আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: এডহক কমিটির সাথে সকল সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। দ্বন্দ্বের জেরে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক নেই। শিক্ষার্থীরা অনেকে মাঠে খেলছে আবার কেউ কেউ শ্রেণীকক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে খোশ গল্পে মেতে উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেন অফিসের কাজে রাজশাহী বোর্ডে গেছেন। তিনি দায়িত্ব দিয়ে গেছেন সিনিয়র শিক্ষক স্বপন কুমারকে। কিন্তু বিদ্যালয়ে খোঁজ করে তাকেও পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা মেলে একজন খন্ডকালিন শিক্ষক ও অবসরে যাওয়া আশির্ধ্বো এক অফিস সহকারির। শিক্ষকদের ব্যাপারে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা এব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।
চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তোজ্জাম্মেল হোসেন জানান, শিক্ষক তারিকুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে ক্লাস রুটিন নিয়ে মঙ্গলবার আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আর বুধবার কি হয়েছে সেটা আমার জানা নেই, কারণ আমি সিনিয়র শিক্ষক স্বপন কুমারকে দায়িত্ব দিয়ে অফিসের কাজে রাজশাহীতে আছি।
চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে সহকারি শিক্ষক তারিকুল আলম চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজ্জামেল হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ব্যাপারে পরদিন বুধবার সকালে এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য টিক্কা চৌধুরীর সঙ্গে সহকারি শিক্ষক তারিকুল আলম চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনার কিছুক্ষণ পর ক্লাস ফেলে শিক্ষক তারিকুল আলম চৌধুরীর পরামর্শে সকল সহকারি শিক্ষক চলে যান। আসলে কারণটা হচ্ছে, এর আগে দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানে কমিটি ছিলো না। এখন কমিটি হবার পর কমিটি বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম দেখভাল করছে, এসব শিক্ষকদের পছন্দ হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে অভিভাবক সদস্য হেদায়েতুল আলম টিক্কার বিরুদ্ধে থানায় জিডি ও এডহক কমিটিতে থাকা তার সদস্যপদ স্থগিতাদেশ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছে বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক। এসব শিক্ষক হলেন, স্বপন কুমার, তারিফুল আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, আবু বক্কার ছিদ্দিক, সেলিম হোসেন, তন্ময় সরকার ও শাহিদা খাতুন। থানায় জিডি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্যের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনোনয়ন নেয়। শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করলে বুধবার সকালে শ্রেণীকক্ষে যেতে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক কক্ষের সামনে এসে অভিভাবক সদস্য হেদায়েতুল আলম টিক্কা সকল শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর থেকে অনেকটা নিরাপত্তায় ভুগছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকমান আলী জানান, এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্যের মনোনয়ন দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যেহেতু অভিভাবক সদস্য স্থগিতের একটি আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য হেদায়েতুল আলম টিক্কার সদস্যপদ স্থগিতাদেশ চেয়ে আমার বরাবর শিক্ষকরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার শিক্ষকরা ক্লাসে যাননি এমন খবরও আমার কাছে রয়েছে। সবগুলো বিষয় নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুনানি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তোজ্জাম্মেল হোসেন জানান, শিক্ষক তারিকুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে ক্লাস রুটিন নিয়ে মঙ্গলবার আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আর বুধবার কি হয়েছে সেটা আমার জানা নেই, কারণ আমি সিনিয়র শিক্ষক স্বপন কুমারকে দায়িত্ব দিয়ে অফিসের কাজে রাজশাহীতে আছি।
চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে সহকারি শিক্ষক তারিকুল আলম চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজ্জামেল হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ব্যাপারে পরদিন বুধবার সকালে এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য টিক্কা চৌধুরীর সঙ্গে সহকারি শিক্ষক তারিকুল আলম চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনার কিছুক্ষণ পর ক্লাস ফেলে শিক্ষক তারিকুল আলম চৌধুরীর পরামর্শে সকল সহকারি শিক্ষক চলে যান। আসলে কারণটা হচ্ছে, এর আগে দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানে কমিটি ছিলো না। এখন কমিটি হবার পর কমিটি বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম দেখভাল করছে, এসব শিক্ষকদের পছন্দ হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে অভিভাবক সদস্য হেদায়েতুল আলম টিক্কার বিরুদ্ধে থানায় জিডি ও এডহক কমিটিতে থাকা তার সদস্যপদ স্থগিতাদেশ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছে বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক। এসব শিক্ষক হলেন, স্বপন কুমার, তারিফুল আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, আবু বক্কার ছিদ্দিক, সেলিম হোসেন, তন্ময় সরকার ও শাহিদা খাতুন। থানায় জিডি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্যের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনোনয়ন নেয়। শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করলে বুধবার সকালে শ্রেণীকক্ষে যেতে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক কক্ষের সামনে এসে অভিভাবক সদস্য হেদায়েতুল আলম টিক্কা সকল শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর থেকে অনেকটা নিরাপত্তায় ভুগছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকমান আলী জানান, এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্যের মনোনয়ন দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যেহেতু অভিভাবক সদস্য স্থগিতের একটি আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য হেদায়েতুল আলম টিক্কার সদস্যপদ স্থগিতাদেশ চেয়ে আমার বরাবর শিক্ষকরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার শিক্ষকরা ক্লাসে যাননি এমন খবরও আমার কাছে রয়েছে। সবগুলো বিষয় নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুনানি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।