জয়নাল আবেদীন,বেনাপোল: শার্শায় বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে মাল্টা চাষ। এ বছর গাছে ফলও এসেছে পর্যাপ্ত তবে পরিপক্ব হওয়ার আগেই ঝরে পড়ছে সেগুলো। এতে করে কৃষকের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ দেখা গেছে।অতিরিক্ত তাপমাত্রা, খরা, ছত্রাক ও পোকার আক্রমণে অনেক ক্ষেতের মাল্টা ঝরে পড়ার কথা জানিয়ে কৃষি বিভাগ। এ থেকে রক্ষায় সময়মতো সেচ ও কীটনাশক ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছে।
তবে কৃষি বিভাগ থেকে যেটুকু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তা খুব বেশি কাজে আসছে না বলে বেশিরভাগ বাগান মালিকের অভিযোগ। প্রতি বছরই মাল্টা ঝরে পড়লেও তার সঠিক সমাধান না পাওয়ায় অনেক কৃষক চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলারও কথা জানিয়েছেন।
গত বছর থেকে মাল্টা ঝরে পড়ার সমস্যায় ভুগছেন উপজেলার বারিপোতা গ্রামের চাষি সেলিম রেজা।
তিনি বলেন, তিন বছর আগে ১৪৮ শতাংশ জমিতে মাল্টা বাগান করি। গত বছরও মাল্টা ঝরে পড়েছিল তার মধ্যেও বাগান থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি হয়। কিন্তু এ বছর ফুল আসার পর থেকে অনাবৃষ্টি, খরা ও ভাইরাসের কারণে ফল ঝরে যাচ্ছে। এ বছর কত টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন তা নিয়ে উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন এ চাষি।
পরিপক্ব হওয়ার আগেই ফল ঝরে পড়ার কথা জানিয়েছেন নাভারনের মাল্টা চাষি জামাল উদ্দিনও। তিনি বলেন, এক ধরনের ভাইরাস ও ছত্রাকের আক্রমণে পরিপক্বের আগেই গাছ থেকে ফল ঝরে যাচ্ছে। যে কারণে লাভের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায়ও কেউ বলতে পারছে না।
শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামের কৃষক শাহাজান আলি। লাভের আশায় তিনি ২০২১ সালে প্রায় ৬৬ শতাংশ জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ শুরু করেন। তাতে কিছুটা সফল হলেও এ বছর ফলে ভাইরাস দেখা দেওয়ায় লাভ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়,শাহাজানের ক্ষেতের ১৭৫টি মাল্টা গাছের প্রতিটিতে দুলছে সবুজ মাল্টা। দেশি এই মাল্টা রসে টইটম্বুর, স্বাদে ও ঘ্রাণে অতুলনীয়।
শার্শার ফল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, বাজারে এবার প্রতি কেজি মাল্টা পাইকারিতে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে। অথচ বিদেশি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশ টাকা কেজিতে।
স্থানীয় মাল্টার দাম কমের কারণ জানতে চাইলে তোফাজ্জেল বলেন,পরিপক্ব না হওয়ায় মাল্টায় এবার রস কম তাই দামও কম। দিন পনেরো পরে ফলটি সংগ্রহ করলে দ্বিগুণ দাম পেত চাষি।
মাল্টা চাষে উৎসাহ যোগাতে স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সরকারিভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানান শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা।এ বছর শার্শা উপজেলায় ৫২ জন মাল্টা চাষি অন্তত ২৬ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন বলে কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এই মাল্টা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তরুণ বালা বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, ভাইরাস ও পোকার আক্রমণ থেকে মাল্টা ক্ষেত রক্ষায় সেচের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে ফলনের ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব।মাল্টা ঝরে পড়া রোধে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
তবে কৃষি বিভাগ থেকে যেটুকু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তা খুব বেশি কাজে আসছে না বলে বেশিরভাগ বাগান মালিকের অভিযোগ। প্রতি বছরই মাল্টা ঝরে পড়লেও তার সঠিক সমাধান না পাওয়ায় অনেক কৃষক চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলারও কথা জানিয়েছেন।
গত বছর থেকে মাল্টা ঝরে পড়ার সমস্যায় ভুগছেন উপজেলার বারিপোতা গ্রামের চাষি সেলিম রেজা।
তিনি বলেন, তিন বছর আগে ১৪৮ শতাংশ জমিতে মাল্টা বাগান করি। গত বছরও মাল্টা ঝরে পড়েছিল তার মধ্যেও বাগান থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি হয়। কিন্তু এ বছর ফুল আসার পর থেকে অনাবৃষ্টি, খরা ও ভাইরাসের কারণে ফল ঝরে যাচ্ছে। এ বছর কত টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন তা নিয়ে উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন এ চাষি।
পরিপক্ব হওয়ার আগেই ফল ঝরে পড়ার কথা জানিয়েছেন নাভারনের মাল্টা চাষি জামাল উদ্দিনও। তিনি বলেন, এক ধরনের ভাইরাস ও ছত্রাকের আক্রমণে পরিপক্বের আগেই গাছ থেকে ফল ঝরে যাচ্ছে। যে কারণে লাভের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায়ও কেউ বলতে পারছে না।
শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামের কৃষক শাহাজান আলি। লাভের আশায় তিনি ২০২১ সালে প্রায় ৬৬ শতাংশ জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ শুরু করেন। তাতে কিছুটা সফল হলেও এ বছর ফলে ভাইরাস দেখা দেওয়ায় লাভ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়,শাহাজানের ক্ষেতের ১৭৫টি মাল্টা গাছের প্রতিটিতে দুলছে সবুজ মাল্টা। দেশি এই মাল্টা রসে টইটম্বুর, স্বাদে ও ঘ্রাণে অতুলনীয়।
শার্শার ফল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, বাজারে এবার প্রতি কেজি মাল্টা পাইকারিতে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে। অথচ বিদেশি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশ টাকা কেজিতে।
স্থানীয় মাল্টার দাম কমের কারণ জানতে চাইলে তোফাজ্জেল বলেন,পরিপক্ব না হওয়ায় মাল্টায় এবার রস কম তাই দামও কম। দিন পনেরো পরে ফলটি সংগ্রহ করলে দ্বিগুণ দাম পেত চাষি।
মাল্টা চাষে উৎসাহ যোগাতে স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সরকারিভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানান শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা।এ বছর শার্শা উপজেলায় ৫২ জন মাল্টা চাষি অন্তত ২৬ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন বলে কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এই মাল্টা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তরুণ বালা বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, ভাইরাস ও পোকার আক্রমণ থেকে মাল্টা ক্ষেত রক্ষায় সেচের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে ফলনের ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব।মাল্টা ঝরে পড়া রোধে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।