ও একসঙ্গে বেশি মানুষ পারাপারে সমস্যা হওয়ায় সমস্যা নিরসনে তদন্ত-পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, জামতৈল স্টেশনে ডিজিটাল টিকেটিং সিস্টেম চালু করতে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বুকিং সহকারি সংকটের কারণে জামতৈল স্টেশনে একজন বুকিং সহকারি দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। নতুন করে নিয়োগ দিলে বুকিং সহকারির সংকট কেটে যাবে।
সরেজমিনে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনটিতে যাত্রীদের দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগারটি তালাবন্ধ। এতে অপেক্ষমান যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মের নানা স্থানে দাঁড়িয়ে আবার কেউ বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। বিশেষ করে পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। তিনজন টিকেট বুকিং সহকারির জায়গায় রয়েছেন একজন। ব্রিটিশ আমলের স্টেশনটিতে এখনও হাতে লেখা টিকেটের প্রচলন এ স্টেশনে। এতে করে একই আসনে একাধিক যাত্রীর কাছে টিকিট বিক্রির ঘটনাও অহরহ ঘটছে। সরুফুট ওভারব্রিজ দিয়ে হাজার হাজার মানুষের পারাপার খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
ট্রেন যাত্রী ফজলুল করিম, আলিফ, আয়শা সিদ্দিকা, মোস্তাক আহমেদ বলেন, একই আসনের টিকিট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। ডিজিটাল টিকেটিং সিস্টেম চালু না থাকায় আধুনিক যুগে এসেও হাতে লেখা টিকেট কিনতে হচ্ছে। এতে একই টিকেট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রির মত ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার পর ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জামতৈল স্টেশনে ডিজিটাল টিকেটিং সিস্টেম চালু ও একই টিকেট একাধিক যাত্রীর কাছে যাতে বিক্রি না হয়, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করেন তারা।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি গত ৯ সেপ্টেম্বর এই স্টেশনে যোগদান করেছি। এ স্টেশনে তিনজন বুকিং সহকারি থাকার কথা থাকলেও সব দায়িত্ব আমাকে একাই করতে হচ্ছে। যার কারণে সম্প্রতি ভুলবশত একই আসন দুই যাত্রীর কাছে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু হান্নান জানান, সম্প্রতি জামতৈল স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ সহ নানা উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু স্টেশনের একমাত্র বিশ্রামাগারের বেহাল অবস্থা। যার কারণে সেটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্টেশনে এক বছরের বেশি সময় ধরে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই। যার কারণে স্টেশনের টয়লেট সহ প্ল্যাটফর্ম ও রেললাইনে আবর্জনায় ভরে থাকে। ট্রেনের যাত্রী সুবিধায় প্ল্যাটফর্মে ১০টি বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হয়। কিন্তু ১০টি পাখার একটি সুইচ হওয়ায় অনেক সময় একটি পাখার প্রয়োজন হলেও ১০টি পাখা একসঙ্গে ঘোরানো হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। স্টেশনে অনধিকার প্রবেশ কমানো দরকার। অনধিকার প্রবেশের কারণে ট্রেনের যাত্রীদের মালামাল চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এসব সমস্যা নিয়ে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান সরকার (পিপিএম) জানান, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চুরি ছিনতাই রোধে রাতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে আগের তুলনায় চুরি ছিনতাই অনেক কমেছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল জানান, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের বিশ্রামাগারের সমস্যাগুলো আমার জানা ছিলো না। যেহেতু নানা সমস্যার কারণে বিশ্রামাগারটি বন্ধ আছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান করে বিশ্রামাগারটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী রেলওয়ে বিভাগের সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন একটি জন-গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এই স্টেশনের ফুট-ওভার ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। ফুট-ওভার ব্রীজটি অনেক সরু ও একসঙ্গে বেশি মানুষ পারাপারে সমস্যা হওয়ায় সমস্যা নিরসনে তদন্ত-পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, জামতৈল স্টেশনে ডিজিটাল টিকেটিং সিস্টেম চালু করতে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বুকিং সহকারি সংকটের কারণে জামতৈল স্টেশনে একজন বুকিং সহকারি দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। নতুন করে নিয়োগ দিলে বুকিং সহকারির সংকট কেটে যাবে।