কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে ভক্ত সমর্থকদের উন্মাদনা ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে। আর হবেই বা না কেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর পর যে কাঙ্ক্ষিত সোনালী ট্রফিটি ঘরে এসেছে। যার হাত ধরে শিরোপা খরা কাটিয়েছে সেই মেসিকে দেখতে সবার আগ্রহ বেশি। যার ফলে বিশ্বকাপজয়ের পর আর্জেন্টিনার খেলা ৪টি ম্যাচেই স্টেডিয়ামে ছিল না তিলধারণের ঠাঁই। যদিও সব কটি ছিল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। তাই বলে কী? মেসি তো আর একটা আসবে না। তাই তাকে এক নজর দেখার আশা কেউ ছাড়ছেন না।
তবে এবার প্রীতি ম্যাচ ছেড়ে আসল চ্যালেঞ্জ নিতে মাঠে নামছে মেসির আর্জেন্টিনা। ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন অঞ্চলের বাছাই পর্বের ম্যাচে মাঠে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশ সময় আগামী শুক্রবার ৮ সেপ্টেম্বর সকালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। আর সেই ম্যাচটি নিয়েই ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। সেই ম্যাচের টিকিট ছাড়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে সব টিকিট।
এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বলিভিয়ার বিপক্ষে নামবে। ওই ম্যাচের ভেন্যু বলিভিয়ার লা পাজের হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়াম। আর এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস। টিকিট বিক্রির সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমটি। সেখানে উঠে এসেছে এ চিত্র। তবে ম্যাচের জন্য কী পরিমাণ টিকিট ছাড়া হয়েছিল তা জানা না গেলেও মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যাও একেবারে কম নয়।
এই মাঠে একসঙ্গে ৮৪ হাজারের বেশি দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারেন। এ ম্যাচের জন্য টিকিটের সর্বনিম্ন দাম রাখা হয়েছে ৩১ ডলার এবং সর্বোচ্চ ২৫৫ ডলার। বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশের মাটিতে মেসি-ডি মারিয়ারা প্রথম জনসম্মুখে শিরোপা তুলে ধরেছিল এই স্টেডিয়ামটিতেই। গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বাছাইপর্বের ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যায়, আর কোনো আসন খালি নেই। আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর ম্যাচের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পড়েছিল দেপোর্তিক নামের একটি ওয়েবসাইটের ওপর।
এর আগে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচটির টিকিটও তারাই বিক্রি করেছিল। এদিকে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে চমক রেখে ৩২ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন বিশ্বজয়ী দলের সদস্য পাওলো দিবালা ও গোলকিপার জেরোনিমো রুল্লি। এ ছাড়া ডাক পাননি টটেনহাম মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো ও মার্শেই ফরোয়ার্ড হোয়াকিন কোরেয়া। তবে শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে না থাকা গোলকিপার ফ্রাঙ্কো আরমানি ও আনহেল কোরেয়া দলে ঢুকেছেন।
পাশাপাশি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই দলে ডাকা হয়েছে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কয়েকজনকে। এর মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে খেলা ২১ বছর বয়সী মিডফিল্ডার আলান ভেলাসকো। বিশ্বকাপ জিতে আরেকটি বিশ্বকাপে খেলার মিশন সামনে রেখে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, সামনে যা আসছে, তা খুবই কঠিন। শুরুটা সব সময় কঠিন। আশা করি খেলোয়াড়েরা ফিট থেকেই খেলতে নামবে এবং সমর্থকেরা দলের খেলা উপভোগ করবে। আমরা লড়াই করতেই নামব। আমরা লড়াই করতে সব সময় পছন্দ করি।
আর্জেন্টিনা দল-
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), হুয়ান মুসো (উদিনেস), ওয়াল্টার বেনিতেস (পিএসভি), ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট)।
রক্ষণভাগ: নাহুয়েল মলিনা (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), জার্মান পাজেল্লা (রিয়াল বেতিস), গঞ্জালো মন্টিয়েল (নটিংহ্যাম ফরেস্ট), হুয়ান ফয়েথ (ভিয়ারিয়াল), মার্কোস সেনেসি (বোর্নমাউথ), লিসান্দ্রো মার্টিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহাম), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিওঁ), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লুকাস এসকুইভেল (অ্যাথলেটিকো পারানায়েন্সে, অনুর্ধ্ব-২৩ দল)।
মাঝমাঠ: লিয়ান্দ্রো পারেদেস (রোমা), রদ্রিগো ডি পল (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), গুইদো রদ্রিগেজ (রিয়াল বেতিস), ফাকুন্দো বুয়ানান্তোত্তে (ব্রাইটন), এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি), অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (লিভারপুল), এজেকুয়েল পালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন), ব্রুনো জাপেল্লি (অ্যাথলেটিকো পারানায়েন্সে, অনুর্ধ্ব-২৩ দল), থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা ইউনাইটেড)।
আক্রমণভাগ: নিকোলাস গঞ্জালেস (ফিওরেন্তিনা), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), আনহেল ডি কোরেয়া (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি), আলেহান্দ্রো গার্নাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া (বেনফিকা), লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি), অ্যালান ভেলাসকো (এফসি ডালাস অনুর্ধ্ব-২৩ দল), লুকাস বেলাত্রান (ফিওরেন্তিনা, অনুর্ধ্ব-২৩ দল)।
তবে এবার প্রীতি ম্যাচ ছেড়ে আসল চ্যালেঞ্জ নিতে মাঠে নামছে মেসির আর্জেন্টিনা। ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন অঞ্চলের বাছাই পর্বের ম্যাচে মাঠে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশ সময় আগামী শুক্রবার ৮ সেপ্টেম্বর সকালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। আর সেই ম্যাচটি নিয়েই ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। সেই ম্যাচের টিকিট ছাড়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে সব টিকিট।
এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বলিভিয়ার বিপক্ষে নামবে। ওই ম্যাচের ভেন্যু বলিভিয়ার লা পাজের হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়াম। আর এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস। টিকিট বিক্রির সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমটি। সেখানে উঠে এসেছে এ চিত্র। তবে ম্যাচের জন্য কী পরিমাণ টিকিট ছাড়া হয়েছিল তা জানা না গেলেও মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যাও একেবারে কম নয়।
এই মাঠে একসঙ্গে ৮৪ হাজারের বেশি দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারেন। এ ম্যাচের জন্য টিকিটের সর্বনিম্ন দাম রাখা হয়েছে ৩১ ডলার এবং সর্বোচ্চ ২৫৫ ডলার। বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশের মাটিতে মেসি-ডি মারিয়ারা প্রথম জনসম্মুখে শিরোপা তুলে ধরেছিল এই স্টেডিয়ামটিতেই। গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বাছাইপর্বের ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যায়, আর কোনো আসন খালি নেই। আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর ম্যাচের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পড়েছিল দেপোর্তিক নামের একটি ওয়েবসাইটের ওপর।
এর আগে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচটির টিকিটও তারাই বিক্রি করেছিল। এদিকে ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে চমক রেখে ৩২ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন বিশ্বজয়ী দলের সদস্য পাওলো দিবালা ও গোলকিপার জেরোনিমো রুল্লি। এ ছাড়া ডাক পাননি টটেনহাম মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো ও মার্শেই ফরোয়ার্ড হোয়াকিন কোরেয়া। তবে শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে না থাকা গোলকিপার ফ্রাঙ্কো আরমানি ও আনহেল কোরেয়া দলে ঢুকেছেন।
পাশাপাশি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই দলে ডাকা হয়েছে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কয়েকজনকে। এর মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে খেলা ২১ বছর বয়সী মিডফিল্ডার আলান ভেলাসকো। বিশ্বকাপ জিতে আরেকটি বিশ্বকাপে খেলার মিশন সামনে রেখে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, সামনে যা আসছে, তা খুবই কঠিন। শুরুটা সব সময় কঠিন। আশা করি খেলোয়াড়েরা ফিট থেকেই খেলতে নামবে এবং সমর্থকেরা দলের খেলা উপভোগ করবে। আমরা লড়াই করতেই নামব। আমরা লড়াই করতে সব সময় পছন্দ করি।
আর্জেন্টিনা দল-
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), হুয়ান মুসো (উদিনেস), ওয়াল্টার বেনিতেস (পিএসভি), ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট)।
রক্ষণভাগ: নাহুয়েল মলিনা (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), জার্মান পাজেল্লা (রিয়াল বেতিস), গঞ্জালো মন্টিয়েল (নটিংহ্যাম ফরেস্ট), হুয়ান ফয়েথ (ভিয়ারিয়াল), মার্কোস সেনেসি (বোর্নমাউথ), লিসান্দ্রো মার্টিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহাম), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিওঁ), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লুকাস এসকুইভেল (অ্যাথলেটিকো পারানায়েন্সে, অনুর্ধ্ব-২৩ দল)।
মাঝমাঠ: লিয়ান্দ্রো পারেদেস (রোমা), রদ্রিগো ডি পল (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), গুইদো রদ্রিগেজ (রিয়াল বেতিস), ফাকুন্দো বুয়ানান্তোত্তে (ব্রাইটন), এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি), অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (লিভারপুল), এজেকুয়েল পালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন), ব্রুনো জাপেল্লি (অ্যাথলেটিকো পারানায়েন্সে, অনুর্ধ্ব-২৩ দল), থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা ইউনাইটেড)।
আক্রমণভাগ: নিকোলাস গঞ্জালেস (ফিওরেন্তিনা), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), আনহেল ডি কোরেয়া (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি), আলেহান্দ্রো গার্নাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া (বেনফিকা), লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি), অ্যালান ভেলাসকো (এফসি ডালাস অনুর্ধ্ব-২৩ দল), লুকাস বেলাত্রান (ফিওরেন্তিনা, অনুর্ধ্ব-২৩ দল)।