এবার নিজে পিএসজি কাটিয়েছেন ৬টি মৌসুম। মেসি যাওয়ার পর দুই মৌসুমই শেষ। আর তিনি সেখানে থাকতে চাননি। নেইমারের একার সমস্যা হলে না হয় দোষ দেয়া যেতো ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলারকেই। কিন্তু যেখানে মেসিও অসন্তুষ্ট ছিলেন পিএসজি ক্লাব নিয়ে, তখন শুধু ফুটবলারদের দোষ দেয়াটা হবে বোকামি। নিশ্চয়ই তারা ক্লাবে ছিলেন সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে।
অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন সদ্য পিএসজি ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল হিলালে যোগ দেয়া ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র। জানালেন পিএসজিতে কেমন ছিলেন তিনি নিজে এবং মেসি! এক সাক্ষাৎকারে নেইমার সরাসরি বলে দিলেন, ‘পিএসজিতে মেসিসহ আমরা ছিলাম যেন এক জাহান্নামের মধ্যে।’ এই মৌসুমেই মেসি এবং নেইমার- দু’জনই পিএসজি ছেড়েছেন। শুধু পিএসজিই নয়, দু’জনই ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে দিয়েছেন।
মেসি যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে। আর নেইমার যোগ দিয়েছেন সৌদি ক্লাব আল হিলালে। মেসি ছিলেন ফ্রি এজেন্ট। আর নেইমারকে আল হিলাল কিনেছে ৯০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি’তে। ব্রাজিলিয়ান টিভি ও’গ্লোবোর বিশেষ অনুষ্ঠান ‘এস্পোর্টে এস্পেটাকুলার’-এ হাজির হয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ক্লাব সতীর্থ এবং বন্ধু লিওনেল মেসি যখন কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাটা হাতে তুলে নিয়েছিলেন, তখন নেইমারের কেমন অনুভূতি হচ্ছিলো?
নেইমার বলেন, ‘আমি তার ওই বছরের অর্জনের জন্য (বিশ্বকাপসহ অন্যসব কিছু) খুবই খুশি। তবে একই সময়ে তার জন্য আমার দুঃখও হচ্ছিলো। কারণ, তিনি যেন মূদ্রার দুই পিঠেই অবস্থান করছিলেন। আর্জেন্টিনা দলে যেন তিনি ছিলেন একটি স্বর্গের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে সব কিছুই জয় করেছেন। কিন্তু জাতীয় দল ছেড়ে যেই না প্যারিসে এসেছেন, অমনি যেন সেখানে তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করছিলেন। আমরা যেন জাহান্নামে বসবাস করছিলাম, তিনি এবং আমি- দু’জনই।’
মেসি এবং নেইমার- দুইজনই এর আগে একই সঙ্গে খেলেছেন বার্সেলোনায়। পিএসজিতে এসেও খেললেন একই সঙ্গে। দু’জনই পিএসজির হয়ে লিগ শিরোপা জয় করেছেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০২১ সালে পিএসজিতে এসে যোগ দেয়ার পর এখানে মেসি নিজেকে সেভাবে খাপ খাওয়াতে পারেননি। গত জুনে বিষয়টা স্বীকারও করেছেন যে, পিএসজির গুরুত্বপূর্ণ সমর্থকদের মধ্যে তাকে নিয়ে ভাঙন তৈরি হয়েছে।
মেসি-নেইমার, দু’জনই যখনই পিএসজির জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন তখনই সমর্থকরা দুয়ো ধ্বনি দিয়েছে। বিশেষ করে গত দুই বছর পিএসজি যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে, তখনই তাদের দুয়ো ধ্বনি দেয়া এবং বিদ্রুপ করা বেড়ে গিয়েছিলো। পিএসজির হয়ে গত মৌসুমে সব মিলিয়ে মেসি মোট ২১টি গোল করেছেন এবং ২০টি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। পিএসজির হয়ে সর্বশেষ প্যারিসে যখন খেলতে নেমিছিলেন, তখন সেখানকার সমর্থকরা বেশি টার্গেট করেছিলেন মেসিকে এবং সারাক্ষণই দুয়ো ধ্বনি দেয়া, বিদ্রুপ করে গেছেন।
নেইমার বিশ্বাস করেন, তিনি এবং মেসি যে ধরনের সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন পিএসজিতে, তা ছিল একেবারেই অযাচিত। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ যেন সেখানে আমরা কিছুই নই। অথচ, সেখানে আমরা গিয়েছিলাম নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে এবং সেভাবে চেষ্টাও করেছি। চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি ইতিহাস রচনা করতে। এ কারণেই আমরা একই সঙ্গে খেলা শুরু করেছিলাম। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম, চেষ্টা করেছি ইতিহাস তৈরি করতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি।’
অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন সদ্য পিএসজি ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল হিলালে যোগ দেয়া ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র। জানালেন পিএসজিতে কেমন ছিলেন তিনি নিজে এবং মেসি! এক সাক্ষাৎকারে নেইমার সরাসরি বলে দিলেন, ‘পিএসজিতে মেসিসহ আমরা ছিলাম যেন এক জাহান্নামের মধ্যে।’ এই মৌসুমেই মেসি এবং নেইমার- দু’জনই পিএসজি ছেড়েছেন। শুধু পিএসজিই নয়, দু’জনই ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে দিয়েছেন।
মেসি যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে। আর নেইমার যোগ দিয়েছেন সৌদি ক্লাব আল হিলালে। মেসি ছিলেন ফ্রি এজেন্ট। আর নেইমারকে আল হিলাল কিনেছে ৯০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি’তে। ব্রাজিলিয়ান টিভি ও’গ্লোবোর বিশেষ অনুষ্ঠান ‘এস্পোর্টে এস্পেটাকুলার’-এ হাজির হয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ক্লাব সতীর্থ এবং বন্ধু লিওনেল মেসি যখন কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাটা হাতে তুলে নিয়েছিলেন, তখন নেইমারের কেমন অনুভূতি হচ্ছিলো?
নেইমার বলেন, ‘আমি তার ওই বছরের অর্জনের জন্য (বিশ্বকাপসহ অন্যসব কিছু) খুবই খুশি। তবে একই সময়ে তার জন্য আমার দুঃখও হচ্ছিলো। কারণ, তিনি যেন মূদ্রার দুই পিঠেই অবস্থান করছিলেন। আর্জেন্টিনা দলে যেন তিনি ছিলেন একটি স্বর্গের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে সব কিছুই জয় করেছেন। কিন্তু জাতীয় দল ছেড়ে যেই না প্যারিসে এসেছেন, অমনি যেন সেখানে তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করছিলেন। আমরা যেন জাহান্নামে বসবাস করছিলাম, তিনি এবং আমি- দু’জনই।’
মেসি এবং নেইমার- দুইজনই এর আগে একই সঙ্গে খেলেছেন বার্সেলোনায়। পিএসজিতে এসেও খেললেন একই সঙ্গে। দু’জনই পিএসজির হয়ে লিগ শিরোপা জয় করেছেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০২১ সালে পিএসজিতে এসে যোগ দেয়ার পর এখানে মেসি নিজেকে সেভাবে খাপ খাওয়াতে পারেননি। গত জুনে বিষয়টা স্বীকারও করেছেন যে, পিএসজির গুরুত্বপূর্ণ সমর্থকদের মধ্যে তাকে নিয়ে ভাঙন তৈরি হয়েছে।
মেসি-নেইমার, দু’জনই যখনই পিএসজির জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন তখনই সমর্থকরা দুয়ো ধ্বনি দিয়েছে। বিশেষ করে গত দুই বছর পিএসজি যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে, তখনই তাদের দুয়ো ধ্বনি দেয়া এবং বিদ্রুপ করা বেড়ে গিয়েছিলো। পিএসজির হয়ে গত মৌসুমে সব মিলিয়ে মেসি মোট ২১টি গোল করেছেন এবং ২০টি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। পিএসজির হয়ে সর্বশেষ প্যারিসে যখন খেলতে নেমিছিলেন, তখন সেখানকার সমর্থকরা বেশি টার্গেট করেছিলেন মেসিকে এবং সারাক্ষণই দুয়ো ধ্বনি দেয়া, বিদ্রুপ করে গেছেন।
নেইমার বিশ্বাস করেন, তিনি এবং মেসি যে ধরনের সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন পিএসজিতে, তা ছিল একেবারেই অযাচিত। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ যেন সেখানে আমরা কিছুই নই। অথচ, সেখানে আমরা গিয়েছিলাম নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে এবং সেভাবে চেষ্টাও করেছি। চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি ইতিহাস রচনা করতে। এ কারণেই আমরা একই সঙ্গে খেলা শুরু করেছিলাম। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম, চেষ্টা করেছি ইতিহাস তৈরি করতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি।’