এবার লাপাজের সাড়ে ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় আগেরদিনও অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা। দলের বড় একটা অংশেরই বলিভিয়ার মাঠটিতে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল এই প্রথম। একইসঙ্গে দলের প্রধান তারকা ও নিয়মিত অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ম্যাচটিতে পাওয়া শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে স্কোয়াডের বাইরে রেখেই একাদশ সাজান কোচ লিওনেল স্কালোনি। তবে মাঠে নামতেই সব দুশ্চিন্তা উধাও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
বল দখলে আধিপত্য দেখানোর পর আর্জেন্টিনা স্বাগতিক বলিভিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসিরা কষ্টসাধ্য জয় পেয়েছিলেন। একমাত্র ফ্রি-কিক গোলেই সেই জয় নিশ্চিত করেছিলেন বিশ্বজয়ী মহাতারকা। কিন্তু চোটের অস্বস্তি নিয়ে তিনি সেদিন মাঠ ছেড়েছিলেন, যা সতীর্থদের বাড়তি চাপেই রাখার কথা।
সেসব দুশ্চিন্তা পাশ কাটিয়ে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিজ্ঞ আনহেল ডি মারিয়া। গোল না পেলেও করেছেন দুটি অ্যাসিস্ট। দলের জয়ে এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো এবং নিকোলাস গনসালেস একটি করে গোল পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে লাপাজের এস্তাদিও হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়ামে ৬০ শতাংশ বলই দখলে ছিল আর্জেন্টিনার।
অন্যদিকে ৩৯ মিনিটে দুই হলুদ কাডের পর লাল কার্ড হজম করে মাঠ ছাড়তে হয় বলিভিয়ার রবার্তো ফার্নান্দেজকে। ঘরের মাঠের বিরূপ পরিস্থিতি দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করা তো দূরে থাক, স্বাগতিকরা উল্টো ১০ জনের দল নিয়ে আরও চাপে পড়ে যায়। প্রথম দশ মিনিট থেকেই ম্যাচের প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় আর্জেন্টিনা। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের রদ্রিগো দি পলের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ঠিক দুই মিনিট পর এনজোর দুর্দান্ত এক শট আঙুল ছুঁয়ে ঠেকিয়ে দেন বলিভিয়ার গোলরক্ষক। তবে ৩১ মিনিটে আর ভুল করলেন না এই চেলসি মিডফিল্ডার। জুলিয়ান আলভারেজ ও ডি মারিয়া হয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে বল পেয়ে যান এনজো। সেখান থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে তিনি দলকে এগিয়ে দেন। এরপরই দশ জনের দলে পরিণত হওয়া বলিভিয়া আরও চাপে পড়ে যায়।
তারই সুযোগ নিয়ে বিরতির আগমুহূর্তে লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তালিয়াফিকো। ডি মারিয়ার ফ্রি কিক বলটি তিনি হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। ২-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় স্কালোনির শিষ্যরা। বিরতির পরও বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা খেলায় আধিপত্য ধরে রাখে। তবে খেলার গতি ঠিক আগের মতো ছিল না। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাঠের উচ্চতা-ই হয়তো এই প্রভাব ফেলেছে। তবে ৭০ ও ৭২ মিনিটে নেওয়া আলভারেজ ও ডি মারিয়ার দূরপাল্লার শটেও হতে পারত গোল।
তবে সেবার জালের দেখা না পেলেও ৮৩ মিনিটে ঠিকই সফরকারী আলবিসেলেস্তে বাহিনী তৃতীয় গোল আদায় করে নেয়। বদলি নামা এজিকিয়েল পালাসিওসের পাস থেকে নিকোলাস গনসালেস সফল লক্ষ্যভেদ করেন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইয়ের টেবিলে শীর্ষস্থান দখল করে নিল আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ইন্টার মায়ামি ও জাতীয় দলের হয়ে টানা ম্যাচ খেলার ধকলও কিছুটা সামলাতে পারলেন মেসি। বয়স ও ক্লান্তির কথা মাথায় রেখেই এদিন তাকে বাইরে রেখেছিলেন স্কালোনি।
বল দখলে আধিপত্য দেখানোর পর আর্জেন্টিনা স্বাগতিক বলিভিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসিরা কষ্টসাধ্য জয় পেয়েছিলেন। একমাত্র ফ্রি-কিক গোলেই সেই জয় নিশ্চিত করেছিলেন বিশ্বজয়ী মহাতারকা। কিন্তু চোটের অস্বস্তি নিয়ে তিনি সেদিন মাঠ ছেড়েছিলেন, যা সতীর্থদের বাড়তি চাপেই রাখার কথা।
সেসব দুশ্চিন্তা পাশ কাটিয়ে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিজ্ঞ আনহেল ডি মারিয়া। গোল না পেলেও করেছেন দুটি অ্যাসিস্ট। দলের জয়ে এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো এবং নিকোলাস গনসালেস একটি করে গোল পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে লাপাজের এস্তাদিও হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়ামে ৬০ শতাংশ বলই দখলে ছিল আর্জেন্টিনার।
অন্যদিকে ৩৯ মিনিটে দুই হলুদ কাডের পর লাল কার্ড হজম করে মাঠ ছাড়তে হয় বলিভিয়ার রবার্তো ফার্নান্দেজকে। ঘরের মাঠের বিরূপ পরিস্থিতি দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করা তো দূরে থাক, স্বাগতিকরা উল্টো ১০ জনের দল নিয়ে আরও চাপে পড়ে যায়। প্রথম দশ মিনিট থেকেই ম্যাচের প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় আর্জেন্টিনা। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের রদ্রিগো দি পলের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ঠিক দুই মিনিট পর এনজোর দুর্দান্ত এক শট আঙুল ছুঁয়ে ঠেকিয়ে দেন বলিভিয়ার গোলরক্ষক। তবে ৩১ মিনিটে আর ভুল করলেন না এই চেলসি মিডফিল্ডার। জুলিয়ান আলভারেজ ও ডি মারিয়া হয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে বল পেয়ে যান এনজো। সেখান থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে তিনি দলকে এগিয়ে দেন। এরপরই দশ জনের দলে পরিণত হওয়া বলিভিয়া আরও চাপে পড়ে যায়।
তারই সুযোগ নিয়ে বিরতির আগমুহূর্তে লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তালিয়াফিকো। ডি মারিয়ার ফ্রি কিক বলটি তিনি হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। ২-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় স্কালোনির শিষ্যরা। বিরতির পরও বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা খেলায় আধিপত্য ধরে রাখে। তবে খেলার গতি ঠিক আগের মতো ছিল না। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাঠের উচ্চতা-ই হয়তো এই প্রভাব ফেলেছে। তবে ৭০ ও ৭২ মিনিটে নেওয়া আলভারেজ ও ডি মারিয়ার দূরপাল্লার শটেও হতে পারত গোল।
তবে সেবার জালের দেখা না পেলেও ৮৩ মিনিটে ঠিকই সফরকারী আলবিসেলেস্তে বাহিনী তৃতীয় গোল আদায় করে নেয়। বদলি নামা এজিকিয়েল পালাসিওসের পাস থেকে নিকোলাস গনসালেস সফল লক্ষ্যভেদ করেন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইয়ের টেবিলে শীর্ষস্থান দখল করে নিল আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ইন্টার মায়ামি ও জাতীয় দলের হয়ে টানা ম্যাচ খেলার ধকলও কিছুটা সামলাতে পারলেন মেসি। বয়স ও ক্লান্তির কথা মাথায় রেখেই এদিন তাকে বাইরে রেখেছিলেন স্কালোনি।