ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী রিজভী আহমেদ রূপমের বিরুদ্ধে ৮টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তার সহপাঠীরা। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন জাহিদ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তারা।
এর আগে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় রিজভী আহমেদ রূপম তার সহপাঠী নাঈম চৌধুরীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেন নাঈম। অভিযোগের আলোকে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যরা হলেন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও ড. আফরোজা বানু।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিভাগ থেকে আমরাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে আলোকে আমরা একটি গণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
এ বিষয়ে জানার জন্য তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) রিজভী আহমেদ রূপমের বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ বা বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের নিকট জমা দেয়ার জন্য গণ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
গণ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রিজভী আহমেদ রূপম তার সহপাঠী ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম চৌধুরীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিভাগের ১৬-১৭, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে খামবন্ধ করে আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কাছে জমা দেয়ার কথা গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। গণবিজ্ঞপ্তির পরে রিজভী আহমেদ রূপমের বিরুদ্ধে ১৬টি লিখিত অভিযোগ দেয় তার সহপাঠীরা।
লিখিত অভিযোগের আলোকে, বিগত ৬ মাস সোস্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা, বানোয়াট পোস্ট এবং মন্তব্য করে নাইমকে লাঞ্চিত করেছে। আমরাও তার দ্বারা মানসিক আক্রমণ এবং হুমকির শিকার হয়েছি। সে ব্যাচে অশোভনীয় এবং অমার্জিত আচরণ, প্রতিনিয়ত নিজের অস্তিত্বের গুরুত্ব জানান দেয়ার জন্য বিভিন্ন রকম এটেনশান-সিকিং কর্মকান্ড এবং নিজের অপ্রাসঙ্গিক ক্ষমতা জাহির করার প্রচেষ্টা করে। তবে সে শুরু থেকেই ব্যাচের এবং ক্যাম্পাসের কাউকে পরোয়া না করা এবং রাজনীতিতে একজন সচেতন শিক্ষার্থী বলে দাবি করে এসেছে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে আমাদের ব্যাচমেট পুজা সাহা, আব্দুল কাইউম, জোবায়ের তালুকদার, আব্দুল্লাহসহ আরো নানান বন্ধুদের প্রতি উস্কানিমূলক আচরণ করতে থাকে রুপম। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মেয়ের সাথে বাজে আচরণ ও হুমকির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নাঈম চৌধুরী বলেন, রূপম দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ক্লাসের পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে এবং অনেককে হুমকি দিচ্ছে। যার ফলে ক্লাসে একটি ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি কর্তৃপক্ষের নিকট তার কঠোর ও যথোপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি যাতে এধরনের ঘটনা আর কখনো না ঘটে।
এ বিষয়ে রিজভী আহমেদ রূপম বলেন, গতদিন নাঈম চৌধুরী আগে আমার গায়ে হাত তোলে। যার ফলে আমি প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা সম্মিলিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমি তেমন কিছুই করিনি। আমি একা সবার বিরুদ্ধে কিভাবে যেতে পারি এটা কি সম্ভব। এছাড়া তারা আমার শিক্ষকদের কাছেও আমার ব্যাপারে বাজে কথা লাগিয়ে তাদের কাছে আমাকে খারাপ বানিয়েছে।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া মো: রাশিদুজ্জামান বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
এর আগে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় রিজভী আহমেদ রূপম তার সহপাঠী নাঈম চৌধুরীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেন নাঈম। অভিযোগের আলোকে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যরা হলেন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও ড. আফরোজা বানু।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিভাগ থেকে আমরাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে আলোকে আমরা একটি গণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
এ বিষয়ে জানার জন্য তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) রিজভী আহমেদ রূপমের বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ বা বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের নিকট জমা দেয়ার জন্য গণ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
গণ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রিজভী আহমেদ রূপম তার সহপাঠী ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম চৌধুরীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিভাগের ১৬-১৭, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে খামবন্ধ করে আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কাছে জমা দেয়ার কথা গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। গণবিজ্ঞপ্তির পরে রিজভী আহমেদ রূপমের বিরুদ্ধে ১৬টি লিখিত অভিযোগ দেয় তার সহপাঠীরা।
লিখিত অভিযোগের আলোকে, বিগত ৬ মাস সোস্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা, বানোয়াট পোস্ট এবং মন্তব্য করে নাইমকে লাঞ্চিত করেছে। আমরাও তার দ্বারা মানসিক আক্রমণ এবং হুমকির শিকার হয়েছি। সে ব্যাচে অশোভনীয় এবং অমার্জিত আচরণ, প্রতিনিয়ত নিজের অস্তিত্বের গুরুত্ব জানান দেয়ার জন্য বিভিন্ন রকম এটেনশান-সিকিং কর্মকান্ড এবং নিজের অপ্রাসঙ্গিক ক্ষমতা জাহির করার প্রচেষ্টা করে। তবে সে শুরু থেকেই ব্যাচের এবং ক্যাম্পাসের কাউকে পরোয়া না করা এবং রাজনীতিতে একজন সচেতন শিক্ষার্থী বলে দাবি করে এসেছে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে আমাদের ব্যাচমেট পুজা সাহা, আব্দুল কাইউম, জোবায়ের তালুকদার, আব্দুল্লাহসহ আরো নানান বন্ধুদের প্রতি উস্কানিমূলক আচরণ করতে থাকে রুপম। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মেয়ের সাথে বাজে আচরণ ও হুমকির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নাঈম চৌধুরী বলেন, রূপম দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ক্লাসের পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে এবং অনেককে হুমকি দিচ্ছে। যার ফলে ক্লাসে একটি ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি কর্তৃপক্ষের নিকট তার কঠোর ও যথোপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি যাতে এধরনের ঘটনা আর কখনো না ঘটে।
এ বিষয়ে রিজভী আহমেদ রূপম বলেন, গতদিন নাঈম চৌধুরী আগে আমার গায়ে হাত তোলে। যার ফলে আমি প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা সম্মিলিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমি তেমন কিছুই করিনি। আমি একা সবার বিরুদ্ধে কিভাবে যেতে পারি এটা কি সম্ভব। এছাড়া তারা আমার শিক্ষকদের কাছেও আমার ব্যাপারে বাজে কথা লাগিয়ে তাদের কাছে আমাকে খারাপ বানিয়েছে।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া মো: রাশিদুজ্জামান বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।