মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গৃহবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়টি। সোমবারের (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস বিফিংয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টির ইস্যু উঠে আসে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের কাছে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাদের চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে ৪৮ ঘণ্টা আলটিমেটাম দিয়েছে। বর্তমানে ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গৃহবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মুক্তির বিষয়ে মিলারের বক্তব্য জানতে চান ওই সাংবাদিক।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বিষয়টি অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। সরকারের নির্বাহী আদেশে কারামুক্তি পেয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে বিএনপি ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাকে দ্বিতীয় দফায় নেওয়া হয়েছে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। তার অবস্থা ‘সংকটজনক’ বলে দাবি করছেন বিএনপি নেতারা। এবার তাকে মুক্তির পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন। করোনা মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ওই সিদ্ধান্ত নেয়। সে আবেদনে আইনের ধারা উল্লেখ না থাকলেও আইনগত দিক খতিয়ে দেখে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা-১ এর বিধান প্রয়োগ করে দণ্ড স্থগিত ও মুক্তির ওই সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার, ফুসফুস, কিডনি, হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন।
অবস্থার অবনতি দেখে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফের তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আবেদনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের কাছে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাদের চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে ৪৮ ঘণ্টা আলটিমেটাম দিয়েছে। বর্তমানে ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গৃহবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মুক্তির বিষয়ে মিলারের বক্তব্য জানতে চান ওই সাংবাদিক।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বিষয়টি অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। সরকারের নির্বাহী আদেশে কারামুক্তি পেয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে বিএনপি ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাকে দ্বিতীয় দফায় নেওয়া হয়েছে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। তার অবস্থা ‘সংকটজনক’ বলে দাবি করছেন বিএনপি নেতারা। এবার তাকে মুক্তির পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন। করোনা মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ওই সিদ্ধান্ত নেয়। সে আবেদনে আইনের ধারা উল্লেখ না থাকলেও আইনগত দিক খতিয়ে দেখে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা-১ এর বিধান প্রয়োগ করে দণ্ড স্থগিত ও মুক্তির ওই সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার, ফুসফুস, কিডনি, হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন।
অবস্থার অবনতি দেখে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফের তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আবেদনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।