আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট থেকে: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা চালককে হত্যা করে অটো রিকসা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার আসামীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে আসামিদ্বয়কে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) বিকেলে আদিতমারী থানায় আসামিদেরকে র্যাব হস্তান্তর করে, ওই সময় সংবাদ পেয়ে শতশত এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সহ সড়ক অবরোধ করেন।
আটককৃত আসামিরা হলো আদিতমারীর খারুভাজ বালাপাড়া এলাকার মমিনুল ইসলাম এর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (১৬) একই এলাকার মোন্তাজ আলীর ছেলে শামসুল হক বাবু (৩২) আব্দুল মতিন এর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মুন্না এবং নাজিম উদ্দীনের ছেলে মোমিনুল ইসলাম। এ ঘটনায় থানায় বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (২০ আগস্ট) প্রতিদিনের মতো অটো রিকসা চালক আঃ রাশিদ তার ছোট ছেলের জন্য রাতের খাবার নিয়ে বাড়ি হতে বুড়িরবাজার মাদ্রাসায় ছোট ছেলেকে খাবার পৌঁছে দেন। রাত্রে বাড়ি ফিরে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোনে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন (২১ আগষ্ট) আঃ রশিদ বাড়ি ফিরে না আসলে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজা-খুঁজি করে এবং তার বড় ছেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) তার বাবাকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি পোস্ট করলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভেটেশ্বর নদী থেকে আঃ রশিদ (৪৪) এর মৃত দেহ উদ্ধার হয়।
র্যাব জানায়, এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সিরাজুল ইসলাম এর পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সহযোগী আসামীদের সহযোগীতায় ঘটনার দিন রাতে বুড়িরবাজার থেকে অটোমিশুক ভাড়া করে বাবুর বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতপাড়া ব্রীজের উপর প্রসাব করার কথা বলে অটো থামাতে বলে ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে শামসুল হক ও মোস্তাফিজুর রহমান ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করলে আঃ রাশিদ রাস্তায় পড়ে যায়। টাকা পয়সা এবং অটো রিকসা নিয়ে ভিকটিমকে অর্ধ-মৃত অবস্থায় ব্রীজের উপর থেকে পানিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে অটোমিশুক নিয়ে মোস্তাফি বাজারে ভাঙ্গরী দোকানে বিক্রি করতে গেলে দোকানদার বৈধ কাগজ চাওয়ায় তারা মোস্তাফি বাজারে অটো ফেলে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকায় অবস্থানরত আসামী সিরাজুল ইসলামের বাবা মোমিনুল ইসলামের বাসায় আত্মগোপন করে এবং সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ দিকে আসামীদের থানায় নিয়ে আসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে আঃ রশিদের ছেলে-মেয়ে স্ত্রী পরিবার সহ শতশত এলাকাবাসী থানায় এসে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানায়। ঘন্টা দুয়েক বিক্ষোভ ও অবরোধ শেষে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক হ্যান্ডমাইকে দ্রুত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যায়।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।
আটককৃত আসামিরা হলো আদিতমারীর খারুভাজ বালাপাড়া এলাকার মমিনুল ইসলাম এর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (১৬) একই এলাকার মোন্তাজ আলীর ছেলে শামসুল হক বাবু (৩২) আব্দুল মতিন এর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মুন্না এবং নাজিম উদ্দীনের ছেলে মোমিনুল ইসলাম। এ ঘটনায় থানায় বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (২০ আগস্ট) প্রতিদিনের মতো অটো রিকসা চালক আঃ রাশিদ তার ছোট ছেলের জন্য রাতের খাবার নিয়ে বাড়ি হতে বুড়িরবাজার মাদ্রাসায় ছোট ছেলেকে খাবার পৌঁছে দেন। রাত্রে বাড়ি ফিরে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোনে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন (২১ আগষ্ট) আঃ রশিদ বাড়ি ফিরে না আসলে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজা-খুঁজি করে এবং তার বড় ছেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) তার বাবাকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি পোস্ট করলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভেটেশ্বর নদী থেকে আঃ রশিদ (৪৪) এর মৃত দেহ উদ্ধার হয়।
র্যাব জানায়, এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সিরাজুল ইসলাম এর পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সহযোগী আসামীদের সহযোগীতায় ঘটনার দিন রাতে বুড়িরবাজার থেকে অটোমিশুক ভাড়া করে বাবুর বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতপাড়া ব্রীজের উপর প্রসাব করার কথা বলে অটো থামাতে বলে ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে শামসুল হক ও মোস্তাফিজুর রহমান ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করলে আঃ রাশিদ রাস্তায় পড়ে যায়। টাকা পয়সা এবং অটো রিকসা নিয়ে ভিকটিমকে অর্ধ-মৃত অবস্থায় ব্রীজের উপর থেকে পানিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে অটোমিশুক নিয়ে মোস্তাফি বাজারে ভাঙ্গরী দোকানে বিক্রি করতে গেলে দোকানদার বৈধ কাগজ চাওয়ায় তারা মোস্তাফি বাজারে অটো ফেলে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকায় অবস্থানরত আসামী সিরাজুল ইসলামের বাবা মোমিনুল ইসলামের বাসায় আত্মগোপন করে এবং সেখান থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ দিকে আসামীদের থানায় নিয়ে আসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে আঃ রশিদের ছেলে-মেয়ে স্ত্রী পরিবার সহ শতশত এলাকাবাসী থানায় এসে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানায়। ঘন্টা দুয়েক বিক্ষোভ ও অবরোধ শেষে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক হ্যান্ডমাইকে দ্রুত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যায়।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।