পাকিস্তান এ ম্যাচ সহজেই জেতার কথা ছিল। ১৯৩ রান এ যুগে কোনো রানই নয়, পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপও এখন আর আগের মতো অত ঘনঘন হঠাৎ ধসে পড়ে না। বাংলাদেশকে ১৯৩ রানেই গুটিয়ে দেয়ার পর জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটে এগিয়ে যাওয়াই যে পাকিস্তানের লক্ষ্য হবে, তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। লাহোরে গতকাল এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের জিততে কোনো কষ্টই হলো না।
ধীরেসুস্থে খেললেও শেষ পর্যন্ত দশ ওভারের বেশি হাতে রেখেই জিতেছে। ৬৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে পাকিস্তানের জয়টা নেট রানরেটেও বাংলাদেশকে বেশ পিছিয়ে দিয়েছে। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের পর দুই ফিফটি ছাড়া বাংলাদেশ ইনিংসে তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু সাকিবের ৫৩ রানের ইনিংস এবং মুশফিকের ৬৪ রানের ইনিংস দুটিও শেষ হয়েছে দলের অনেক প্রয়োজনের মুহূর্তে। সব মিলিয়ে যা হওয়ার তা-ই হলো, বাংলাদেশ দুই শ রানও পেরোতে পারল না!
এই রান পেরোতে পাকিস্তানের যে তবু ৪০তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে, তা-ই বরং চমক। বাংলাদেশের পেসাররা টপাটপ উইকেট তুলে নিতে না পারলেও লাইন-লেংথ আঁটসাট রেখে বোলিং করায় পাকিস্তান সহজেই রান তুলে নিতে পারেনি। অন্যদিকে পাকিস্তানও খুব একটা ঝুঁকি নেয়নি বলে উইকেট নেয়ার উপলক্ষও তেমন তৈরি হয়নি বাংলাদেশের জন্য।
তবে শরীফুল ইসলামের কথা আলাদা করে বলতে হয়। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই পাকিস্তান ওপেনার ফখর জামানকে (২০) আউট করার খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফখরের ব্যাটে লেগ স্লিপে ওঠা ক্যাচটা ফিল্ডারের একটু সামনে পড়ে। মাঝে ফ্লাডলাইট-বিভ্রাটে মিনিট বিশেক খেলা বন্ধ থাকার পর অবশ্য দশম ওভারে ফখরকে এলবিডাব্লিউ করে ফিরিয়েছেন শরীফুলই। ম্যাচ শেষে শরীফুলের বোলিং ফিগার – ৮ ওভারে ২৪ রানে ১ উইকেট।
এদিন তাসকিন শুরুতে কয়েকটি বলে লাইন লেংথ হারিয়ে চারের মার খেলেও পরে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন। ১৬তম ওভারে বাবর আজম (১৭ রান) বোল্ডও হয়েছেন তাসকিনেরই বলে, যদিও বলটা বাবরের ব্যাটে লেগেই ঢুকেছে স্টাম্পের দিকে। বাংলাদেশের উৎসাহ নিয়ে উইকেট উদ্যাপনের উপলক্ষ ওখানেই শেষ! এর আগে অবশ্য ১২ ও ১৩ ওভারে যথাক্রমে হাসান ও তাসকিনের বলে ইমামের বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর আবেদনে রিভিউও নিয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু দুটি রিভিউই হারায়!
এদিকে বাবর ফেরার পর শুরু হলো বাংলাদেশের ভোগান্তি। ইমাম ও রিজওয়ান তৃতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশের লড়াইয়ের ক্ষীণতম সম্ভাবনাও বলতে গেলে শেষ করে দেন। এর মধ্যে মিরাজকে ছক্কা মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটিতে পৌঁছে যান ইমাম। তার কিছুক্ষণ পর দলকে ১৫৯ রানে রেখে ইমাম (৭৮) ফেরেন অবশ্য মিরাজের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েই!
মাঝে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে কিছুক্ষণ ভোগা রিজওয়ান অবশ্য এরপর চালিয়ে গেছেন। নিজে ফিফটিতে পৌঁছেছেন ৭১ বলে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে। চতুর্থ উইকেটে তাঁর সঙ্গে মিলে আগা সালমান (১২*) নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের জয়। এতকিছুর মধ্যে সাকিব কেন ২৫তম ওভারের আগে বোলিংয়েই এলেন না, তা-ও অবশ্য ভাবিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
ধীরেসুস্থে খেললেও শেষ পর্যন্ত দশ ওভারের বেশি হাতে রেখেই জিতেছে। ৬৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে পাকিস্তানের জয়টা নেট রানরেটেও বাংলাদেশকে বেশ পিছিয়ে দিয়েছে। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের পর দুই ফিফটি ছাড়া বাংলাদেশ ইনিংসে তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু সাকিবের ৫৩ রানের ইনিংস এবং মুশফিকের ৬৪ রানের ইনিংস দুটিও শেষ হয়েছে দলের অনেক প্রয়োজনের মুহূর্তে। সব মিলিয়ে যা হওয়ার তা-ই হলো, বাংলাদেশ দুই শ রানও পেরোতে পারল না!
এই রান পেরোতে পাকিস্তানের যে তবু ৪০তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে, তা-ই বরং চমক। বাংলাদেশের পেসাররা টপাটপ উইকেট তুলে নিতে না পারলেও লাইন-লেংথ আঁটসাট রেখে বোলিং করায় পাকিস্তান সহজেই রান তুলে নিতে পারেনি। অন্যদিকে পাকিস্তানও খুব একটা ঝুঁকি নেয়নি বলে উইকেট নেয়ার উপলক্ষও তেমন তৈরি হয়নি বাংলাদেশের জন্য।
তবে শরীফুল ইসলামের কথা আলাদা করে বলতে হয়। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই পাকিস্তান ওপেনার ফখর জামানকে (২০) আউট করার খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফখরের ব্যাটে লেগ স্লিপে ওঠা ক্যাচটা ফিল্ডারের একটু সামনে পড়ে। মাঝে ফ্লাডলাইট-বিভ্রাটে মিনিট বিশেক খেলা বন্ধ থাকার পর অবশ্য দশম ওভারে ফখরকে এলবিডাব্লিউ করে ফিরিয়েছেন শরীফুলই। ম্যাচ শেষে শরীফুলের বোলিং ফিগার – ৮ ওভারে ২৪ রানে ১ উইকেট।
এদিন তাসকিন শুরুতে কয়েকটি বলে লাইন লেংথ হারিয়ে চারের মার খেলেও পরে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন। ১৬তম ওভারে বাবর আজম (১৭ রান) বোল্ডও হয়েছেন তাসকিনেরই বলে, যদিও বলটা বাবরের ব্যাটে লেগেই ঢুকেছে স্টাম্পের দিকে। বাংলাদেশের উৎসাহ নিয়ে উইকেট উদ্যাপনের উপলক্ষ ওখানেই শেষ! এর আগে অবশ্য ১২ ও ১৩ ওভারে যথাক্রমে হাসান ও তাসকিনের বলে ইমামের বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর আবেদনে রিভিউও নিয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু দুটি রিভিউই হারায়!
এদিকে বাবর ফেরার পর শুরু হলো বাংলাদেশের ভোগান্তি। ইমাম ও রিজওয়ান তৃতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশের লড়াইয়ের ক্ষীণতম সম্ভাবনাও বলতে গেলে শেষ করে দেন। এর মধ্যে মিরাজকে ছক্কা মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটিতে পৌঁছে যান ইমাম। তার কিছুক্ষণ পর দলকে ১৫৯ রানে রেখে ইমাম (৭৮) ফেরেন অবশ্য মিরাজের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েই!
মাঝে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে কিছুক্ষণ ভোগা রিজওয়ান অবশ্য এরপর চালিয়ে গেছেন। নিজে ফিফটিতে পৌঁছেছেন ৭১ বলে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে। চতুর্থ উইকেটে তাঁর সঙ্গে মিলে আগা সালমান (১২*) নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের জয়। এতকিছুর মধ্যে সাকিব কেন ২৫তম ওভারের আগে বোলিংয়েই এলেন না, তা-ও অবশ্য ভাবিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।