আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ফসলের রোগ বালাই দমনে ‘অতন্দ্র জরিপ’ নামে এক পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কৃষকেরা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রোগ বালাই দমনে বালাইনাশক খুব কম ব্যবহার করতে হয়। এতে করে ফসলের উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অতন্দ্র জরিপ পদ্ধতিতে প্রতি ৫০ শতক জমিতে কোনাকুনি ভাবে ধান বা অন্য ফসলের ২০টি করে গোছা নির্বাচন করা হয়। প্রতি গোছায় ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা এবং পাতার সংখ্যা গণনা করে তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। এক সপ্তাহ পর আবারও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে রোগ, ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা নির্ণয় করে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয়।
উপজেলার মুগবেলাই গ্রামের কৃষক নজরুল, আসাদুল ও আনিসুর বলেন, আগে আমরা ধানের জমিতে পোকা দেখলেই বালাইনাশক প্রয়োগ করেছি। এতে ক্ষতিকর পোকার পাশাপাশি উপকারি পোকাও ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে অতন্দ্র জরিপের মাধ্যমে খুব সহজেই ক্ষতিকর পোকা ও উপকারি পোকা নির্ণয়ের পাশাপাশি পোকার আক্রমণও নির্ণয় করতে পারছি। ফলে প্রয়োজন ছাড়া ধানের জমিতে আর বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। এতে আমাদের খরচ অনেক কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাশিক আহসান জানান, রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের হাতে-কলমে অতন্দ্র জরিপ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রোগের প্রাদুর্ভাব ও পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ার আগেই সতর্ক হতে পারছেন কৃষক। ফলে পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অতন্দ্র জরিপের মাধ্যমে ক্ষতিকর ও উপকারি পোকা নির্ণয়ের পাশাপাশি একদিকে কৃষক যত্রতত্র বালাইনাশক প্রয়োগ না করায় ফসলের উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অতন্দ্র জরিপ পদ্ধতিতে প্রতি ৫০ শতক জমিতে কোনাকুনি ভাবে ধান বা অন্য ফসলের ২০টি করে গোছা নির্বাচন করা হয়। প্রতি গোছায় ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা এবং পাতার সংখ্যা গণনা করে তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। এক সপ্তাহ পর আবারও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে রোগ, ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা নির্ণয় করে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয়।
উপজেলার মুগবেলাই গ্রামের কৃষক নজরুল, আসাদুল ও আনিসুর বলেন, আগে আমরা ধানের জমিতে পোকা দেখলেই বালাইনাশক প্রয়োগ করেছি। এতে ক্ষতিকর পোকার পাশাপাশি উপকারি পোকাও ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে অতন্দ্র জরিপের মাধ্যমে খুব সহজেই ক্ষতিকর পোকা ও উপকারি পোকা নির্ণয়ের পাশাপাশি পোকার আক্রমণও নির্ণয় করতে পারছি। ফলে প্রয়োজন ছাড়া ধানের জমিতে আর বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। এতে আমাদের খরচ অনেক কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাশিক আহসান জানান, রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের হাতে-কলমে অতন্দ্র জরিপ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রোগের প্রাদুর্ভাব ও পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ার আগেই সতর্ক হতে পারছেন কৃষক। ফলে পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অতন্দ্র জরিপের মাধ্যমে ক্ষতিকর ও উপকারি পোকা নির্ণয়ের পাশাপাশি একদিকে কৃষক যত্রতত্র বালাইনাশক প্রয়োগ না করায় ফসলের উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।