সিলেটে বেড়াতে যাওয়ার সময় নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন একটি পোশাক কারখানার সাত সহকর্মী। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মীর কুমুল্লী গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে মীর নাজমুল হক ওরফে সবুজ (৩০), গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার লতিফপুর গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে আল আমীন (২৭), ঝালকাঠির রাজাপুর থানার পারগোপারপুর গ্রামের আবদুল গনি হাওলাদারের ছেলে আল আমীন হাওলাদার (২৯), জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার ধারাবর্ষা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে রাজু আহাম্মেদ (৩৬), মাদারীপুরের কালকিনি থানার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আউয়াল (৩৭), বরিশালের মুলাদি থানার মুলাদি গ্রামের মো. মজিবর সিকদারের ছেলে রায়হান সিকদার ওরফে আরিয়ান (২৪) ও কুষ্টিয়ার সদর থানার খাজানগর গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা (৪০)।
আহতরা হলেন- সাকি, পারভেজ, দোয়েল, মিঠুন। নিহত ও আহত সবাই সাভারের এসবি নিটিং লিমিটেডের কর্মকর্তা- কর্মচারী।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সাভার ইপিজেড এলাকার এসবি নিটিং লিমিটেডের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সিলেটে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঘাসিরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি পাথর বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও নেওয়ার পরে আরও দুজন মারা যান। আহত বাকি চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা খালেক মিয়া বলেন, রাতে বাড়িতে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। মহাসড়কে এসে দেখি, ট্রাকটা একপাশে পড়ে আছে আর মাইক্রোবাসটি উল্টে আছে। মানুষ কান্না-কাটি করছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত আলামিনের ছোট ভাই আসিফ বলেন, আমি শ্রীমঙ্গলে চাকরি করি। ভাইয়ের সিলেট ঘুরে আমার কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফোনে খবর পাই, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনি। এখন মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি।
সাভার ইপিজেড এলাকার এসবি নিটিং লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার মীর শিহাব উদ্দিন জাকির বলেন, কারখানার ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সিলেটে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হলেন তারা। আমরা নিহতদের মরদেহ নিতে এসেছি।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পেয়েছি, ট্রাকটি নিজের লেনেই ছিল, আর মাইক্রোবাসটি অন্য একটি লেনে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসটি অন্য কোনো যানবাহনকে ওভারটেক করার সময় ট্রাকের সঙ্গে এর সংঘর্ষ ঘটে। আমরা ট্রাকটির চালককে আহত অবস্থায় আটক করেছি, তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর মহাসড়ক থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করছি।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মীর কুমুল্লী গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে মীর নাজমুল হক ওরফে সবুজ (৩০), গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার লতিফপুর গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে আল আমীন (২৭), ঝালকাঠির রাজাপুর থানার পারগোপারপুর গ্রামের আবদুল গনি হাওলাদারের ছেলে আল আমীন হাওলাদার (২৯), জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার ধারাবর্ষা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে রাজু আহাম্মেদ (৩৬), মাদারীপুরের কালকিনি থানার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আউয়াল (৩৭), বরিশালের মুলাদি থানার মুলাদি গ্রামের মো. মজিবর সিকদারের ছেলে রায়হান সিকদার ওরফে আরিয়ান (২৪) ও কুষ্টিয়ার সদর থানার খাজানগর গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা (৪০)।
আহতরা হলেন- সাকি, পারভেজ, দোয়েল, মিঠুন। নিহত ও আহত সবাই সাভারের এসবি নিটিং লিমিটেডের কর্মকর্তা- কর্মচারী।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সাভার ইপিজেড এলাকার এসবি নিটিং লিমিটেডের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সিলেটে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঘাসিরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি পাথর বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও নেওয়ার পরে আরও দুজন মারা যান। আহত বাকি চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা খালেক মিয়া বলেন, রাতে বাড়িতে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। মহাসড়কে এসে দেখি, ট্রাকটা একপাশে পড়ে আছে আর মাইক্রোবাসটি উল্টে আছে। মানুষ কান্না-কাটি করছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত আলামিনের ছোট ভাই আসিফ বলেন, আমি শ্রীমঙ্গলে চাকরি করি। ভাইয়ের সিলেট ঘুরে আমার কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফোনে খবর পাই, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনি। এখন মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি।
সাভার ইপিজেড এলাকার এসবি নিটিং লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার মীর শিহাব উদ্দিন জাকির বলেন, কারখানার ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সিলেটে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হলেন তারা। আমরা নিহতদের মরদেহ নিতে এসেছি।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পেয়েছি, ট্রাকটি নিজের লেনেই ছিল, আর মাইক্রোবাসটি অন্য একটি লেনে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসটি অন্য কোনো যানবাহনকে ওভারটেক করার সময় ট্রাকের সঙ্গে এর সংঘর্ষ ঘটে। আমরা ট্রাকটির চালককে আহত অবস্থায় আটক করেছি, তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর মহাসড়ক থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করছি।