এক সপ্তাহ আগে আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাকেশ শহর। মারাকাশেই বাস করেন নাসরিন আবু এল ফাদেল নামের এক নারী। তিনি শিক্ষকতা করেন আদাসেল নামের পাহাড়ি গ্রামের একটি স্কুলে।
ভূমিকম্পের পরপরই তাঁর স্কুলের কথা মনে পড়ে। তারপরই ছুটে যান সেখানে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের খুঁজতে গিয়ে নাসরিন জানতে পারেন, তাঁর ৩২ জন শিক্ষার্থীর সবাই মারা গেছে! তাদের বয়র ছিল ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। নাসরিন তাদের আরবি ও ফরাসি ভাষা শেখাতেন।
এদিকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাসরিন বলেন, ‘স্কুলটি যে গ্রামে, সেই গ্রামে গিয়ে আমি শিশুদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম—সুমায়া কোথায়? ইউসুফ কোথায়? এই মেয়েটা কোথায়? ওই ছেলেটা কোথায়? কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর উত্তর এলো, ওরা সবাই মারা গেছে!’ খাদিজা নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের গল্প শোনান নাসরিন।
তিনি বলেন, ‘খাদিজা ছিল আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের একজন। ওর বয়স ছিল ছয়। উদ্ধারকারীদের কাছ থেকে শুনেছি, খাদিজার মরদেহ তার ভাই মোহাম্মদ ও তার দুই বোন মেনা ও হানানের পাশে পড়ে ছিল। ভূমিকম্পের সময় ওরা সবাই ঘুমিয়ে ছিল।’ গত শুক্রবার শেষবারের মতো স্কুলে গিয়েছিলেন বলে জানান নাসরিন এল ফাদেল। এর ঠিক পাঁচ ঘণ্টা পরই ভূমিকম্প আঘাত হানে সেখানে।
তিনি বলেন, ‘সেদিন আমার ছেলেমেয়েদের জাতীয় সংগীত শেখাচ্ছিলাম। সোমবার স্কুলের সবার সামনে তারা জাতীয় সংগীত গাইবে বলে পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।’ মরক্কোর এই স্কুল শিক্ষিকা এখনো ট্রমায় ভুগছেন বলে জানান। তিনি কিছুতেই তাঁর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুলতে পারছেন না।
নাসরিন বলেন, ‘আমি ঘুমাতে পারছি না। সবাই ভাবছে আমি ভাগ্যবান, যেহেতু ভূমিকম্পে বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু এই বেঁচে থাকা কতটা দুর্বিষহ, কী করে বোঝাই!’ নাসরিন বলেন, তারপরও তাঁকে শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে হবে। ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া স্কুলটি শিগগিরই পুননির্মাণ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মরক্কোর মধ্যাঞ্চল।
বলা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে গত ১০০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভূমি থেকে ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। সরকারি হিসাবমতে, এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৬২ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৬২ জন। ধসে পড়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। প্রায় ৫৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরপরই তাঁর স্কুলের কথা মনে পড়ে। তারপরই ছুটে যান সেখানে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের খুঁজতে গিয়ে নাসরিন জানতে পারেন, তাঁর ৩২ জন শিক্ষার্থীর সবাই মারা গেছে! তাদের বয়র ছিল ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। নাসরিন তাদের আরবি ও ফরাসি ভাষা শেখাতেন।
এদিকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাসরিন বলেন, ‘স্কুলটি যে গ্রামে, সেই গ্রামে গিয়ে আমি শিশুদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম—সুমায়া কোথায়? ইউসুফ কোথায়? এই মেয়েটা কোথায়? ওই ছেলেটা কোথায়? কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর উত্তর এলো, ওরা সবাই মারা গেছে!’ খাদিজা নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের গল্প শোনান নাসরিন।
তিনি বলেন, ‘খাদিজা ছিল আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের একজন। ওর বয়স ছিল ছয়। উদ্ধারকারীদের কাছ থেকে শুনেছি, খাদিজার মরদেহ তার ভাই মোহাম্মদ ও তার দুই বোন মেনা ও হানানের পাশে পড়ে ছিল। ভূমিকম্পের সময় ওরা সবাই ঘুমিয়ে ছিল।’ গত শুক্রবার শেষবারের মতো স্কুলে গিয়েছিলেন বলে জানান নাসরিন এল ফাদেল। এর ঠিক পাঁচ ঘণ্টা পরই ভূমিকম্প আঘাত হানে সেখানে।
তিনি বলেন, ‘সেদিন আমার ছেলেমেয়েদের জাতীয় সংগীত শেখাচ্ছিলাম। সোমবার স্কুলের সবার সামনে তারা জাতীয় সংগীত গাইবে বলে পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।’ মরক্কোর এই স্কুল শিক্ষিকা এখনো ট্রমায় ভুগছেন বলে জানান। তিনি কিছুতেই তাঁর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুলতে পারছেন না।
নাসরিন বলেন, ‘আমি ঘুমাতে পারছি না। সবাই ভাবছে আমি ভাগ্যবান, যেহেতু ভূমিকম্পে বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু এই বেঁচে থাকা কতটা দুর্বিষহ, কী করে বোঝাই!’ নাসরিন বলেন, তারপরও তাঁকে শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে হবে। ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া স্কুলটি শিগগিরই পুননির্মাণ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মরক্কোর মধ্যাঞ্চল।
বলা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে গত ১০০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভূমি থেকে ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। সরকারি হিসাবমতে, এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৬২ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৬২ জন। ধসে পড়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। প্রায় ৫৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।