আমিরুল ইসলাম , সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোমেনা পারভীন ও চৌবাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা দিলারা পারভীনের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশুর মৃত্যু এবং মাকে চিকিৎসা না দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী প্রসূতি ফাতেমা উপজেলার গাড়াবাড়ী গ্রামের রঞ্জু সরকারের মেয়ে।
ফাতেমার মা ফিরোজা বেগম বলেন, ফাতেমার প্রসব ব্যাথা উঠলে মোমেনা পারভীনের পরামর্শে মঙ্গলবার বিকেলে চৌবাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যাই। প্রসব করাতে পারবেন কিনা, তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, শহরে নিয়ে অপারেশনের প্রয়োজন হবে না। এখানে ভালো ভাবে ফাতেমাকে প্রসব করানো সম্ভব হবে। পরে মোমেনা ও দিলারা মিলে মেয়েকে অনেক কষ্ট এবং অমানবিক ভাবে মেয়ের সন্তান প্রসব করায়। সন্তান প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে নবজাতক কন্যা শিশুকে নিয়ে দ্রুত শহরের শিশু চিকিৎসক দেখাতে বলেন তারা। পরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্রসবের সময় অতিরিক্ত টানাটানি করার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এবং ফাতেমার বিশেষ স্থানে ছিড়ে গেলেও চিকিৎসা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি করে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র তালাবন্ধ করে চলে যান তারা। পরে জামতৈল বেসরকারি একটি ক্লিনিকে নিয়ে ফাতেমার বিশেষ স্থানে সেলাই দিয়ে তারপর বাড়ীতে নিয়ে যাই।
উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অভিযুক্ত মোমেনা পারভীন বলেন, ফাতেমার সন্তান প্রসবে আমাদের কোন অবহেলা ছিলো না। ফাতেমার সন্তান প্রসবের পর নবজাতক শিশুর কোন কান্নার আওয়াজ ও শ্বাস প্রশ্বাস না থাকায় শহরের শিশু চিকিৎসককে দেখাতে বলা হয়েছিলো। আরেক অভিযুক্ত পরিদর্শিকা দিলারা পারভীন বলেন, ফাতেমার নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার মাথা অনেকটা বের হয়ে গেছে। এসময় তো প্রসব না করিয়ে শহরে পাঠানো সম্ভব নয়। পরে মোমেনা আপার সহযোগিতায় খুব কষ্টে ফাতেমার সন্তান প্রসব করানো হয়। তবে প্রসব করানোর সময় বিশেষ স্থানে ফেটে গেলে তো আমরা চিকিৎসা দিয়েই দিতাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুফিয়া সুলতানা বলেন, ফাতেমার সন্তান প্রসবের পর বিশেষ স্থানে ফেটে গেলেও সেখানে কোন চিকিৎসা না দিয়েই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আমার কাছে নিয়ে আসলে সেখানে অন্তত ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রেবেকা সুলতানা বলেন, রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোমেনা পারভীন ও চৌবাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা দিলারা পারভীনের অবহেলায় যদি নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকে এঘটনায় অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
ফাতেমার মা ফিরোজা বেগম বলেন, ফাতেমার প্রসব ব্যাথা উঠলে মোমেনা পারভীনের পরামর্শে মঙ্গলবার বিকেলে চৌবাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যাই। প্রসব করাতে পারবেন কিনা, তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, শহরে নিয়ে অপারেশনের প্রয়োজন হবে না। এখানে ভালো ভাবে ফাতেমাকে প্রসব করানো সম্ভব হবে। পরে মোমেনা ও দিলারা মিলে মেয়েকে অনেক কষ্ট এবং অমানবিক ভাবে মেয়ের সন্তান প্রসব করায়। সন্তান প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে নবজাতক কন্যা শিশুকে নিয়ে দ্রুত শহরের শিশু চিকিৎসক দেখাতে বলেন তারা। পরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্রসবের সময় অতিরিক্ত টানাটানি করার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এবং ফাতেমার বিশেষ স্থানে ছিড়ে গেলেও চিকিৎসা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি করে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র তালাবন্ধ করে চলে যান তারা। পরে জামতৈল বেসরকারি একটি ক্লিনিকে নিয়ে ফাতেমার বিশেষ স্থানে সেলাই দিয়ে তারপর বাড়ীতে নিয়ে যাই।
উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অভিযুক্ত মোমেনা পারভীন বলেন, ফাতেমার সন্তান প্রসবে আমাদের কোন অবহেলা ছিলো না। ফাতেমার সন্তান প্রসবের পর নবজাতক শিশুর কোন কান্নার আওয়াজ ও শ্বাস প্রশ্বাস না থাকায় শহরের শিশু চিকিৎসককে দেখাতে বলা হয়েছিলো। আরেক অভিযুক্ত পরিদর্শিকা দিলারা পারভীন বলেন, ফাতেমার নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার মাথা অনেকটা বের হয়ে গেছে। এসময় তো প্রসব না করিয়ে শহরে পাঠানো সম্ভব নয়। পরে মোমেনা আপার সহযোগিতায় খুব কষ্টে ফাতেমার সন্তান প্রসব করানো হয়। তবে প্রসব করানোর সময় বিশেষ স্থানে ফেটে গেলে তো আমরা চিকিৎসা দিয়েই দিতাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুফিয়া সুলতানা বলেন, ফাতেমার সন্তান প্রসবের পর বিশেষ স্থানে ফেটে গেলেও সেখানে কোন চিকিৎসা না দিয়েই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আমার কাছে নিয়ে আসলে সেখানে অন্তত ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রেবেকা সুলতানা বলেন, রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোমেনা পারভীন ও চৌবাড়ী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা দিলারা পারভীনের অবহেলায় যদি নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকে এঘটনায় অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে