স্বপ্নের পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া অটোরিকশাচালক শরীফুল ইসলাম ৩ মাস ১০ দিন পর নিজের অটোরিকশাটি বুঝে পেয়েছেন। পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশ আজ রবিবার ১ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে তার অটোরিকশাটি তাকে বুঝিয়ে দেন। এর আগে সকালে তিনি সশরীরে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় হাজির হয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে অটোরিকশা নিতে এসেছেন বলে জানান।
পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৮ জুন দিনগত রাত ২টার দিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেন শরীফুল ইসলাম। অটোরিকশাটি সেতুর ওপরই ছিল। কেউ কেউ এটিকে আত্মহত্যা বলছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছিল, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা সেতুতে উঠে পড়ায় প্রশাসনের হাত থেকে রক্ষা পেতে লাফ দেন তিনি। কয়েক দিন উদ্ধার অভিযান চললেও সে সময় তার সন্ধান মেলেনি। ৩ মাস ১০ দিন পর আজ ১ অক্টোবর তিনি নিজেই পদ্মা সেতু উত্তর থানায় হাজির হন। অটোরিকশাচালক শরীফুল ইসলাম বাগেরহাটের মোল্লাহাটের উদয়পুর অরুণকান্দি গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে।
এদিকে ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, হঠাৎ আজ সকালে থানায় এসে শরীফুল নিজেকে পদ্মায় ঝাঁপ দেওয়া সেই ব্যক্তি দাবি করেন। এ সময় তিনি অটোরিকশাটি নিতে এসেছেন বলে জানান। নদীতে ঝাঁপ দিলেও তিনি বেঁচে যান। সাঁতার কেটে তিনি তীরে উঠে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন।
ওসি আরও বলেন, আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখছি এবং ঘটনার বিবরণ নিয়েছি। দাবিকৃত অটোরিকশাটি শরীফুলের হওয়ায় যাচাই বাছাই শেষে সন্ধ্যার দিকে সেটি তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অটোরিকশাচালক শরীফুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকার হাজারীবাগে দুই-তিন বছর অটোরিকশা চালিয়েছি। পরে সিদ্ধান্ত নিই আমার গ্রামের বাড়ি গিয়ে অটোরিকশা চালাবো। ওই দিন গভীর রাতে পদ্মা সেতু দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক আমাকে ধাওয়া করে।
একপর্যায়ে ট্রাকের সঙ্গে আমার অটোরিকশাটির ধাক্কা লাগলে আমি পড়ে যাই। পরে ওই লোকগুলো কাছাকাছি এলে আমি ভয়ে পদ্মায় লাফ দিই। পরে রাতভর সাঁতার কেটে একটা চরে উঠি। তারপর কিছুদিন অসুস্থ হয়ে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৮ জুন দিনগত রাত ২টার দিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেন শরীফুল ইসলাম। অটোরিকশাটি সেতুর ওপরই ছিল। কেউ কেউ এটিকে আত্মহত্যা বলছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছিল, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা সেতুতে উঠে পড়ায় প্রশাসনের হাত থেকে রক্ষা পেতে লাফ দেন তিনি। কয়েক দিন উদ্ধার অভিযান চললেও সে সময় তার সন্ধান মেলেনি। ৩ মাস ১০ দিন পর আজ ১ অক্টোবর তিনি নিজেই পদ্মা সেতু উত্তর থানায় হাজির হন। অটোরিকশাচালক শরীফুল ইসলাম বাগেরহাটের মোল্লাহাটের উদয়পুর অরুণকান্দি গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে।
এদিকে ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, হঠাৎ আজ সকালে থানায় এসে শরীফুল নিজেকে পদ্মায় ঝাঁপ দেওয়া সেই ব্যক্তি দাবি করেন। এ সময় তিনি অটোরিকশাটি নিতে এসেছেন বলে জানান। নদীতে ঝাঁপ দিলেও তিনি বেঁচে যান। সাঁতার কেটে তিনি তীরে উঠে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন।
ওসি আরও বলেন, আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখছি এবং ঘটনার বিবরণ নিয়েছি। দাবিকৃত অটোরিকশাটি শরীফুলের হওয়ায় যাচাই বাছাই শেষে সন্ধ্যার দিকে সেটি তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অটোরিকশাচালক শরীফুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকার হাজারীবাগে দুই-তিন বছর অটোরিকশা চালিয়েছি। পরে সিদ্ধান্ত নিই আমার গ্রামের বাড়ি গিয়ে অটোরিকশা চালাবো। ওই দিন গভীর রাতে পদ্মা সেতু দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক আমাকে ধাওয়া করে।
একপর্যায়ে ট্রাকের সঙ্গে আমার অটোরিকশাটির ধাক্কা লাগলে আমি পড়ে যাই। পরে ওই লোকগুলো কাছাকাছি এলে আমি ভয়ে পদ্মায় লাফ দিই। পরে রাতভর সাঁতার কেটে একটা চরে উঠি। তারপর কিছুদিন অসুস্থ হয়ে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।