এখন আলোচনা-সমালোচনার টেবিলে জাতীয় দলের ক্রিকেটার তানজিম সাকিব। দেশের হয়ে দুর্দান্ত খেলে ভাসছেন প্রশংসায়। অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বছর আগের একটি পোস্টের জন্য নেটিজেনদের একাংশের কাছে হচ্ছেন কটাক্ষের শিকার। অনেকেই ধর্মান্ধতা ও নারী বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে মুন্ডুপাত করছেন সাকিবের। অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিও রয়েছেন এই দলে।
এদিকে জ্যোতিকা জ্যোতি বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তানজিম হাসান সাকিব বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় কিন্তু সে এদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং বিজয় দিবস পালন করাকে ঘৃণা করে। তাহলে সে এ দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার অধিকার রাখে কি?এরকম রাষ্ট্রদ্রোহী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বিসিবি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে আশা রাখি।’
অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই ক্রিকেটার পেশাজীবী নারীদের নিয়ে যে নোংরা মন্তব্য করেছে,একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে আমার সক্ষমতা-যোগ্যতা ও স্বাধীনতাকে তা চরমভাবে অপমান করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন হীন মন্তব্যকারী ক্রিকেটারের আইনগত শাস্তি দাবি করছি আমি। দেশের লক্ষ কোটি কর্মজীবী নারীদের নিয়ে এমন বিদ্বেষ ছড়ানো খেলোয়াড়কে বাংলাদেশের জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার করার দাবী জানাই।’
জ্যোতি আরও লেখেন, ‘আমি জানি এ প্রসঙ্গে চুপ থাকাই নিরাপদ ভেবে অনেকেই চুপ থাকবে,আবার নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করতে গিয়ে কিছু লোক ইনিয়ে বিনিয়ে ব্যাক্তি ও বাকস্বাধীনতার কথা বলবে। কিন্তু এই দুটোই ভয়ংকর। অন্যায় করা আর অন্যায় মেনে নেওয়া সমান অপরাধ বলে আমি মনে করি। আর বাকস্বাধীনতা যদি হয় অন্যকে অপমান, কুসংস্কার ছড়ানো তাহলে সেটা নিশ্চই বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না। আমি স্পষ্টভাবে তাই আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি।’
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘মগজ ভর্তি নারীবিদ্বেষ ও ধর্মান্ধতা নিয়ে যেকোন মানুষ বাঁচতেই পারে,সেটা তার মতাদর্শ। কিন্তু যখন একজন প্রকাশ্যে সেসব পিছিয়ে থাকা মতাদর্শ নিয়ে বর্বর সময়কে ইঙ্গিত করে তখন সেই মতাদর্শকে আর বাড়তে দেওয়া ঠিক না। সাধারণ মানুষ হলেও এড়িয়ে যাওয়া যায়,কিন্তু একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটার যার লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার তাকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া যায় না। তাহলে ঘৃণার চাষাবাদ বাড়তে বাড়তে দেশ আইয়ামে জাহেলিয়ার দিকে আগাবে।’
এদিকে জ্যোতিকা জ্যোতি বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তানজিম হাসান সাকিব বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় কিন্তু সে এদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং বিজয় দিবস পালন করাকে ঘৃণা করে। তাহলে সে এ দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার অধিকার রাখে কি?এরকম রাষ্ট্রদ্রোহী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বিসিবি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে আশা রাখি।’
অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই ক্রিকেটার পেশাজীবী নারীদের নিয়ে যে নোংরা মন্তব্য করেছে,একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে আমার সক্ষমতা-যোগ্যতা ও স্বাধীনতাকে তা চরমভাবে অপমান করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন হীন মন্তব্যকারী ক্রিকেটারের আইনগত শাস্তি দাবি করছি আমি। দেশের লক্ষ কোটি কর্মজীবী নারীদের নিয়ে এমন বিদ্বেষ ছড়ানো খেলোয়াড়কে বাংলাদেশের জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার করার দাবী জানাই।’
জ্যোতি আরও লেখেন, ‘আমি জানি এ প্রসঙ্গে চুপ থাকাই নিরাপদ ভেবে অনেকেই চুপ থাকবে,আবার নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করতে গিয়ে কিছু লোক ইনিয়ে বিনিয়ে ব্যাক্তি ও বাকস্বাধীনতার কথা বলবে। কিন্তু এই দুটোই ভয়ংকর। অন্যায় করা আর অন্যায় মেনে নেওয়া সমান অপরাধ বলে আমি মনে করি। আর বাকস্বাধীনতা যদি হয় অন্যকে অপমান, কুসংস্কার ছড়ানো তাহলে সেটা নিশ্চই বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না। আমি স্পষ্টভাবে তাই আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি।’
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘মগজ ভর্তি নারীবিদ্বেষ ও ধর্মান্ধতা নিয়ে যেকোন মানুষ বাঁচতেই পারে,সেটা তার মতাদর্শ। কিন্তু যখন একজন প্রকাশ্যে সেসব পিছিয়ে থাকা মতাদর্শ নিয়ে বর্বর সময়কে ইঙ্গিত করে তখন সেই মতাদর্শকে আর বাড়তে দেওয়া ঠিক না। সাধারণ মানুষ হলেও এড়িয়ে যাওয়া যায়,কিন্তু একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটার যার লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার তাকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া যায় না। তাহলে ঘৃণার চাষাবাদ বাড়তে বাড়তে দেশ আইয়ামে জাহেলিয়ার দিকে আগাবে।’