খালিদ সাইফুল কুষ্টিয়া থেকে: কুষ্টিয়া শহরের কাজী নজরুল ইসলাম লেন(কোর্টপাড়া) এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাসরত স্থানীয় একটি পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো: নবীন এর বাসা থেকে তারিন সুলতানা জুথি(২৭) নামের গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তারিন ওই সম্পাদকের ২য় স্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ল’কলেজের পূর্বপাশের ৪তলা ভবনের ২য় তলা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। নিহত তারিন সুলতানা জুথি মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের কন্যা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বছর আড়াই আগে নবীন হোসেনের সাথে তারিনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। তাদের এক বছরের দাম্পত্য জীবনে ১বছর বয়সী একটি কন্যা শিশু রয়েছে। নবীন ২য় স্ত্রী তারিন সুলতানা জুথিকে বিয়ের পর থেকেই শহরের কোর্টপাড়া এলাকার ওই ভাড়া বাসাতে বসবাস করতো। তবে তারিন একজন ডিজাইনার ও উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মনির্ভরশীল মানুষ। পড়াশুনার পাশাপাশি চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার পারদর্শীতা ছিল বলে স্থানীয়রা জানায়।
নিহত তারিনের নিকটাত্মীয় মাহবুবুর রহমান তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তার ফেসবুক আইডিতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় লিখেছেন,‘হত্যার বিচার চাই: তারিন সুলতানা জুথিকে তার স্বামী নবীন আজ সকালে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। জুথি তার স্বামীর সাথে কুষ্টিয়া কোর্টপাড়া কুষ্টিয়াতে বাস করতো। এর আগে অনেকবার তার উপর তার স্বামী নবীন পাশবিক অত্যাচার করেছে’। ‘আমি নিশ্চিত ময়না তদন্তে জুথি(তারিন) এর উপর অত্যাচারের নিশানা পাওয়া যাবে’। নিহতের চাচা মাহবুবুর রহমানের সাথে ম্যাসেঞ্জার কলে প্রতিবেদকের আলাপকালে তিনি আরও জানান,‘কিছুদিন পূর্বে তারিন জানায় যে নবীন তার পূর্বের স্ত্রীর সাথে আবার সম্পর্ক স্থাপন করেছে, এই সম্পর্ক চর্চাকে কেন্দ্র করেই দু’জনের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়’। আমি ও আমাদের পরিবার এই হত্যার বিচার চাই’।
এবিষয়ে নিহতের স্বামী নবীনের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, বুধবার সকালে আমি বাসা থেকে বেড়িয়ে আমার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা রোডে সিলিন্ডার আনতে যায়। এসময় আমার তারিনের ছোট চাচা আমাকে ফোন করে দ্রুত বাসায় যেতে বলেন, আমি দুপুর ১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি পুলিশ লাশ উদ্ধার করছে। হঠাৎ কি এমন ঘটনা ঘটেছে যে আত্মহত্যা করতে হবে। আমিও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। আমাদের দু’জনের মধ্যে এমন কোন দাম্পত্য কলহের ঘটনাও ঘটেনি’। তারিনের পরিবারের দাবিকে আমি ভিত্তিহীন মনে করি’।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ পেয়ে শহরের কোর্টপাড়া এলাকা তেকে তারিন নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পারিপার্শ্বিকতায় ধারণা করা হচ্ছে এটি প্ররোচিত আত্মহত্যা হয়ে থাকতে পারে’।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বছর আড়াই আগে নবীন হোসেনের সাথে তারিনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। তাদের এক বছরের দাম্পত্য জীবনে ১বছর বয়সী একটি কন্যা শিশু রয়েছে। নবীন ২য় স্ত্রী তারিন সুলতানা জুথিকে বিয়ের পর থেকেই শহরের কোর্টপাড়া এলাকার ওই ভাড়া বাসাতে বসবাস করতো। তবে তারিন একজন ডিজাইনার ও উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মনির্ভরশীল মানুষ। পড়াশুনার পাশাপাশি চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার পারদর্শীতা ছিল বলে স্থানীয়রা জানায়।
নিহত তারিনের নিকটাত্মীয় মাহবুবুর রহমান তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তার ফেসবুক আইডিতে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় লিখেছেন,‘হত্যার বিচার চাই: তারিন সুলতানা জুথিকে তার স্বামী নবীন আজ সকালে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। জুথি তার স্বামীর সাথে কুষ্টিয়া কোর্টপাড়া কুষ্টিয়াতে বাস করতো। এর আগে অনেকবার তার উপর তার স্বামী নবীন পাশবিক অত্যাচার করেছে’। ‘আমি নিশ্চিত ময়না তদন্তে জুথি(তারিন) এর উপর অত্যাচারের নিশানা পাওয়া যাবে’। নিহতের চাচা মাহবুবুর রহমানের সাথে ম্যাসেঞ্জার কলে প্রতিবেদকের আলাপকালে তিনি আরও জানান,‘কিছুদিন পূর্বে তারিন জানায় যে নবীন তার পূর্বের স্ত্রীর সাথে আবার সম্পর্ক স্থাপন করেছে, এই সম্পর্ক চর্চাকে কেন্দ্র করেই দু’জনের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়’। আমি ও আমাদের পরিবার এই হত্যার বিচার চাই’।
এবিষয়ে নিহতের স্বামী নবীনের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, বুধবার সকালে আমি বাসা থেকে বেড়িয়ে আমার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা রোডে সিলিন্ডার আনতে যায়। এসময় আমার তারিনের ছোট চাচা আমাকে ফোন করে দ্রুত বাসায় যেতে বলেন, আমি দুপুর ১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি পুলিশ লাশ উদ্ধার করছে। হঠাৎ কি এমন ঘটনা ঘটেছে যে আত্মহত্যা করতে হবে। আমিও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। আমাদের দু’জনের মধ্যে এমন কোন দাম্পত্য কলহের ঘটনাও ঘটেনি’। তারিনের পরিবারের দাবিকে আমি ভিত্তিহীন মনে করি’।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ পেয়ে শহরের কোর্টপাড়া এলাকা তেকে তারিন নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পারিপার্শ্বিকতায় ধারণা করা হচ্ছে এটি প্ররোচিত আত্মহত্যা হয়ে থাকতে পারে’।