চলতি এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকেই আলো ছড়িয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট হিসেবেই শিকার করেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। তাই ভাসছেন প্রশংসার জোয়ারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা বিষয়ে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে সমালোচিতও হচ্ছেন। 'সাকিব' নামটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত নাম। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মাঠের খেলায় যেমন সকলকে টেক্কা দিয়েছেন, তেমনি বিতর্কেও তিনি সবার ওপরে।
ক্যারিয়ারের প্রথম দিন থেকেই নিজের নামটা আলোচনায় রেখেছেন টাইগার ক্রিকেটের কিংবদন্তি। এবার আরেক সাকিবের আগমনী গান শোনা যাচ্ছে টাইগার ক্রিকেটে। এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী হিসেবে আগে থেকেই গণমাধ্যমের আলোচনায় আছে তার নাম। তবে জাতীয় দলে অভিষেকে যেমন পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন, এরপর ক্রিকেটবিশ্বেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
অভিষেক বলের পরের বলেই পেয়েছেন রোহিত শর্মার উইকেট। শূন্য রানে ভারত অধিনায়ককে ফেরানোর পর তিলক ভার্মাকেও শিকার করেছেন এই তরুণ পেসার। এরপর শেষ ওভার করতে এসে স্নায়ু সামলে দলকে উপহার দিয়েছেন দারুণ এক জয়। বলা যায়, বল হাতে স্বপ্নের মতো অভিষেক হয়েছে জুনিয়র সাকিবের। পারফরম্যান্সে যেমন নতুন সাকিব হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তেমনই বিতর্কেও পূর্বসূরিকে অনুসরণই করছেন বুঝি 'নতুন' সাকিব।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার নানা স্ট্যাটাস নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। মূলত ফেসবুকে সাকিবের ভেরিফায়েড পেজে থাকা কিছু লেখা নিয়েই শুরু হয়েছে এই বিতর্ক। মাঠের খেলা দিয়ে আলোচনার পর এইসকল পুরনো স্ট্যাটাস হঠাৎ করে সামনে আসছে। এই সকল স্ট্যাটাসে নারীদের নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলা হয়েছে। তার ভেরিফায়েড পেজে থাকা ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের একটি লেখা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
সে পোস্টে লেখা আছে- স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়। স্ত্রীকে যেই স্বামী বলে- আমার স্ত্রীর চাকরি করার দরকার নেই। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি হয়ে আছে। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়।
তানজিম সাকিবের ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা আছে, 'আসলে স্ত্রী স্বামীর মর্যাদা বোঝেনি, স্ত্রী নিজের মর্যাদাও বোঝেনি। ঘর একটি জগৎ। অসংখ্য কাজ রয়েছে। আজ ছেলেদের বেকারত্বের বড় কারণ হচ্ছে- মেয়েরা এগিয়ে আসছে, ছেলেরা কোনো চাকরি পাচ্ছে না। একটি ছেলেকে চাকরি দিলে পুরো পরিবারের উপকার হয়।'
পোস্টের শেষে বলা হয়েছে, (অতএব মা-বোনেরা নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে স্বামীর আনুগত্য ও বাসায় অবস্থান করে রানির হালাতে অবস্থান করুন। অতএব মা-বোনেরা দুনিয়া কামাতে যেয়ে আখেরাত না হারিয়ে ঘরে অবস্থান করে স্বামী-সন্তানের খেদমত করে দুনিয়া ও আখেরাত দুটিই কামাই করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। পোস্টের শেষে একটি মাইক্রোফোনের ইমোটিকনসহ ‘শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)’ নামটি লেখা আছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে সাকিবের ভেরিফায়েড পেজ থেকে 'ফ্রি মিক্সিং' নিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়। সাকিবের এই পোস্টের স্ক্রিনশটে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব। তবে এটিই যে একমাত্র বিতর্কিত পোস্ট -তাও নয়। এর আগে ইমার্জিং এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়েও তার পেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের 'ফ্রি মিক্সিং' নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছিল।
গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যাবেলার পোস্টটিতে লেখা ছিল, ভার্সিটির ফ্রি মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানের জন্য একজন লজ্জাশীলা মা দিতে পারবেন না। সন্ধ্যা ৭.১৪ মিনিটে এই পোস্টটি করা হয়। প্রায় ১৫ মিনিটে তার সতীর্থসহ ৪২৩জন সেই পোস্টে রিয়্যাক্ট করেন। এরপরই অবশ্য এই বিতর্কিত পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।
ক্যারিয়ারের প্রথম দিন থেকেই নিজের নামটা আলোচনায় রেখেছেন টাইগার ক্রিকেটের কিংবদন্তি। এবার আরেক সাকিবের আগমনী গান শোনা যাচ্ছে টাইগার ক্রিকেটে। এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী হিসেবে আগে থেকেই গণমাধ্যমের আলোচনায় আছে তার নাম। তবে জাতীয় দলে অভিষেকে যেমন পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন, এরপর ক্রিকেটবিশ্বেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
অভিষেক বলের পরের বলেই পেয়েছেন রোহিত শর্মার উইকেট। শূন্য রানে ভারত অধিনায়ককে ফেরানোর পর তিলক ভার্মাকেও শিকার করেছেন এই তরুণ পেসার। এরপর শেষ ওভার করতে এসে স্নায়ু সামলে দলকে উপহার দিয়েছেন দারুণ এক জয়। বলা যায়, বল হাতে স্বপ্নের মতো অভিষেক হয়েছে জুনিয়র সাকিবের। পারফরম্যান্সে যেমন নতুন সাকিব হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তেমনই বিতর্কেও পূর্বসূরিকে অনুসরণই করছেন বুঝি 'নতুন' সাকিব।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার নানা স্ট্যাটাস নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। মূলত ফেসবুকে সাকিবের ভেরিফায়েড পেজে থাকা কিছু লেখা নিয়েই শুরু হয়েছে এই বিতর্ক। মাঠের খেলা দিয়ে আলোচনার পর এইসকল পুরনো স্ট্যাটাস হঠাৎ করে সামনে আসছে। এই সকল স্ট্যাটাসে নারীদের নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলা হয়েছে। তার ভেরিফায়েড পেজে থাকা ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের একটি লেখা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
সে পোস্টে লেখা আছে- স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়। স্ত্রীকে যেই স্বামী বলে- আমার স্ত্রীর চাকরি করার দরকার নেই। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি হয়ে আছে। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়।
তানজিম সাকিবের ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা আছে, 'আসলে স্ত্রী স্বামীর মর্যাদা বোঝেনি, স্ত্রী নিজের মর্যাদাও বোঝেনি। ঘর একটি জগৎ। অসংখ্য কাজ রয়েছে। আজ ছেলেদের বেকারত্বের বড় কারণ হচ্ছে- মেয়েরা এগিয়ে আসছে, ছেলেরা কোনো চাকরি পাচ্ছে না। একটি ছেলেকে চাকরি দিলে পুরো পরিবারের উপকার হয়।'
পোস্টের শেষে বলা হয়েছে, (অতএব মা-বোনেরা নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে স্বামীর আনুগত্য ও বাসায় অবস্থান করে রানির হালাতে অবস্থান করুন। অতএব মা-বোনেরা দুনিয়া কামাতে যেয়ে আখেরাত না হারিয়ে ঘরে অবস্থান করে স্বামী-সন্তানের খেদমত করে দুনিয়া ও আখেরাত দুটিই কামাই করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। পোস্টের শেষে একটি মাইক্রোফোনের ইমোটিকনসহ ‘শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)’ নামটি লেখা আছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে সাকিবের ভেরিফায়েড পেজ থেকে 'ফ্রি মিক্সিং' নিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়। সাকিবের এই পোস্টের স্ক্রিনশটে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব। তবে এটিই যে একমাত্র বিতর্কিত পোস্ট -তাও নয়। এর আগে ইমার্জিং এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়েও তার পেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের 'ফ্রি মিক্সিং' নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছিল।
গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যাবেলার পোস্টটিতে লেখা ছিল, ভার্সিটির ফ্রি মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানের জন্য একজন লজ্জাশীলা মা দিতে পারবেন না। সন্ধ্যা ৭.১৪ মিনিটে এই পোস্টটি করা হয়। প্রায় ১৫ মিনিটে তার সতীর্থসহ ৪২৩জন সেই পোস্টে রিয়্যাক্ট করেন। এরপরই অবশ্য এই বিতর্কিত পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।