আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: দরিদ্রতা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে ফরিদুলের বেশ কিছুদিন আগে একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার আশায় জমি বিক্রি করে ও নগদ টাকা যা ছিল বিদেশে যাওয়ার জন্য দালালের কাছে টাকা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। শেষমেশ ঋণ নিয়ে অটোভ্যান ক্রয় করে সংসার, ঋণের প্রতি সপ্তাহে কিস্তি , অসুস্থ মায়ের ঔষধ, মানসিক প্রতিবন্ধী বড়ভাইয়ের দেখাশোনা করতে থাকে অটোভ্যান চালিয়ে যাচ্ছিলেন ফরিদুল।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে গোয়াল ঘর থেকে সেই অটোভ্যান গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যায় চোর। ভোরে অটোভ্যান গাড়িটি দেখতে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফরিদুল ইসলামের এবং তার আশি বছরের উর্ধ্বে মা আমেনা বেগম। অসুস্থ নির্বিকার মা আমেনার পাশে বসে সান্তনা দিচ্ছেন ফরিদুল ইসলাম ।
ঘটনাটি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের চরটেংরাইল গ্রামের আমেনা বেগম এবং মৃত কানসু মন্ডলের ছেলে ফরিদুল ইসলামের বাড়ির ঘটনা।
অটোভ্যান চালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে গাড়িটি কিনেছিলাম। গাড়ি চালিয়ে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করতাম তা দিয়েই ৫ সদস্যের পরিবার চলতো। গাড়িটি চালিয়ে মায়ের সপ্তাহে প্রায় ৫০০-৭০০ টাকা ঔষধ ও ১ হাজার ৩০০ টাকা কিস্তি দিতাম। কিন্তু গাড়িটি হারিয়ে আমি নি:স্ব। মায়ের ঔষধ, কিস্তি ও সংসার কী ভাবে চালাবো? এ নিয়ে খুব দুঃচিন্তায় রয়েছি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফরিদুলের মা আমেনা বেগম (৮০) বলেন, এই ছেলেই আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। সে ভ্যান চালিয়ে আমাকে ঔষধ কিনে দিতো আর সংসার চালাতো। ছেলের এই অবস্থায় ঔষধ, সংসার কিভাবে চলবে এখন। আমাদের তো আর কিছুই নাই। আমার ছেলে কি করে অটোভ্যান কিনবো। কেডা টাকা দিবো ফরিদুলরে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা.রেজাউল ইসলাম বলেন, ব্যাটারি চালিত ভ্যান হারিয়েছে এমন কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন এ বিষয়গুলো নিয়ে আগামী আইন-শৃঙ্খলা মিটিং উপস্থাপন করা হবে।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে গোয়াল ঘর থেকে সেই অটোভ্যান গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যায় চোর। ভোরে অটোভ্যান গাড়িটি দেখতে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফরিদুল ইসলামের এবং তার আশি বছরের উর্ধ্বে মা আমেনা বেগম। অসুস্থ নির্বিকার মা আমেনার পাশে বসে সান্তনা দিচ্ছেন ফরিদুল ইসলাম ।
ঘটনাটি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের চরটেংরাইল গ্রামের আমেনা বেগম এবং মৃত কানসু মন্ডলের ছেলে ফরিদুল ইসলামের বাড়ির ঘটনা।
অটোভ্যান চালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে গাড়িটি কিনেছিলাম। গাড়ি চালিয়ে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করতাম তা দিয়েই ৫ সদস্যের পরিবার চলতো। গাড়িটি চালিয়ে মায়ের সপ্তাহে প্রায় ৫০০-৭০০ টাকা ঔষধ ও ১ হাজার ৩০০ টাকা কিস্তি দিতাম। কিন্তু গাড়িটি হারিয়ে আমি নি:স্ব। মায়ের ঔষধ, কিস্তি ও সংসার কী ভাবে চালাবো? এ নিয়ে খুব দুঃচিন্তায় রয়েছি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফরিদুলের মা আমেনা বেগম (৮০) বলেন, এই ছেলেই আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। সে ভ্যান চালিয়ে আমাকে ঔষধ কিনে দিতো আর সংসার চালাতো। ছেলের এই অবস্থায় ঔষধ, সংসার কিভাবে চলবে এখন। আমাদের তো আর কিছুই নাই। আমার ছেলে কি করে অটোভ্যান কিনবো। কেডা টাকা দিবো ফরিদুলরে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা.রেজাউল ইসলাম বলেন, ব্যাটারি চালিত ভ্যান হারিয়েছে এমন কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন এ বিষয়গুলো নিয়ে আগামী আইন-শৃঙ্খলা মিটিং উপস্থাপন করা হবে।