এবার রাজধানী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মদ পান করে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই তরুণীর খালাতো বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন মদ নিয়ে আসা তাদের বন্ধু। পুলিশ জানিয়েছে, আজ শনিবার সকালে সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জান্নাত (২২) ও তার খালাতো রিমা আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসাপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। রিমাকে মেডিসিন বিভাগে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। বাচ্চু মিয়া জানান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের আট নম্বর রোডের একটি বাড়ির ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন দুই বোন। তাদের বাড়ি বাড়ি টাঙ্গাইলে। জান্নাত ও রিমা সম্পর্কে খালাতো বোন।
এদিকে মৃতের মামাতো বোন ইভা আক্তার ও অসুস্থ হওয়া রিমা আক্তার বলেন, জান্নাতের বন্ধু রাব্বি। তিনি মিরপুরের বাসিন্দা কিন্তু থাকেন পুরানো ঢাকায়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় মদের বোতল নিয়ে আসেন রাব্বি। ‘রাব্বি ও জান্নাত দুজনে মদের বোতল থেকে অর্ধেক পরিমাণ পান করেন। পরে আমাকে পান করতে বলতে আমি না করলে তাদের চাপাচাপিতে কয়েক পেগ পান করি।’
রিমা বলেন, ‘মদ পান করার পরই আমি অসুস্থ বোধ করা শুরু করি। কয়েকবার বমি করার পর আমি ঘুমিয়ে পরি। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঘুম উঠে দেখি জান্নাত তখনো ঘুমাচ্ছে। আর রাব্বি কখন চলে গেছে জানতে পারিনি। এদিকে জান্নাতের অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানান রিমা। তিনি বলেন, আমার এক বন্ধুকে ডেকে আমি টঙ্গীর একটি হাসপাতাল যাই। সেখানে আমাকে স্যালাইন দেয়া হয়। পরে জান্নাতের জন্য স্যালাইন এনে বাসায় তাকেও স্যালাইন দেয়া হয়।
এ ভাবে কেটে যায় শুক্রবার দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর শনিবার ভোরে জান্নাতের শরীর আরও খারাপ হয় বলে জানান রিমা আক্তার। তিনি বলেন, ভোরে জান্নাত কথা বলতে পারছিল না। দ্রুত তাকে নিয়ে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক জানান, তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
‘পরে আমাদের আরেক বোন ইভাসহ তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদ রিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মেডিসিন বিভাগে পাঠান চিকিৎসকরা। ওই দিনের পর থেকে জান্নাতের বন্ধু রাব্বিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি, এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ বলে জানান রিমা আক্তার।
এদিকে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার নাতিয়াপাড়া গ্রামের মো: হান্নান মিয়ার মেয়ে জান্নাত। রিমা আক্তার ইমুর বাড়ি একই জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়। রিমা বলেন, আমার বিউটি পার্লার ছিল, বিক্রি করে দিয়েছি। জান্নাত আমার কাছে থাকতো। আমরা অনলাইনে ব্যবসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
হাসাপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। রিমাকে মেডিসিন বিভাগে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। বাচ্চু মিয়া জানান, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের আট নম্বর রোডের একটি বাড়ির ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন দুই বোন। তাদের বাড়ি বাড়ি টাঙ্গাইলে। জান্নাত ও রিমা সম্পর্কে খালাতো বোন।
এদিকে মৃতের মামাতো বোন ইভা আক্তার ও অসুস্থ হওয়া রিমা আক্তার বলেন, জান্নাতের বন্ধু রাব্বি। তিনি মিরপুরের বাসিন্দা কিন্তু থাকেন পুরানো ঢাকায়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় মদের বোতল নিয়ে আসেন রাব্বি। ‘রাব্বি ও জান্নাত দুজনে মদের বোতল থেকে অর্ধেক পরিমাণ পান করেন। পরে আমাকে পান করতে বলতে আমি না করলে তাদের চাপাচাপিতে কয়েক পেগ পান করি।’
রিমা বলেন, ‘মদ পান করার পরই আমি অসুস্থ বোধ করা শুরু করি। কয়েকবার বমি করার পর আমি ঘুমিয়ে পরি। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঘুম উঠে দেখি জান্নাত তখনো ঘুমাচ্ছে। আর রাব্বি কখন চলে গেছে জানতে পারিনি। এদিকে জান্নাতের অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানান রিমা। তিনি বলেন, আমার এক বন্ধুকে ডেকে আমি টঙ্গীর একটি হাসপাতাল যাই। সেখানে আমাকে স্যালাইন দেয়া হয়। পরে জান্নাতের জন্য স্যালাইন এনে বাসায় তাকেও স্যালাইন দেয়া হয়।
এ ভাবে কেটে যায় শুক্রবার দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর শনিবার ভোরে জান্নাতের শরীর আরও খারাপ হয় বলে জানান রিমা আক্তার। তিনি বলেন, ভোরে জান্নাত কথা বলতে পারছিল না। দ্রুত তাকে নিয়ে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক জানান, তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
‘পরে আমাদের আরেক বোন ইভাসহ তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদ রিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মেডিসিন বিভাগে পাঠান চিকিৎসকরা। ওই দিনের পর থেকে জান্নাতের বন্ধু রাব্বিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি, এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ বলে জানান রিমা আক্তার।
এদিকে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার নাতিয়াপাড়া গ্রামের মো: হান্নান মিয়ার মেয়ে জান্নাত। রিমা আক্তার ইমুর বাড়ি একই জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়। রিমা বলেন, আমার বিউটি পার্লার ছিল, বিক্রি করে দিয়েছি। জান্নাত আমার কাছে থাকতো। আমরা অনলাইনে ব্যবসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।