এবার পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দিলে মাদক ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম। সম্প্রতি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এক ‘মাদক কারবারি’র স্ত্রীকে এ কথা বলেছিলেন তিনি। তবে ওই সময় গৃহবধূ সাহারা বেগম (২৮) ওসির কথোপকথন মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখেন। আর সেই রেকর্ডে ফেঁসে গেছেন ওসি মাহবুবুল আলম। এ ঘটনাটি প্রকাশের পর গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গৃহবধূ সাহারা বেগমের বাড়ি চারঘাট থানার চামটা গ্রামে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওসির ওই রেকর্ডে বলতে শোনা যায়, আরো দুই লাখ টাকা দিলে সাহারা খাতুনের স্বামী আব্দুল আলিম কালুকে গ্রেপ্তার করা পুলিশ কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক রেজা সরকারকে বদলির ব্যবস্থা করবেন ওসি মাহবুবুল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে চারঘাট থানার ওসি তার কোয়ার্টারের শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে সাহারা বেগমের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিলে স্বামীর পরিবর্তে তাকে অবাধে মাদক ব্যবসা করতে দেবেন বলেও জানান ওসি। এ নিয়ে গত শনিবার দুপুরে রাজশাহীর এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। অভিযোগের সঙ্গে রেকর্ড করে রাখা ছয় মিনিটি ৫৩ সেকেন্ডের কথোপকথনের অডিও জমা দেওয়া হয়। তার স্বামী আব্দুল আলিম কালু মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কারাগারে। কালু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শলুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে নির্বাচন করেন। এর জের ধরে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সাহারা বেগম।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ও র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। চারঘাট এলাকায় তার সোর্সের মাধ্যমে অনেক মাদক র্যাব-পুলিশ জব্দ করেছে। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে নির্বাচন করেন। এর পর থেকে এলাকার মুক্তা, শুভ ও সাব্বিরের সঙ্গে আমার স্বামীর বিরোধ বাধে। এর জের ধরে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করায় তারা।’
তিনি বলেন, ‘চারঘাটের চামটা গ্রামের মুক্তা, শিবপুর গ্রামের সাব্বির ও শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ শুভ আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। সেই অভিযোগ করতে থানায় গেলে ওসি সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে আমাকে মাদকের ব্যবসা করতে বলেন। তাতে আমি রাজি না হলে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।’
লিখিত অভিযোগে সাহারা বলেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ করতে গেলে গৃহবধূ সাহারা বেগম ও তার ছেলে রাব্বিকে নিজের শয়নকক্ষে ডেকে নেন ওসি মাহবুবুল আলম। প্রথমে ওসি তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। এরপর কথা বলতে শুরু করেন। কিন্তু তার আগেই ওই গৃহবধূ মোবাইলের ভয়েস রেকর্ড অপশন চালু রাখেন। তবে বিষয়টি টের পাননি ওসি। ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথোপকথন শেষে আবার তাকে মোবাইল ফেরত দেন ওসি।
অডিও রেকর্ডে ওসি মাহবুবুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচন করতে মন্ত্রী আমাকে গাইবান্ধা থেকে এখানে নিয়ে এসেছেন। আমি তার কথা ছাড়া কারো কথা শুনি না।’ চারঘাট এলাকায় গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে মামলা দেওয়ার কারণে জেলা ডিবি পুলিশের সমালোচনা করে ওসি বলেন, ‘দুই লাখ টাকা দেন, কালকেই ডিবির ওসিকে (পরিদর্শক আতিক রেজা সরকার) বদলি করে দেব। এবার আপনার পরিবারের কাউকে ধরলে ১০ লাখ টাকার কমে ছাড়াতে পারব না।’
এরপর ওসি বলেন, ‘এখনো তোমার গায়ে আঁচড় দিইনি। বহুত ফাঁকি দিয়েছ। কালকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসবা। এখন সে রকম সময় নয় যে কেউ পয়সা খায় না। সবাই পয়সা খাচ্ছে। এমন কেউ বাদ নেই, যে পয়সা খাচ্ছে না। পুরো জেলা পয়সা খাচ্ছে। এখানে আমার থানা চালাতে মাসিক অনেক টাকা লাগছে। আমি স্যারকে কথা দিয়ে এসেছি। স্যারকে বলেছি, এখানে মাদক ছাড়া কিছু নেই।’
ওসি আরো বলেন, ‘মুক্তা (চারঘাটের মাদকসম্রাট নামে পরিচিত) অ্যাকশন নিতে পারবে না, শুভ (ছাত্রলীগ নেতা ও মাদক কারবারি) অ্যাকশন নিতে পারবে না। তোমরা পাঁট লাখ টাকা দিতে পারবা? ধরে ওদের চালান দিয়ে দেব। থাকি না থাকি ওদের সাইজ করব। তোমরা বাইরে থেকে ব্যবসা (মাদক ব্যবসা) করবে।’ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক রেজা সরকারের আবারও সমালোচনা করে ওসিকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচনের আগে শুভকে ধরতে পারব না। কথা সব ভেঙে বলব না। কথা সব হয়ে গেল; যদি আতিকের বদলি চাও দুই লাখ টাকা দাও। কালকেই আতিকের বদলি হয়ে যাবে।’
এদিকে ওসি মাহবুবুল আরো বলেন, ‘পাঁচ লাখ আর দুই লাখ―সাত লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করো। আতিক বাদ, ওই দুইজনকে (মুক্তা ও শুভ) ট্যাকেল দেওয়ার দায়িত্ব আমার। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে মন্ত্রীকে বলে ওই দুইজনকে ধরে অ্যারেস্ট করে চালান করে দেব। আমার সব ওপরের লাইন। যে টাকা দিবা এই টাকাই ওপরে কাজ করবে।’ তবে অভিযোগের বিষয়ে শনিবার রাতে যোগাযোগ করা হলে ওসি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমার কাছেও অডিওটা এসেছে। কিন্তু কিভাবে হয়েছে আমি জানি না। এসব নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।’
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওসির ওই রেকর্ডে বলতে শোনা যায়, আরো দুই লাখ টাকা দিলে সাহারা খাতুনের স্বামী আব্দুল আলিম কালুকে গ্রেপ্তার করা পুলিশ কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক রেজা সরকারকে বদলির ব্যবস্থা করবেন ওসি মাহবুবুল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে চারঘাট থানার ওসি তার কোয়ার্টারের শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে সাহারা বেগমের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিলে স্বামীর পরিবর্তে তাকে অবাধে মাদক ব্যবসা করতে দেবেন বলেও জানান ওসি। এ নিয়ে গত শনিবার দুপুরে রাজশাহীর এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। অভিযোগের সঙ্গে রেকর্ড করে রাখা ছয় মিনিটি ৫৩ সেকেন্ডের কথোপকথনের অডিও জমা দেওয়া হয়। তার স্বামী আব্দুল আলিম কালু মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কারাগারে। কালু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শলুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে নির্বাচন করেন। এর জের ধরে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সাহারা বেগম।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ও র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। চারঘাট এলাকায় তার সোর্সের মাধ্যমে অনেক মাদক র্যাব-পুলিশ জব্দ করেছে। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে নির্বাচন করেন। এর পর থেকে এলাকার মুক্তা, শুভ ও সাব্বিরের সঙ্গে আমার স্বামীর বিরোধ বাধে। এর জের ধরে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করায় তারা।’
তিনি বলেন, ‘চারঘাটের চামটা গ্রামের মুক্তা, শিবপুর গ্রামের সাব্বির ও শলুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ শুভ আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। সেই অভিযোগ করতে থানায় গেলে ওসি সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে আমাকে মাদকের ব্যবসা করতে বলেন। তাতে আমি রাজি না হলে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।’
লিখিত অভিযোগে সাহারা বলেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ করতে গেলে গৃহবধূ সাহারা বেগম ও তার ছেলে রাব্বিকে নিজের শয়নকক্ষে ডেকে নেন ওসি মাহবুবুল আলম। প্রথমে ওসি তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। এরপর কথা বলতে শুরু করেন। কিন্তু তার আগেই ওই গৃহবধূ মোবাইলের ভয়েস রেকর্ড অপশন চালু রাখেন। তবে বিষয়টি টের পাননি ওসি। ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথোপকথন শেষে আবার তাকে মোবাইল ফেরত দেন ওসি।
অডিও রেকর্ডে ওসি মাহবুবুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচন করতে মন্ত্রী আমাকে গাইবান্ধা থেকে এখানে নিয়ে এসেছেন। আমি তার কথা ছাড়া কারো কথা শুনি না।’ চারঘাট এলাকায় গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে মামলা দেওয়ার কারণে জেলা ডিবি পুলিশের সমালোচনা করে ওসি বলেন, ‘দুই লাখ টাকা দেন, কালকেই ডিবির ওসিকে (পরিদর্শক আতিক রেজা সরকার) বদলি করে দেব। এবার আপনার পরিবারের কাউকে ধরলে ১০ লাখ টাকার কমে ছাড়াতে পারব না।’
এরপর ওসি বলেন, ‘এখনো তোমার গায়ে আঁচড় দিইনি। বহুত ফাঁকি দিয়েছ। কালকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসবা। এখন সে রকম সময় নয় যে কেউ পয়সা খায় না। সবাই পয়সা খাচ্ছে। এমন কেউ বাদ নেই, যে পয়সা খাচ্ছে না। পুরো জেলা পয়সা খাচ্ছে। এখানে আমার থানা চালাতে মাসিক অনেক টাকা লাগছে। আমি স্যারকে কথা দিয়ে এসেছি। স্যারকে বলেছি, এখানে মাদক ছাড়া কিছু নেই।’
ওসি আরো বলেন, ‘মুক্তা (চারঘাটের মাদকসম্রাট নামে পরিচিত) অ্যাকশন নিতে পারবে না, শুভ (ছাত্রলীগ নেতা ও মাদক কারবারি) অ্যাকশন নিতে পারবে না। তোমরা পাঁট লাখ টাকা দিতে পারবা? ধরে ওদের চালান দিয়ে দেব। থাকি না থাকি ওদের সাইজ করব। তোমরা বাইরে থেকে ব্যবসা (মাদক ব্যবসা) করবে।’ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক রেজা সরকারের আবারও সমালোচনা করে ওসিকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচনের আগে শুভকে ধরতে পারব না। কথা সব ভেঙে বলব না। কথা সব হয়ে গেল; যদি আতিকের বদলি চাও দুই লাখ টাকা দাও। কালকেই আতিকের বদলি হয়ে যাবে।’
এদিকে ওসি মাহবুবুল আরো বলেন, ‘পাঁচ লাখ আর দুই লাখ―সাত লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করো। আতিক বাদ, ওই দুইজনকে (মুক্তা ও শুভ) ট্যাকেল দেওয়ার দায়িত্ব আমার। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে মন্ত্রীকে বলে ওই দুইজনকে ধরে অ্যারেস্ট করে চালান করে দেব। আমার সব ওপরের লাইন। যে টাকা দিবা এই টাকাই ওপরে কাজ করবে।’ তবে অভিযোগের বিষয়ে শনিবার রাতে যোগাযোগ করা হলে ওসি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমার কাছেও অডিওটা এসেছে। কিন্তু কিভাবে হয়েছে আমি জানি না। এসব নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।’