এবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জনসম্মুখে ‘অশিক্ষিত’ বলে চরম বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দাঁড়িয়েই এমন বেফাঁস মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
গত বুধবার ২৩ আগস্ট শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা মন্দিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। আর উপাচার্যের এই মন্তব্যের পর নিন্দার ঝড় উঠে রাজ্যজুড়ে, তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর আশ্রমিক ও সাবেকরাও। বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, শান্তিনিকেতনের মন্দিরে উপাসনার প্রাসঙ্গিকতা উপস্থিত শ্রোতাদের বিশদভাবে বোঝাচ্ছিলেন উপাচার্য।
এ সময় তিনি বলেন,`রবীন্দ্রনাথের নাম নিয়ে শান্তিনিকেতন এখন স্বার্থসিদ্ধির সোপান হয়েছে। যারা অন্যায় কাজ করেন তারা নিজেদেরকে বলে ওঠেন রাবীন্দ্রিক। রবীন্দ্রনাথ নিজেই অশিক্ষিত। প্রথাগত শিক্ষা তিনি নেননি। বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থাকেই তিনি প্রাধান্য দিতেন। শিক্ষা দু’রকমের হয়। এক ধরনের শিক্ষা কেজি থেকে পিজি পড়াশোনা করলাম, ডিগ্রি লাভ করলাম এবং চাকরি করলাম। আর অন্যটি বিকল্প শিক্ষা। রবীন্দ্রনাথের সামাজিক ভাবনাচিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ তৈরি করে। সেই শিক্ষায় তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। এখন বিশ্বভারতীতে বিকল্প ভাবনা চিন্তায় আঁধার তৈরি হয়েছে।`
এদিকে পাঁচ বছর আগে বিশ্বভারতীর দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর থেকেই লাগাতার বিতর্কে নাম জড়িয়েছে উপাচার্যের। দায়িত্ব নিয়েই বিশ্বকবির উন্মুক্ত শান্তিনিকেতনের চিন্তাভাবনাকে দূরে সরিয়ে দেন উপাচার্য। বিশ্বভারতীর মেলার মাঠের জমিতে পাঁচিল তুলে শুরু করেন বিতর্ক। এরপর তার বিরুদ্ধাচরণ করা ছাত্রছাত্রী থেকে অধ্যাপকদের বরখাস্ত করে বিশ্বভারতীতে নজির স্থাপন করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, প্রাক্তনী ও রাবীন্দ্রিকদেরও ভোগবাদী বলেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বারংবার কটাক্ষ মন্তব্যের সুর শোনা গিয়েছে উপাচার্যের গলায়। এমনকি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি বিবাদ, সেই ঘটনা আদালতে পর্যন্ত তিনি নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
এদিকে তার কথায়, `শান্তিনিকেতনের জমি দখল করে রাখলেই রাবীন্দ্রিক। অন্যায় করলেই রাবীন্দ্রিক। বিশ্বভারতীকে অপমান করতে পারলে সে ব্যক্তিও রাবীন্দ্রিক।` তার বিতর্কিত মন্তব্য থেকে রেহাই পাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিগত পাঁচবছরে একাধিক মামলাও হয়েছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ও জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ও রাজ্যপালের কাছে। তবে উপাচার্যের মাথায় সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হাত থাকায় একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও টলানো যায়নি তাকে। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হচ্ছে উপাচার্যের মেয়াদ। আশ্রমিক, প্রাক্তনী ও রবীন্দ্র অনুরাগীরা বলছেন এরপর অন্তত কুকথা বন্ধ হোক, বিশ্বভারতীতে বন্ধ হোক ভয়ের বাতাবরণ।
গত বুধবার ২৩ আগস্ট শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা মন্দিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। আর উপাচার্যের এই মন্তব্যের পর নিন্দার ঝড় উঠে রাজ্যজুড়ে, তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর আশ্রমিক ও সাবেকরাও। বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, শান্তিনিকেতনের মন্দিরে উপাসনার প্রাসঙ্গিকতা উপস্থিত শ্রোতাদের বিশদভাবে বোঝাচ্ছিলেন উপাচার্য।
এ সময় তিনি বলেন,`রবীন্দ্রনাথের নাম নিয়ে শান্তিনিকেতন এখন স্বার্থসিদ্ধির সোপান হয়েছে। যারা অন্যায় কাজ করেন তারা নিজেদেরকে বলে ওঠেন রাবীন্দ্রিক। রবীন্দ্রনাথ নিজেই অশিক্ষিত। প্রথাগত শিক্ষা তিনি নেননি। বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থাকেই তিনি প্রাধান্য দিতেন। শিক্ষা দু’রকমের হয়। এক ধরনের শিক্ষা কেজি থেকে পিজি পড়াশোনা করলাম, ডিগ্রি লাভ করলাম এবং চাকরি করলাম। আর অন্যটি বিকল্প শিক্ষা। রবীন্দ্রনাথের সামাজিক ভাবনাচিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ তৈরি করে। সেই শিক্ষায় তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। এখন বিশ্বভারতীতে বিকল্প ভাবনা চিন্তায় আঁধার তৈরি হয়েছে।`
এদিকে পাঁচ বছর আগে বিশ্বভারতীর দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর থেকেই লাগাতার বিতর্কে নাম জড়িয়েছে উপাচার্যের। দায়িত্ব নিয়েই বিশ্বকবির উন্মুক্ত শান্তিনিকেতনের চিন্তাভাবনাকে দূরে সরিয়ে দেন উপাচার্য। বিশ্বভারতীর মেলার মাঠের জমিতে পাঁচিল তুলে শুরু করেন বিতর্ক। এরপর তার বিরুদ্ধাচরণ করা ছাত্রছাত্রী থেকে অধ্যাপকদের বরখাস্ত করে বিশ্বভারতীতে নজির স্থাপন করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, প্রাক্তনী ও রাবীন্দ্রিকদেরও ভোগবাদী বলেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বারংবার কটাক্ষ মন্তব্যের সুর শোনা গিয়েছে উপাচার্যের গলায়। এমনকি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি বিবাদ, সেই ঘটনা আদালতে পর্যন্ত তিনি নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
এদিকে তার কথায়, `শান্তিনিকেতনের জমি দখল করে রাখলেই রাবীন্দ্রিক। অন্যায় করলেই রাবীন্দ্রিক। বিশ্বভারতীকে অপমান করতে পারলে সে ব্যক্তিও রাবীন্দ্রিক।` তার বিতর্কিত মন্তব্য থেকে রেহাই পাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিগত পাঁচবছরে একাধিক মামলাও হয়েছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ও জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ও রাজ্যপালের কাছে। তবে উপাচার্যের মাথায় সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হাত থাকায় একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও টলানো যায়নি তাকে। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হচ্ছে উপাচার্যের মেয়াদ। আশ্রমিক, প্রাক্তনী ও রবীন্দ্র অনুরাগীরা বলছেন এরপর অন্তত কুকথা বন্ধ হোক, বিশ্বভারতীতে বন্ধ হোক ভয়ের বাতাবরণ।